মনিরামপুর প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরের পলাশী মোড়ে মাছ ও সবজির দোকানঘর উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসানের নেতৃত্বে চলে এ উচ্ছেদ অভিযান।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী, রোহিতা ইউপির সচিব কৃষ্ণ গোপাল মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন।
পলাশী মোড়ের দুটি পাকা সড়কের পাশে গড়ে ওঠা দোকানের সংখ্যা ছিল প্রায় অর্ধশত। সেখানে খুঁটির ওপর চালা দিয়ে সপ্তাহে তিন দিন সকাল-সন্ধ্যা সবজি ও মাছ বিক্রেতারা বসতেন।
অনুমোদনহীন হাট বসানোয় উচ্ছেদ অভিযান চলেছে বলে জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান।
এদিকে উচ্ছেদের ফলে অর্ধশত দোকানি জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। দোকানিদের অভিযোগ, পলাশী মোড়ের কাছে গোয়ালদহ হাটের ইজারাদারের অত্যাচার সইতে না পেরে তাঁরা এ মোড়ে দোকান বসিয়েছিলেন। এখন তাঁদের কোথাও সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কীভাবে সংসার চলবে তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
জানা গেছে, উচ্ছেদ হওয়া দোকানিদের বাড়ি মনিরামপুর উপজেলায়। আগে তাঁরা যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদহ হাটে দোকান নিয়ে বসতেন।
আশপাশের হাটগুলোতে হাটপ্রতি ১০-১৫ টাকা খাজনা দিতে হলেও এ হাটে ছিল ভিন্ন। এ হাটের ইজারাদার ইয়াসিন এসব দোকানিদের নানাভাবে হয়রানি করতেন।
বেচা–কেনা না হলেও হাটপ্রতি ইজারাদারকে ১৫০-২০০ টাকা দিতে হতো তাঁদের। এ কারণে গোয়ালদহ হাট ছেড়ে তাঁরা সপ্তাহে শনি, সোম ও বুধবার পলাশি মোড়ে পাকা সড়কের দুধারে দোকান বসাতে শুরু করেন।
প্রায় এক বছর আগে পলাশী মোড়ে হাট বসা শুরু হয়। ধীরে ধীরে হাটে দোকান সংখ্যা বাড়তে থাকে। পলাশী, রাজবাড়ি, এড়েন্দা ও রোহিতা এলাকার অর্ধশত দোকানি এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবজি ও মাছ বিক্রি করতেন।
রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কৃষ্ণ গোপাল মুখার্জি বলেন, ‘পলাশী মোড়ে হাটের কোনো অনুমোদন নেই। হাট বসাতে গেলে সরকারি জমি লাগে। হাটের ইজারা হয়। এখানে সেসব ছিল না। এ মোড়ের সবজি ও মাছ বিক্রেতারা আগে গোয়ালদহ বাজারে বসতেন। তাঁরা সেখানে নির্যাতিত হওয়ায় রাগ করে এ মোড়ে হাট বসিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।’
সচিব বলেন, ‘এতে গোয়ালদহ বাজারের ইজারাদার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন। দুই মাস আগে ইউএনও আমাকে পলাশী মোড়ে পাঠিয়েছিলেন। আমি দোকানিদের চাল খুলে সরে যেতে বলেছি। তাঁরা সরে না যাওয়ায় ইউএনও ও এসিল্যান্ড উপস্থিত থেকে হাট উচ্ছেদ করে দিয়েছেন।’
পলাশী মোড়ের মাছ বিক্রেতা আব্দুল কাদের বলেন, ‘উচ্ছেদ করে দেওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। গোয়ালদহ বাজারে নির্যাতন সইতে না পেরে এখানে এসে হাট বসাইছি। আর গোয়ালদহ বাজারে ফিরে যাব না। প্রয়োজনে মাঠে কাজ করে খাব।’
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসানবলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কথা বলব না। ডিসি স্যারের অর্ডারে এটা করেছি।’০–
যশোরের মনিরামপুরের পলাশী মোড়ে মাছ ও সবজির দোকানঘর উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসানের নেতৃত্বে চলে এ উচ্ছেদ অভিযান।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী, রোহিতা ইউপির সচিব কৃষ্ণ গোপাল মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন।
পলাশী মোড়ের দুটি পাকা সড়কের পাশে গড়ে ওঠা দোকানের সংখ্যা ছিল প্রায় অর্ধশত। সেখানে খুঁটির ওপর চালা দিয়ে সপ্তাহে তিন দিন সকাল-সন্ধ্যা সবজি ও মাছ বিক্রেতারা বসতেন।
অনুমোদনহীন হাট বসানোয় উচ্ছেদ অভিযান চলেছে বলে জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান।
এদিকে উচ্ছেদের ফলে অর্ধশত দোকানি জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। দোকানিদের অভিযোগ, পলাশী মোড়ের কাছে গোয়ালদহ হাটের ইজারাদারের অত্যাচার সইতে না পেরে তাঁরা এ মোড়ে দোকান বসিয়েছিলেন। এখন তাঁদের কোথাও সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কীভাবে সংসার চলবে তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
জানা গেছে, উচ্ছেদ হওয়া দোকানিদের বাড়ি মনিরামপুর উপজেলায়। আগে তাঁরা যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদহ হাটে দোকান নিয়ে বসতেন।
আশপাশের হাটগুলোতে হাটপ্রতি ১০-১৫ টাকা খাজনা দিতে হলেও এ হাটে ছিল ভিন্ন। এ হাটের ইজারাদার ইয়াসিন এসব দোকানিদের নানাভাবে হয়রানি করতেন।
বেচা–কেনা না হলেও হাটপ্রতি ইজারাদারকে ১৫০-২০০ টাকা দিতে হতো তাঁদের। এ কারণে গোয়ালদহ হাট ছেড়ে তাঁরা সপ্তাহে শনি, সোম ও বুধবার পলাশি মোড়ে পাকা সড়কের দুধারে দোকান বসাতে শুরু করেন।
প্রায় এক বছর আগে পলাশী মোড়ে হাট বসা শুরু হয়। ধীরে ধীরে হাটে দোকান সংখ্যা বাড়তে থাকে। পলাশী, রাজবাড়ি, এড়েন্দা ও রোহিতা এলাকার অর্ধশত দোকানি এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবজি ও মাছ বিক্রি করতেন।
রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কৃষ্ণ গোপাল মুখার্জি বলেন, ‘পলাশী মোড়ে হাটের কোনো অনুমোদন নেই। হাট বসাতে গেলে সরকারি জমি লাগে। হাটের ইজারা হয়। এখানে সেসব ছিল না। এ মোড়ের সবজি ও মাছ বিক্রেতারা আগে গোয়ালদহ বাজারে বসতেন। তাঁরা সেখানে নির্যাতিত হওয়ায় রাগ করে এ মোড়ে হাট বসিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।’
সচিব বলেন, ‘এতে গোয়ালদহ বাজারের ইজারাদার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন। দুই মাস আগে ইউএনও আমাকে পলাশী মোড়ে পাঠিয়েছিলেন। আমি দোকানিদের চাল খুলে সরে যেতে বলেছি। তাঁরা সরে না যাওয়ায় ইউএনও ও এসিল্যান্ড উপস্থিত থেকে হাট উচ্ছেদ করে দিয়েছেন।’
পলাশী মোড়ের মাছ বিক্রেতা আব্দুল কাদের বলেন, ‘উচ্ছেদ করে দেওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। গোয়ালদহ বাজারে নির্যাতন সইতে না পেরে এখানে এসে হাট বসাইছি। আর গোয়ালদহ বাজারে ফিরে যাব না। প্রয়োজনে মাঠে কাজ করে খাব।’
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসানবলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কথা বলব না। ডিসি স্যারের অর্ডারে এটা করেছি।’০–
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে