শামিমুজ্জামান, খুলনা
তিন যুগেও নিরসন হয়নি ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার মধ্যকার বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনে এ পর্যন্ত ৪০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্রকল্পের কাজ হলেও এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। দীর্ঘদিনের এ সমস্যায় কৃষিকাজ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার শত শত কৃষক। এমন পরিস্থিতে শিগগির এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। আবারও ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার খানজাহান আলী থানার প্রায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিজুড়ে বিল ডাকাতিয়া। আশির দশকেও এখানে বছরে তিনবার ফসল হতো। কিন্তু ১৯৮৪ সালের বন্যায় বিলটি প্লাবিত হয়।
আরও জানা গেছে, এ বিলের পানি ডুমুরিয়ার হামকুড়া নদী দিয়ে নেমে যেত। কিন্তু ওই নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি না নেমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তার পর থেকে এ এলাকার ৫০ হাজারের বেশি মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন সরকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬৮ কোটি টাকার প্রকল্প নিলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ হয়। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড ইমার্জেন্সি অ্যাকশন প্ল্যানের আলোকে ১৯৯২-৯৩ সালে খুলনা-যশোর নিষ্কাশন পুনর্বাসন প্রকল্প (কেজেডিআরপি) নামে ২২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয়। ওই প্রকল্পের আওতায় ৩০ কিলোমিটার নদী খনন, ৫৫৫ কিলোমিটার খাল খনন, ১১১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ৩৮টি কালভার্ট ও ৩০টি সেতু নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি আরও কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লু গোল্ড নামে একটি প্রকল্পের কাজ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এত টাকার কাজ করা হলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি।
এ বিষয়ে বিল মুজারঘোটা গ্রামের রণজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘এত বছরেও জলাবদ্ধতার সমাধান হয়নি। ফসল হয় না ঠিকমতো। আমাদের দুঃখ রয়েই গেছে।’
রেখা রানী রায় নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘শুধু প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু পানি কমে না।’
বটবাড়িয়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সারা বছর পানি থাকে। ফসল না হওয়ায় মাছ মেরে সংসার চালাই। শুধু টাকা খরচ করে প্রকল্প নিয়ে লাভ নেই। নদী খনন করতে হবে। পানি নামাতে না পারলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিল ডাকাতিয়া অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি বিল। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার নতুন একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রায় ১ লাখ একর জমি ফসল আবাদের উপযোগী হবে; যাতে প্রায় দেড় লাখ টন ফসল উৎপাদন হবে।’
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘ডুমুরিয়া, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা, খুলনা কোতোয়ালি, যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার প্রায় আট লাখ জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ বিলের সঙ্গে যুক্ত। বিরাট এ জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ লাঘবে নতুন যে প্রকল্প নেওয়ার কথা চলছে, তা বাস্তবায়িত হলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন ব্যয়ে সরকারের অর্থের অপচয় হয়। তাই কোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে সুদূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা উচিত।’
তিন যুগেও নিরসন হয়নি ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার মধ্যকার বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনে এ পর্যন্ত ৪০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্রকল্পের কাজ হলেও এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। দীর্ঘদিনের এ সমস্যায় কৃষিকাজ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার শত শত কৃষক। এমন পরিস্থিতে শিগগির এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। আবারও ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার খানজাহান আলী থানার প্রায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিজুড়ে বিল ডাকাতিয়া। আশির দশকেও এখানে বছরে তিনবার ফসল হতো। কিন্তু ১৯৮৪ সালের বন্যায় বিলটি প্লাবিত হয়।
আরও জানা গেছে, এ বিলের পানি ডুমুরিয়ার হামকুড়া নদী দিয়ে নেমে যেত। কিন্তু ওই নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি না নেমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তার পর থেকে এ এলাকার ৫০ হাজারের বেশি মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন সরকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬৮ কোটি টাকার প্রকল্প নিলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ হয়। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড ইমার্জেন্সি অ্যাকশন প্ল্যানের আলোকে ১৯৯২-৯৩ সালে খুলনা-যশোর নিষ্কাশন পুনর্বাসন প্রকল্প (কেজেডিআরপি) নামে ২২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয়। ওই প্রকল্পের আওতায় ৩০ কিলোমিটার নদী খনন, ৫৫৫ কিলোমিটার খাল খনন, ১১১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ৩৮টি কালভার্ট ও ৩০টি সেতু নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি আরও কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লু গোল্ড নামে একটি প্রকল্পের কাজ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এত টাকার কাজ করা হলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি।
এ বিষয়ে বিল মুজারঘোটা গ্রামের রণজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘এত বছরেও জলাবদ্ধতার সমাধান হয়নি। ফসল হয় না ঠিকমতো। আমাদের দুঃখ রয়েই গেছে।’
রেখা রানী রায় নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘শুধু প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু পানি কমে না।’
বটবাড়িয়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সারা বছর পানি থাকে। ফসল না হওয়ায় মাছ মেরে সংসার চালাই। শুধু টাকা খরচ করে প্রকল্প নিয়ে লাভ নেই। নদী খনন করতে হবে। পানি নামাতে না পারলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিল ডাকাতিয়া অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি বিল। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার নতুন একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রায় ১ লাখ একর জমি ফসল আবাদের উপযোগী হবে; যাতে প্রায় দেড় লাখ টন ফসল উৎপাদন হবে।’
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘ডুমুরিয়া, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা, খুলনা কোতোয়ালি, যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার প্রায় আট লাখ জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ বিলের সঙ্গে যুক্ত। বিরাট এ জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ লাঘবে নতুন যে প্রকল্প নেওয়ার কথা চলছে, তা বাস্তবায়িত হলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন ব্যয়ে সরকারের অর্থের অপচয় হয়। তাই কোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে সুদূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা উচিত।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে