সম্পাদকীয়
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে ৫ আগস্ট। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ হয়েছে ৮ আগস্ট। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাপরিষদের পরিধি বেড়েছে ১৬ আগস্ট। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত দিন, তাদের প্রকৃত পরিকল্পনা কী, তা এখনো কারও কাছেই স্পষ্ট নয়।
এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে কতটা সক্ষমতা এই সরকার দেখাতে পারবে, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। সরকারের কাজকর্ম সুচারুভাবে শুরু হয়েছে, তা-ও নয়। প্রশাসনসহ সব জায়গায় পরিবর্তনের হাওয়া শেষ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থা কবে ফিরবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সময়টা এখন অস্থির। তাই সবারই উচিত ধৈর্য ধারণ করা। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে জরুরি।
অন্ধ দলপ্রীতি, দম্ভ, বাড়াবাড়ি ও অপশাসনের কারণেই শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণের বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই তো হওয়া উচিত পতিত সরকারের কোনো ভুলের পুনরাবৃত্তি না করা। দম্ভ না দেখানো, কোনো কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা। সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে যাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁদের কাছে মানুষ দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে। মানুষকে আশাহত করা চলবে না।
এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকার কথাও আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই। কথা বলার অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা যদি গত সরকারের চরম ভুল হয়ে থাকে, তাহলে তো এখন যাঁরা পরিবর্তনের কান্ডারি, তাঁদের এ বিষয়টির প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে বলেই দেশ থেকে আওয়ামী লীগ নির্মূল হয়েছে বা আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে হবে—এমন মনোভাব পোষণ করা কি যুক্তিসংগত? আওয়ামী লীগের সমর্থক অসংখ্য মানুষ নিশ্চয়ই দুঃশাসনের ভাগীদার নয়। দোষীদের শাস্তি হোক, একজন নির্দোষ মানুষও হয়রানির শিকার না হোক।
বিএনপি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রতি আওয়ামী সরকার অগণতান্ত্রিক আচরণ করে ভুল করেছিল। এখন অনুকূল অবস্থা পেয়ে বিএনপিও যদি আওয়ামী লীগের ওপর চড়াও হওয়ার নীতি নিয়ে অগ্রসর হতে চায়, সেটা কি ঠিক হবে? আওয়ামী লীগের বাড়াবাড়ি দোষের হলে বিএনপির বাড়াবাড়ি প্রশংসনীয় হবে কেন?
বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় সমাবেশে আওয়ামী লীগের উদ্দেশে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে ওপরের কথাগুলো যেকোনো সুস্থ বুদ্ধির মানুষের মনে হওয়াই স্বাভাবিক নয় কি?
আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, ‘এখনো সময় আছে। আপনারা আর ঝামেলা কইরেন না। কারণ, ঝামেলা করলে আপনারা টিকতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তাই আমরা বলতে চাই—ভালোয় ভালোয় এসব ঝামেলা না করে আপনারা আত্মসমর্পণ করেন।’
বিএনপির মহাসচিব একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। তিনি নিশ্চয়ই এটা বোঝেন যে এখন সময়টা উত্তেজনা ছড়ানোর নয়। হুমকি-ধমকির রাজনীতির পরিণতি আমরা দেখেছি। ওই ধারা থেকে বেরিয়ে আসাই এখন সময়ের দাবি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে ৫ আগস্ট। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ হয়েছে ৮ আগস্ট। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাপরিষদের পরিধি বেড়েছে ১৬ আগস্ট। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত দিন, তাদের প্রকৃত পরিকল্পনা কী, তা এখনো কারও কাছেই স্পষ্ট নয়।
এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে কতটা সক্ষমতা এই সরকার দেখাতে পারবে, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। সরকারের কাজকর্ম সুচারুভাবে শুরু হয়েছে, তা-ও নয়। প্রশাসনসহ সব জায়গায় পরিবর্তনের হাওয়া শেষ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থা কবে ফিরবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সময়টা এখন অস্থির। তাই সবারই উচিত ধৈর্য ধারণ করা। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে জরুরি।
অন্ধ দলপ্রীতি, দম্ভ, বাড়াবাড়ি ও অপশাসনের কারণেই শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণের বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই তো হওয়া উচিত পতিত সরকারের কোনো ভুলের পুনরাবৃত্তি না করা। দম্ভ না দেখানো, কোনো কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা। সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে যাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁদের কাছে মানুষ দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে। মানুষকে আশাহত করা চলবে না।
এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকার কথাও আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই। কথা বলার অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা যদি গত সরকারের চরম ভুল হয়ে থাকে, তাহলে তো এখন যাঁরা পরিবর্তনের কান্ডারি, তাঁদের এ বিষয়টির প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে বলেই দেশ থেকে আওয়ামী লীগ নির্মূল হয়েছে বা আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে হবে—এমন মনোভাব পোষণ করা কি যুক্তিসংগত? আওয়ামী লীগের সমর্থক অসংখ্য মানুষ নিশ্চয়ই দুঃশাসনের ভাগীদার নয়। দোষীদের শাস্তি হোক, একজন নির্দোষ মানুষও হয়রানির শিকার না হোক।
বিএনপি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রতি আওয়ামী সরকার অগণতান্ত্রিক আচরণ করে ভুল করেছিল। এখন অনুকূল অবস্থা পেয়ে বিএনপিও যদি আওয়ামী লীগের ওপর চড়াও হওয়ার নীতি নিয়ে অগ্রসর হতে চায়, সেটা কি ঠিক হবে? আওয়ামী লীগের বাড়াবাড়ি দোষের হলে বিএনপির বাড়াবাড়ি প্রশংসনীয় হবে কেন?
বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় সমাবেশে আওয়ামী লীগের উদ্দেশে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে ওপরের কথাগুলো যেকোনো সুস্থ বুদ্ধির মানুষের মনে হওয়াই স্বাভাবিক নয় কি?
আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, ‘এখনো সময় আছে। আপনারা আর ঝামেলা কইরেন না। কারণ, ঝামেলা করলে আপনারা টিকতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তাই আমরা বলতে চাই—ভালোয় ভালোয় এসব ঝামেলা না করে আপনারা আত্মসমর্পণ করেন।’
বিএনপির মহাসচিব একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। তিনি নিশ্চয়ই এটা বোঝেন যে এখন সময়টা উত্তেজনা ছড়ানোর নয়। হুমকি-ধমকির রাজনীতির পরিণতি আমরা দেখেছি। ওই ধারা থেকে বেরিয়ে আসাই এখন সময়ের দাবি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে