সম্পাদকীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন তিনি, কিন্তু ছাত্রদের মনে করতেন একেবারেই ছোট বাচ্চা। রাগ করতেন তাঁদের ওপর, আদরও করতেন। বেত হাতে ক্লাসে আসা পাঠশালার গুরু মশাইকে যেমন ভয় পেত শিশুরা, ড. এনামুল হককে দেখে এমএ ক্লাসের ছাত্ররাও কখনো কখনো তেমনই ভয় পেতেন। কিন্তু তাঁর ভালোবাসায় সিক্ত হলেই কেবল বোঝা যেত এই মানুষটির গভীরতা।
সাধারণত তাঁর ক্লাসে সামনের সারিতে কেউ বসতে চাইতেন না। তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব, বাংলা ভাষার ইতিহাস আর চর্যাপদ পড়াতে গিয়ে তিনি যা বলতেন, তার নির্যাস লিখে নিতে হতো। তিনি আবার কখনো কখনো উঁকি দিয়ে দেখতেন, ছাত্ররা কী লিখছেন খাতায়। একটু ভুল পেলেই ছাত্রদের মাথায় প্রকাণ্ড চাটি মেরে বলে উঠতেন, ‘কী লিখেছিস হতভাগা?’একদিন ক্লাসে এসে বললেন, ‘লেখো, চর্যাপদের ভাষা-বিচার’।
শিরোনাম লিখে সবাই অপেক্ষা করছেন। সামনের সারির কয়েকজনের খাতার দিকে তাকিয়ে তাঁর মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে উঠল। একসময় চিৎকার করে উঠলেন, ‘মূর্খ! সব মূর্খ!...কতগুলো গাধা-গরু স্কুল-কলেজে মাস্টার হয়ে যাবে, আর কতগুলো গাধা-গরু তৈরি করে এখানে পাঠাবে!’
কেউ কিছু বুঝতে পারছে না, তবে লজ্জায় মরে যাচ্ছে। কী এমন ভুল করা হলো, যার জন্য চতুষ্পদ প্রাণীদের সঙ্গে তুলনা করলেন ড. এনামুল হক! গালাগাল করে যখন ক্লান্ত হলেন, তখন তাঁর অন্য এক রূপ। একেবারে সৌম্য, শান্ত। বললেন, ‘ভাষা-বিচার লিখতে হলে ভাষা আর বিচারের মধ্যে একটা হাইফেন দিতে হয়।’ একাধিক শব্দ মিলে যখন একটি সমাসবদ্ধ শব্দ গঠিত হয়, তখন তা যদি সন্ধির সাহায্যে একীভূত হয়ে না যায়, তবে সে শব্দগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য অবশ্যই হাইফেন ব্যবহার করতে হবে। ভাষা বিচার লিখলে তার কোনো অর্থই হয় না, অথচ ছাত্রদের সবাই কিন্তু ভাষা-বিচার না লিখে ভাষা বিচার লিখে বসে আছে।হাইফেনের ব্যবহার জেনে শিক্ষকের গালগুলোকে তখন অমৃত বলে মনে হলো ছাত্রদের।
সূত্র: যতীন সরকার, বরণীয় জনের স্মৃতি কৃতি নীতি, পৃষ্ঠা ৯৯-১০১
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন তিনি, কিন্তু ছাত্রদের মনে করতেন একেবারেই ছোট বাচ্চা। রাগ করতেন তাঁদের ওপর, আদরও করতেন। বেত হাতে ক্লাসে আসা পাঠশালার গুরু মশাইকে যেমন ভয় পেত শিশুরা, ড. এনামুল হককে দেখে এমএ ক্লাসের ছাত্ররাও কখনো কখনো তেমনই ভয় পেতেন। কিন্তু তাঁর ভালোবাসায় সিক্ত হলেই কেবল বোঝা যেত এই মানুষটির গভীরতা।
সাধারণত তাঁর ক্লাসে সামনের সারিতে কেউ বসতে চাইতেন না। তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব, বাংলা ভাষার ইতিহাস আর চর্যাপদ পড়াতে গিয়ে তিনি যা বলতেন, তার নির্যাস লিখে নিতে হতো। তিনি আবার কখনো কখনো উঁকি দিয়ে দেখতেন, ছাত্ররা কী লিখছেন খাতায়। একটু ভুল পেলেই ছাত্রদের মাথায় প্রকাণ্ড চাটি মেরে বলে উঠতেন, ‘কী লিখেছিস হতভাগা?’একদিন ক্লাসে এসে বললেন, ‘লেখো, চর্যাপদের ভাষা-বিচার’।
শিরোনাম লিখে সবাই অপেক্ষা করছেন। সামনের সারির কয়েকজনের খাতার দিকে তাকিয়ে তাঁর মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে উঠল। একসময় চিৎকার করে উঠলেন, ‘মূর্খ! সব মূর্খ!...কতগুলো গাধা-গরু স্কুল-কলেজে মাস্টার হয়ে যাবে, আর কতগুলো গাধা-গরু তৈরি করে এখানে পাঠাবে!’
কেউ কিছু বুঝতে পারছে না, তবে লজ্জায় মরে যাচ্ছে। কী এমন ভুল করা হলো, যার জন্য চতুষ্পদ প্রাণীদের সঙ্গে তুলনা করলেন ড. এনামুল হক! গালাগাল করে যখন ক্লান্ত হলেন, তখন তাঁর অন্য এক রূপ। একেবারে সৌম্য, শান্ত। বললেন, ‘ভাষা-বিচার লিখতে হলে ভাষা আর বিচারের মধ্যে একটা হাইফেন দিতে হয়।’ একাধিক শব্দ মিলে যখন একটি সমাসবদ্ধ শব্দ গঠিত হয়, তখন তা যদি সন্ধির সাহায্যে একীভূত হয়ে না যায়, তবে সে শব্দগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য অবশ্যই হাইফেন ব্যবহার করতে হবে। ভাষা বিচার লিখলে তার কোনো অর্থই হয় না, অথচ ছাত্রদের সবাই কিন্তু ভাষা-বিচার না লিখে ভাষা বিচার লিখে বসে আছে।হাইফেনের ব্যবহার জেনে শিক্ষকের গালগুলোকে তখন অমৃত বলে মনে হলো ছাত্রদের।
সূত্র: যতীন সরকার, বরণীয় জনের স্মৃতি কৃতি নীতি, পৃষ্ঠা ৯৯-১০১
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে