নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের শ্রমিক, কৃষক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক ভাতাভোগী বিশেষ জনগোষ্ঠীর ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে। যার মূলে ছিল ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকার হিসাব চালুর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ। সুবিধাবঞ্চিত এই জনগোষ্ঠীর মোট হিসাবের ৫৫ শতাংশই সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অধীনে। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের আওতাভুক্ত হিসাবের সংখ্যা ২৭ শতাংশ ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ১৮ শতাংশ। কিন্তু এ ধরনের বিশেষ শ্রেণি-পেশার হিসাবের সংখ্যা বাড়লেও উল্টো কমেছে সঞ্চয়ের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ক্ষুদ্র হিসাবধারীদের হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪০টি, যা গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল ২ কোটি ৪৯ লাখ ৯৩১টি। তিন মাসের ব্যবধানে হিসাব বেড়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৭০৯টি। এতে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১ দশমিক ১১ শতাংশ। একইভাবে গত মার্চ পর্যন্ত ক্ষুদ্র হিসাবধারীদের সঞ্চয় করা আমানতের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৫৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আর গত বছরের ডিসেম্বরে এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৬২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসে সঞ্চয় কমেছে ৯৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১০ সালে সুবিধাবঞ্চিত বিশেষ জনগোষ্ঠীকে ১০ টাকা, ৫০ টাকা এবং ১০০ টাকার ব্যাংক হিসাব খোলার বিশেষ উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব হিসাব সচল রাখতে ২০১৫ সালে ২০০ কোটি টাকার একটি পুনঃ অর্থায়ন তহবিল করা হয়েছে। যেখান থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি করোনার সময় থেকে সুদের হার কমানো হয় এবং বিশেষ ঋণের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়। এ ছাড়া এসব গ্রাহকের হিসাবে ন্যূনতম স্থিতি রাখারও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে ব্যাংকের দিকে তেমন একটা ধাবিত হচ্ছেন না। আর বিশেষ প্রয়োজনে অনেকে হিসাব খোলা অব্যাহত রাখলেও তাঁদের কেউ কেউ সঞ্চয় করছেন না। এতে হিসাব বাড়লেও কমেছে সঞ্চয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিভিন্ন খাতে খোলা বিশেষ হিসাবধারীদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ হিসাব কৃষকের। ২০২২ সালের মার্চ শেষে কৃষকের হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৩৩টি। এসব হিসাবে আমানত জমা হয়েছে ৫১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় খোলা হয়েছে ৩৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৯টি। ২০২২ সালের মার্চ শেষে এসব হিসাবে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগী ব্যাংক হিসাব ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮৩৭টি। এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ ৭৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত ৭২ হাজার ৬৯০টি হিসাব রয়েছে। এসব হিসাবে ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা আমানত রয়েছে।
দেশের শ্রমিক, কৃষক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক ভাতাভোগী বিশেষ জনগোষ্ঠীর ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে। যার মূলে ছিল ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকার হিসাব চালুর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ। সুবিধাবঞ্চিত এই জনগোষ্ঠীর মোট হিসাবের ৫৫ শতাংশই সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অধীনে। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের আওতাভুক্ত হিসাবের সংখ্যা ২৭ শতাংশ ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ১৮ শতাংশ। কিন্তু এ ধরনের বিশেষ শ্রেণি-পেশার হিসাবের সংখ্যা বাড়লেও উল্টো কমেছে সঞ্চয়ের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ক্ষুদ্র হিসাবধারীদের হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪০টি, যা গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল ২ কোটি ৪৯ লাখ ৯৩১টি। তিন মাসের ব্যবধানে হিসাব বেড়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৭০৯টি। এতে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১ দশমিক ১১ শতাংশ। একইভাবে গত মার্চ পর্যন্ত ক্ষুদ্র হিসাবধারীদের সঞ্চয় করা আমানতের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৫৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আর গত বছরের ডিসেম্বরে এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৬২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসে সঞ্চয় কমেছে ৯৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১০ সালে সুবিধাবঞ্চিত বিশেষ জনগোষ্ঠীকে ১০ টাকা, ৫০ টাকা এবং ১০০ টাকার ব্যাংক হিসাব খোলার বিশেষ উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব হিসাব সচল রাখতে ২০১৫ সালে ২০০ কোটি টাকার একটি পুনঃ অর্থায়ন তহবিল করা হয়েছে। যেখান থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি করোনার সময় থেকে সুদের হার কমানো হয় এবং বিশেষ ঋণের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়। এ ছাড়া এসব গ্রাহকের হিসাবে ন্যূনতম স্থিতি রাখারও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে ব্যাংকের দিকে তেমন একটা ধাবিত হচ্ছেন না। আর বিশেষ প্রয়োজনে অনেকে হিসাব খোলা অব্যাহত রাখলেও তাঁদের কেউ কেউ সঞ্চয় করছেন না। এতে হিসাব বাড়লেও কমেছে সঞ্চয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিভিন্ন খাতে খোলা বিশেষ হিসাবধারীদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ হিসাব কৃষকের। ২০২২ সালের মার্চ শেষে কৃষকের হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৩৩টি। এসব হিসাবে আমানত জমা হয়েছে ৫১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় খোলা হয়েছে ৩৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৯টি। ২০২২ সালের মার্চ শেষে এসব হিসাবে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগী ব্যাংক হিসাব ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮৩৭টি। এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ ৭৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত ৭২ হাজার ৬৯০টি হিসাব রয়েছে। এসব হিসাবে ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা আমানত রয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে