সম্পাদকীয়
জনপ্রশাসনে যে ৩৪০ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেলেন, তাঁদের মধ্যে অন্তত অর্ধশত রয়েছেন, যাঁরা বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত। আওয়ামী লীগের আমলে দলীয়করণের থাবায় পড়ে যাঁরা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছিলেন, তাঁদের পদায়ন করা এক কথা, আর যেকোনো মূল্যে অপরাধজনিত কারণে পদোন্নতিবঞ্চিতদের ঢালাও পদোন্নতির সুযোগ করে দেওয়া আরেক কথা। এই গণপদায়ন জনপ্রশাসনকে দুর্বল ও বিতর্কিত করে তুলবে না, তার গ্যারান্টি কী?
এ কথা সত্য, দীর্ঘদিন ধরে যে দক্ষ কর্মকর্তারা অকারণে ওএসডি হয়ে ছিলেন, কিংবা গুরুত্বহীন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, তাঁদের মূল্যায়ন করে যথাযথ পদায়ন করা দরকার। সেভাবেই বিভিন্ন ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদায়ন করার কথা। এই সুযোগে ভোল পাল্টানো কর্মকর্তা কিংবা দুর্নীতির অভিযোগে পদোন্নতিবঞ্চিতরাও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যাপৃত হয়েছেন।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রশাসন চলবে দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের দ্বারা। কে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরক্ত, তা পদায়নের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে না। সরকারি কর্মকর্তার একটাই পরিচয়, তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। কোন দল কখন ক্ষমতায় এল, তার ওপর তাঁর কাজ নির্ভর করে না। কিন্তু আমাদের প্রশাসনে ক্ষমতাসীনেরা সব সময়ই নাক গলিয়েছেন। নিজেদের পছন্দমতো কিংবা নিজেদের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না, এমন কর্মকর্তাদের পদায়ন করেছেন।
ফলে দক্ষ প্রশাসন গড়ে ওঠার বদলে প্রশাসনের মাথা ভারী হয়েছে দলীয় আজ্ঞাবহনকারীদের দিয়ে। বছরের পর বছর, সরকারের পর সরকার এ পথকেই নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার অন্যতম সহায়ক পথ বলে মনে করেছে। এই অবস্থার পরিবর্তনের দাবি বিভিন্ন সময়ে উঠেছে ঠিকই, কিন্তু কোনো সরকারই তা আমলে নেয়নি। ফলে প্রশাসনের কাজ শ্লথ হয়েছে, দলাদলি বেড়েছে, রাজনৈতিক প্রশ্রয় পেয়ে আমলাতন্ত্রে দুর্নীতি বেড়েছে।
এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে কীভাবে সংস্কার করা হবে প্রশাসন, সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মেধাভিত্তিক প্রশাসনে পদোন্নতি দিতে হয় যাচাই-বাছাই করে। নইলে মেধার মূল্য থাকে না। যাঁরা বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পদোন্নতিবঞ্চিত ছিলেন, যাঁদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা চলছে, যাঁদের যোগ্যতা নেই, তাঁদেরও ঢালাওভাবে পদোন্নতি দেওয়া ঠিক হবে না। বর্তমানে বিভিন্ন উপদেষ্টাকে ঘেরাও করে যেভাবে ন্যায্য-অন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছে মানুষ, তাতে সত্যিকারের সংস্কারচিন্তা ব্যাহত হতে পারে। গায়ের জোরে নিজেদের দাবি আদায়ের এই প্রক্রিয়াকে যথাযথ মনে করার কোনো কারণ নেই।
শুধু জনপ্রশাসনেই পদায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজেরা ঢুকে পড়ছে, এমন নয়। সামগ্রিকভাবে সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের ওপরের দিকের সবাইকে পদত্যাগে বাধ্য করায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে ঢুকে পড়তে পারে দুর্নীতিবাজেরা। যদি যোগ্য মানুষদের দিয়ে এই শূন্যস্থানগুলো পূরণ করা না হয়, তাহলে আরও একটি সর্বনাশের পথে পা বাড়াব আমরা। মনে রাখতে হবে, বৈষম্য দূর করতে গিয়ে এমন কিছু যেন করা না হয়, যাতে আবার নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।
জনপ্রশাসনে যে ৩৪০ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেলেন, তাঁদের মধ্যে অন্তত অর্ধশত রয়েছেন, যাঁরা বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত। আওয়ামী লীগের আমলে দলীয়করণের থাবায় পড়ে যাঁরা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছিলেন, তাঁদের পদায়ন করা এক কথা, আর যেকোনো মূল্যে অপরাধজনিত কারণে পদোন্নতিবঞ্চিতদের ঢালাও পদোন্নতির সুযোগ করে দেওয়া আরেক কথা। এই গণপদায়ন জনপ্রশাসনকে দুর্বল ও বিতর্কিত করে তুলবে না, তার গ্যারান্টি কী?
এ কথা সত্য, দীর্ঘদিন ধরে যে দক্ষ কর্মকর্তারা অকারণে ওএসডি হয়ে ছিলেন, কিংবা গুরুত্বহীন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, তাঁদের মূল্যায়ন করে যথাযথ পদায়ন করা দরকার। সেভাবেই বিভিন্ন ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদায়ন করার কথা। এই সুযোগে ভোল পাল্টানো কর্মকর্তা কিংবা দুর্নীতির অভিযোগে পদোন্নতিবঞ্চিতরাও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যাপৃত হয়েছেন।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রশাসন চলবে দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের দ্বারা। কে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরক্ত, তা পদায়নের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে না। সরকারি কর্মকর্তার একটাই পরিচয়, তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। কোন দল কখন ক্ষমতায় এল, তার ওপর তাঁর কাজ নির্ভর করে না। কিন্তু আমাদের প্রশাসনে ক্ষমতাসীনেরা সব সময়ই নাক গলিয়েছেন। নিজেদের পছন্দমতো কিংবা নিজেদের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না, এমন কর্মকর্তাদের পদায়ন করেছেন।
ফলে দক্ষ প্রশাসন গড়ে ওঠার বদলে প্রশাসনের মাথা ভারী হয়েছে দলীয় আজ্ঞাবহনকারীদের দিয়ে। বছরের পর বছর, সরকারের পর সরকার এ পথকেই নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার অন্যতম সহায়ক পথ বলে মনে করেছে। এই অবস্থার পরিবর্তনের দাবি বিভিন্ন সময়ে উঠেছে ঠিকই, কিন্তু কোনো সরকারই তা আমলে নেয়নি। ফলে প্রশাসনের কাজ শ্লথ হয়েছে, দলাদলি বেড়েছে, রাজনৈতিক প্রশ্রয় পেয়ে আমলাতন্ত্রে দুর্নীতি বেড়েছে।
এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে কীভাবে সংস্কার করা হবে প্রশাসন, সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মেধাভিত্তিক প্রশাসনে পদোন্নতি দিতে হয় যাচাই-বাছাই করে। নইলে মেধার মূল্য থাকে না। যাঁরা বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পদোন্নতিবঞ্চিত ছিলেন, যাঁদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা চলছে, যাঁদের যোগ্যতা নেই, তাঁদেরও ঢালাওভাবে পদোন্নতি দেওয়া ঠিক হবে না। বর্তমানে বিভিন্ন উপদেষ্টাকে ঘেরাও করে যেভাবে ন্যায্য-অন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছে মানুষ, তাতে সত্যিকারের সংস্কারচিন্তা ব্যাহত হতে পারে। গায়ের জোরে নিজেদের দাবি আদায়ের এই প্রক্রিয়াকে যথাযথ মনে করার কোনো কারণ নেই।
শুধু জনপ্রশাসনেই পদায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজেরা ঢুকে পড়ছে, এমন নয়। সামগ্রিকভাবে সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের ওপরের দিকের সবাইকে পদত্যাগে বাধ্য করায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে ঢুকে পড়তে পারে দুর্নীতিবাজেরা। যদি যোগ্য মানুষদের দিয়ে এই শূন্যস্থানগুলো পূরণ করা না হয়, তাহলে আরও একটি সর্বনাশের পথে পা বাড়াব আমরা। মনে রাখতে হবে, বৈষম্য দূর করতে গিয়ে এমন কিছু যেন করা না হয়, যাতে আবার নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে