মেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টার। দীর্ঘদিন মানহীন এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার নামে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রমরমা বাণিজ্যের ফাঁদে পড়ে পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এমনকি ভুল চিকিৎসা ও ভুল রিপোর্টে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেককে।
জেলার চার উপজেলায় এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে। মাঝে মাঝে এসব ক্লিনিকে অভিযান চালানো হলেও তা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এসব অবৈধ ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টার গড়ে উঠছে। জেলা শহরের সদর হাসপাতালের পাশে গড়ে ওঠা ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো নীতিমালা মানছে না। তা ছাড়া ১০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও আছে তিনগুণ। অভিযোগ আছে, যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকেন না, এমনকি নেই প্রশিক্ষিত নার্সও। জেলার ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোতে অদক্ষ কর্মী দিয়ে করানো হচ্ছে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ফলে রোগ নির্ণয় রিপোর্ট ভুল আসছে বলে অভিযোগ করছেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। জেলায় ক্লিনিকের সংখ্যা ৫৬টি এবং মোট প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ৮১টি। অনলাইনের আবেদনে নতুন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা নীতিমালার সব তথ্য সঠিক দিলেও মাঠপর্যায়ে তার মিল পায় না স্বাস্থ্য বিভাগ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এক শ্রেণির দালাল, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। অদক্ষ টেকনিশিয়ান ও প্যারামেডিকেল চিকিৎসক দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন স্বেচ্ছাসেবী জানান, সদর হাসপাতালের পাশে গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দালালের মাধ্যমে রোগী নেওয়া হয়। এ জন্য দালালেরা কমিশন পায়। এ ছাড়া শহরের রিকশা ও ভ্যানচালকরাও ক্লিনিকে রোগী নিয়ে গেলে বাড়তি টাকা পান।
এদিকে, কয়েক দিন আগেই সদর হাসপাতালে দালালবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন স্থানে অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে সদর উপজেলা প্রশাসন। জেলার কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুয়া ডাক্তার ও ক্লিনিকের অনুমোদন না থাকায় বন্ধ ঘোষণাসহ জরিমানাও করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম ভূঁইয়া বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা সামনে এসেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আমরা বসেছি। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়েছে। তাঁরা ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। কয়েক জায়গায় দেখা গেছে ভুয়া ডাক্তার সেবা দিচ্ছেন। মেডিকেল সনদ ছাড়াই। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ তিনজনকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ক্লিনিক মালিক সমিতির ১৫ দিন পূর্ণ হয়েছে। আমরা আবার মাঠে নামব।’
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ওয়ালিউর রহসান নয়ন বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সারা বছরই এগুলো তদারকি করা হয়। সিভিল সার্জন স্যারের নেতৃত্বে একটি কমিটিও আছে। দালাল এবং অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। আমি মনে করি, এ ধরনের অভিযান সারা বছর গ্রাম থেকে শুরু করে শহর সব স্থানেই পরিচালনা করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ এ ব্যাপারে তৎপর।’
চুয়াডাঙ্গায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টার। দীর্ঘদিন মানহীন এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার নামে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রমরমা বাণিজ্যের ফাঁদে পড়ে পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এমনকি ভুল চিকিৎসা ও ভুল রিপোর্টে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেককে।
জেলার চার উপজেলায় এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে। মাঝে মাঝে এসব ক্লিনিকে অভিযান চালানো হলেও তা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এসব অবৈধ ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টার গড়ে উঠছে। জেলা শহরের সদর হাসপাতালের পাশে গড়ে ওঠা ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো নীতিমালা মানছে না। তা ছাড়া ১০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও আছে তিনগুণ। অভিযোগ আছে, যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকেন না, এমনকি নেই প্রশিক্ষিত নার্সও। জেলার ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোতে অদক্ষ কর্মী দিয়ে করানো হচ্ছে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ফলে রোগ নির্ণয় রিপোর্ট ভুল আসছে বলে অভিযোগ করছেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। জেলায় ক্লিনিকের সংখ্যা ৫৬টি এবং মোট প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ৮১টি। অনলাইনের আবেদনে নতুন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা নীতিমালার সব তথ্য সঠিক দিলেও মাঠপর্যায়ে তার মিল পায় না স্বাস্থ্য বিভাগ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এক শ্রেণির দালাল, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। অদক্ষ টেকনিশিয়ান ও প্যারামেডিকেল চিকিৎসক দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন স্বেচ্ছাসেবী জানান, সদর হাসপাতালের পাশে গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দালালের মাধ্যমে রোগী নেওয়া হয়। এ জন্য দালালেরা কমিশন পায়। এ ছাড়া শহরের রিকশা ও ভ্যানচালকরাও ক্লিনিকে রোগী নিয়ে গেলে বাড়তি টাকা পান।
এদিকে, কয়েক দিন আগেই সদর হাসপাতালে দালালবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন স্থানে অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে সদর উপজেলা প্রশাসন। জেলার কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুয়া ডাক্তার ও ক্লিনিকের অনুমোদন না থাকায় বন্ধ ঘোষণাসহ জরিমানাও করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম ভূঁইয়া বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা সামনে এসেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আমরা বসেছি। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়েছে। তাঁরা ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। কয়েক জায়গায় দেখা গেছে ভুয়া ডাক্তার সেবা দিচ্ছেন। মেডিকেল সনদ ছাড়াই। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ তিনজনকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ক্লিনিক মালিক সমিতির ১৫ দিন পূর্ণ হয়েছে। আমরা আবার মাঠে নামব।’
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ওয়ালিউর রহসান নয়ন বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সারা বছরই এগুলো তদারকি করা হয়। সিভিল সার্জন স্যারের নেতৃত্বে একটি কমিটিও আছে। দালাল এবং অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। আমি মনে করি, এ ধরনের অভিযান সারা বছর গ্রাম থেকে শুরু করে শহর সব স্থানেই পরিচালনা করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ এ ব্যাপারে তৎপর।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে