শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এক যুগ্ম পরিচালকের নাম উঠে এসেছে পুলিশের তদন্তে। তাঁকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। এরপরও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় নিজেদের কোনো দায় নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক চিঠির জবাবে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনা হয়। সর্বশেষ গত নভেম্বরে ‘অফিসার ক্যাশ’ শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। সে ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১৬ জন। জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তারও। ব্যাপক আলোচনার মুখে বাতিল হয় সেই নিয়োগ পরীক্ষা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহাদত হোসেন সুমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্নফাঁস নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করে। ব্যাংক এ বিষয়ে কোনো দায় না নিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। তদন্তকারীরা এখন সেভাবেই এগোচ্ছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক সিফাতুদ্দোজা মুহাম্মদ ছগির স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয় ১৪টি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দশম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদানের নিয়মানুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে দেয়। সে প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজ দায়িত্বে প্রশ্নপত্র তৈরি, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ে পাঠায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশ্নপত্র প্রণয়নসংক্রান্ত কোনো কমিটি গঠন করে না। তাই কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকারও সুযোগ নেই। সর্বশেষ টেন্ডারের মাধ্যমে এ নিয়োগ পরীক্ষায় দায়িত্ব পেয়েছিল আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংক দায় না দেখলেও গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের তদন্তে প্রশ্নফাঁস চক্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আলমাছ আলীর নাম উঠে এসেছে। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। পরীক্ষায় সিট, প্রশ্নপত্র, ভাইভা বোর্ডে ম্যানেজসহ নানা বিষয়ে জড়িয়ে থাকতেন চক্রের সঙ্গে। এসব কারণে সম্প্রতি আলমাছ আলী সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। সর্বশেষ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
অভিযুক্ত আলমাছের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বক্তব্যও মেলেনি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় এমন অনেক কর্মীই বরখাস্ত হয়েছেন। কারওটা আলাদা করে মনে নেই।
গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অধীন ৫টি ব্যাংকের ১ হাজার ৫১১টি অফিসার (ক্যাশ) শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পুরো পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে পরীক্ষার দিনই।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত কমিশনার কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, প্রশ্নফাঁসের মামলায় বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা, প্রেসের কর্মচারীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মোট সদস্য ২০ জন। প্রশ্নপত্র তাঁরা ৩৫ লাখ টাকা করে কিনতেন। পরে সেগুলো কয়েক গুণ দামে বিক্রি করতেন। এঁদের মাধ্যমে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়েছেন অনন্ত ২০০ জন। যাঁদের অধিকাংশই এই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। পুলিশ তাঁদেরও তালিকা করছে। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতের স্বীকারোক্তিতে আসামিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এক যুগ্ম পরিচালকের নাম উঠে এসেছে পুলিশের তদন্তে। তাঁকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। এরপরও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় নিজেদের কোনো দায় নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক চিঠির জবাবে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনা হয়। সর্বশেষ গত নভেম্বরে ‘অফিসার ক্যাশ’ শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। সে ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১৬ জন। জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তারও। ব্যাপক আলোচনার মুখে বাতিল হয় সেই নিয়োগ পরীক্ষা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহাদত হোসেন সুমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্নফাঁস নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করে। ব্যাংক এ বিষয়ে কোনো দায় না নিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। তদন্তকারীরা এখন সেভাবেই এগোচ্ছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক সিফাতুদ্দোজা মুহাম্মদ ছগির স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয় ১৪টি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দশম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদানের নিয়মানুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে দেয়। সে প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজ দায়িত্বে প্রশ্নপত্র তৈরি, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ে পাঠায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশ্নপত্র প্রণয়নসংক্রান্ত কোনো কমিটি গঠন করে না। তাই কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকারও সুযোগ নেই। সর্বশেষ টেন্ডারের মাধ্যমে এ নিয়োগ পরীক্ষায় দায়িত্ব পেয়েছিল আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংক দায় না দেখলেও গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের তদন্তে প্রশ্নফাঁস চক্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আলমাছ আলীর নাম উঠে এসেছে। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। পরীক্ষায় সিট, প্রশ্নপত্র, ভাইভা বোর্ডে ম্যানেজসহ নানা বিষয়ে জড়িয়ে থাকতেন চক্রের সঙ্গে। এসব কারণে সম্প্রতি আলমাছ আলী সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। সর্বশেষ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
অভিযুক্ত আলমাছের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বক্তব্যও মেলেনি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় এমন অনেক কর্মীই বরখাস্ত হয়েছেন। কারওটা আলাদা করে মনে নেই।
গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অধীন ৫টি ব্যাংকের ১ হাজার ৫১১টি অফিসার (ক্যাশ) শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পুরো পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে পরীক্ষার দিনই।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত কমিশনার কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, প্রশ্নফাঁসের মামলায় বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা, প্রেসের কর্মচারীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মোট সদস্য ২০ জন। প্রশ্নপত্র তাঁরা ৩৫ লাখ টাকা করে কিনতেন। পরে সেগুলো কয়েক গুণ দামে বিক্রি করতেন। এঁদের মাধ্যমে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়েছেন অনন্ত ২০০ জন। যাঁদের অধিকাংশই এই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। পুলিশ তাঁদেরও তালিকা করছে। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতের স্বীকারোক্তিতে আসামিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে