ইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)
মানুষের ভাবদর্শন সত্যিই কত স্নিগ্ধ। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য আর ঈশ্বর-ভাবনা, সব এখানে মিলেমিশে একাকার। বৃক্ষরাজিতে আশ্রয় নিয়েছে পাখিকুল। সদর দরজায় পেখম মেলে রেখেছে ময়ূর। একটু এগোলে সারি সারি সুপারিগাছ। নাটোরের শ্রীশ্রী ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোঁসাইয়ের সৎসঙ্গ সেবাশ্রমের সবকিছুই যেন বুঁদ হয়ে আছে পরম প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষায়। তিন শতাধিক বছরের পুরোনো নির্জন এ স্থান প্রায়ই ভক্তদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। নবান্ন উৎসব হলে তো কথাই নেই।
নাটোর শহর থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে লালপুর উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে ৮ নম্বর দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম। এখানেই ৩২ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ফকির চাঁদ বৈষ্ণবের মন্দির ও সমাধি। গ্রামবাসীদের কেউ বলেন সাধুর আশ্রম, আবার কেউ বলেন গোঁসাইবাড়ি। প্রতিবছরের মতো এবারও দুই দিনব্যাপী ৩২৪তম নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয় এই স্থানটিতে। উৎসবের শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। নারী-পুরুষনির্বিশেষে ভক্তরা আশ্রমে পৌঁছেই শ্রীশ্রী ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোঁসাই ও তাঁর শিষ্য সাধুদের সমাধিতে ভক্তি-শ্রদ্ধা জানান। একই সময়ে আশ্রম প্রাঙ্গণে চলে মেলা।
উৎসবের প্রথম দিন গত রোববার দুপুরে আশ্রম প্রাঙ্গণে সারিবদ্ধভাবে বসে গোঁসাইয়ের ভক্তরা কলার পাতায় খিচুড়ি, পাঁচ তরকারি ও পায়েস খান। সেবা লাভের আশায় নানা পদ্ধতিতে করেন মানত। প্রিয় এই জায়গার উন্নয়নে সাধ্যমতো দানও করেন তাঁরা।
গাইবান্ধার দুলালী গ্রামের ভক্ত প্রাণবন্ধু বর্মণ (৮১) বলেন, ‘বংশপরম্পরায় ছোট থেকেই আমি এখানে আসছি। টানা ৯ বছর ধরে গোঁসাই ভক্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে সেবা দিচ্ছি। এখানে এলেই আমি অজানা এক মায়ায় হারিয়ে যাই, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’
আশ্রমের প্রধান সেবাইত শ্রী পরমানন্দ সাধু জানান, বাংলা ১২১৭ সালে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের এই গহিন অরণ্যে একটি বটগাছের নিচে আস্তানা স্থাপন করেন ফকির চাঁদ বৈষ্ণব। এখানেই সাধু ধ্যান-তপস্যা ও বৈষ্ণবধর্ম প্রচার শুরু করেন। প্রতিবছর দোলপূর্ণিমা, গঙ্গাস্নান ও নবান্ন উৎসব উপলক্ষে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত সাধক সমবেত হন এখানে।
আশ্রমটি ঘুরে দেখা যায়, ভক্তদের সুবিধার্থে এখানে শানবাঁধানো বিশাল দুটি পুকুর রয়েছে। আশ্রমের প্রবেশপথে রয়েছে ময়ূর, বাঘ ও বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি এবং লতাপাতার কারুকার্য খচিত সুবিশাল ফটক। ফটক পার হয়েই ডানে রয়েছে ভক্ত, সাধু ও মাতাদের আবাসন আর বাম দিকে রয়েছে সাধুদের সমাধিস্তম্ভ। মাঝখানে শ্রী ফকির চাঁদের সমাধি। আশ্রম চত্বরে রয়েছে ১৪০ জনের বেশি ভক্ত ও সাধুর সমাধি।
স্থানীয় সাধুরা জানান, ১২৭৪ খ্রিষ্টাব্দে এখানে ভক্তসঙ্গ করতে করতে অদৃশ্য হয়ে যান ফকির চাঁদ বৈষ্ণব। মন্দিরে প্রবেশ করে ঐশ্বরিকভাবে স্বর্গ লাভ করেন তিনি। এই সাধুর পরিধেয় খড়ম ও বস্ত্র সংরক্ষণ করে সমাধিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছিল। ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোঁসাই একাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তবন থানার রাধাকান্তপুর (মতান্তরে গুড়ইল) গ্রামে ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
নবান্ন উৎসব কমিটির সভাপতি শ্রী সঞ্জয় কুমার কর্মকার বলেন, ‘ভক্তদের দানের টাকাতেই এখানে উৎসব হয়। আমরা চাই, এটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধিভুক্ত হোক।’
মানুষের ভাবদর্শন সত্যিই কত স্নিগ্ধ। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য আর ঈশ্বর-ভাবনা, সব এখানে মিলেমিশে একাকার। বৃক্ষরাজিতে আশ্রয় নিয়েছে পাখিকুল। সদর দরজায় পেখম মেলে রেখেছে ময়ূর। একটু এগোলে সারি সারি সুপারিগাছ। নাটোরের শ্রীশ্রী ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোঁসাইয়ের সৎসঙ্গ সেবাশ্রমের সবকিছুই যেন বুঁদ হয়ে আছে পরম প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষায়। তিন শতাধিক বছরের পুরোনো নির্জন এ স্থান প্রায়ই ভক্তদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। নবান্ন উৎসব হলে তো কথাই নেই।
নাটোর শহর থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে লালপুর উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে ৮ নম্বর দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম। এখানেই ৩২ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ফকির চাঁদ বৈষ্ণবের মন্দির ও সমাধি। গ্রামবাসীদের কেউ বলেন সাধুর আশ্রম, আবার কেউ বলেন গোঁসাইবাড়ি। প্রতিবছরের মতো এবারও দুই দিনব্যাপী ৩২৪তম নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয় এই স্থানটিতে। উৎসবের শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। নারী-পুরুষনির্বিশেষে ভক্তরা আশ্রমে পৌঁছেই শ্রীশ্রী ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোঁসাই ও তাঁর শিষ্য সাধুদের সমাধিতে ভক্তি-শ্রদ্ধা জানান। একই সময়ে আশ্রম প্রাঙ্গণে চলে মেলা।
উৎসবের প্রথম দিন গত রোববার দুপুরে আশ্রম প্রাঙ্গণে সারিবদ্ধভাবে বসে গোঁসাইয়ের ভক্তরা কলার পাতায় খিচুড়ি, পাঁচ তরকারি ও পায়েস খান। সেবা লাভের আশায় নানা পদ্ধতিতে করেন মানত। প্রিয় এই জায়গার উন্নয়নে সাধ্যমতো দানও করেন তাঁরা।
গাইবান্ধার দুলালী গ্রামের ভক্ত প্রাণবন্ধু বর্মণ (৮১) বলেন, ‘বংশপরম্পরায় ছোট থেকেই আমি এখানে আসছি। টানা ৯ বছর ধরে গোঁসাই ভক্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে সেবা দিচ্ছি। এখানে এলেই আমি অজানা এক মায়ায় হারিয়ে যাই, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’
আশ্রমের প্রধান সেবাইত শ্রী পরমানন্দ সাধু জানান, বাংলা ১২১৭ সালে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের এই গহিন অরণ্যে একটি বটগাছের নিচে আস্তানা স্থাপন করেন ফকির চাঁদ বৈষ্ণব। এখানেই সাধু ধ্যান-তপস্যা ও বৈষ্ণবধর্ম প্রচার শুরু করেন। প্রতিবছর দোলপূর্ণিমা, গঙ্গাস্নান ও নবান্ন উৎসব উপলক্ষে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত সাধক সমবেত হন এখানে।
আশ্রমটি ঘুরে দেখা যায়, ভক্তদের সুবিধার্থে এখানে শানবাঁধানো বিশাল দুটি পুকুর রয়েছে। আশ্রমের প্রবেশপথে রয়েছে ময়ূর, বাঘ ও বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি এবং লতাপাতার কারুকার্য খচিত সুবিশাল ফটক। ফটক পার হয়েই ডানে রয়েছে ভক্ত, সাধু ও মাতাদের আবাসন আর বাম দিকে রয়েছে সাধুদের সমাধিস্তম্ভ। মাঝখানে শ্রী ফকির চাঁদের সমাধি। আশ্রম চত্বরে রয়েছে ১৪০ জনের বেশি ভক্ত ও সাধুর সমাধি।
স্থানীয় সাধুরা জানান, ১২৭৪ খ্রিষ্টাব্দে এখানে ভক্তসঙ্গ করতে করতে অদৃশ্য হয়ে যান ফকির চাঁদ বৈষ্ণব। মন্দিরে প্রবেশ করে ঐশ্বরিকভাবে স্বর্গ লাভ করেন তিনি। এই সাধুর পরিধেয় খড়ম ও বস্ত্র সংরক্ষণ করে সমাধিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছিল। ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোঁসাই একাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তবন থানার রাধাকান্তপুর (মতান্তরে গুড়ইল) গ্রামে ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
নবান্ন উৎসব কমিটির সভাপতি শ্রী সঞ্জয় কুমার কর্মকার বলেন, ‘ভক্তদের দানের টাকাতেই এখানে উৎসব হয়। আমরা চাই, এটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধিভুক্ত হোক।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে