রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহী শহরে বেশির ভাগ ভবন নির্মাণের সময়ই শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। ফলে বিপন্ন হয়ে উঠেছে শ্রমিকের জীবন। কয়েক মাসের মধ্যে নির্মাণাধীন বহুতল ভবন থেকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েজন শ্রমিক। সেই সঙ্গে ঘটছে আহতের ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন কিংবা সরকারি কোনো ভবনের ক্ষেত্রেই শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কিংবা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। শ্রমিক নিহত হচ্ছেন, কিন্তু মালিকপক্ষ আইনের আওতায় আসছেন না।
গত ১৯ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ভেতর নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে মাথায় ইট পড়ে নাজিম উদ্দিন (৫০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ ঠিকাদারের মাধ্যমে এ ভবন নির্মাণ করছে। দুর্ঘটনার দিন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেছিলেন, নির্মাণকাজে সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও ঠিকাদারের লোকজন তা শোনেননি।
গত ৮ জানুয়ারি আলেক (৩৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)। রাবি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন সংস্কার কাজের সময় ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে সম্প্রতি নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় নির্মাণাধীন একটি পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে পবা উপজেলার এক নির্মাণ শ্রমিক আহত হন। এর কয়দিন পর এ ভবনটির পাশেরই আরেকটি পাঁচতলা নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আরেক নির্মাণ শ্রমিক আহত হন। শহরে এখন অসংখ্য ভবনের নির্মাণকাজ চলছে নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই। চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
দেশের আইন অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেলে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মালিকপক্ষকে। জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুযায়ী, কাজের সময় শ্রমিকের মাথায় হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। কংক্রিটের কাজের শ্রমিকদের হাতে গ্লাভস ও চোখের জন্য ক্ষতিকর কাজ হলে শ্রমিকদের চশমা ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভবনের ওপরে কাজ করার সময় শ্রমিকের নিরাপত্তায় বেল্ট ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তবে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের (ইনসাব) জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি আজিজুল হক বাঙালী বলেন, ‘রাজশাহীতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার অভাব খুব বেশি। বহুতল ভবনে মালিকেরা জোরপূর্বক কাজ করাচ্ছেন নিরাপত্তা ছাড়াই। সাব-কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে মালিকপক্ষ চুক্তিই করে নিচ্ছে যে, নিরাপত্তা ছাড়াই খরচ কমিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে মালিকের কোনো দায় নেই। আমরা ভবনগুলোর নিরাপত্তা বেষ্টনী চাই।’ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়ছে বলেও মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরডিএর অথরাইজড অফিসার আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নকশা অনুমোদন দেওয়ার সময় বলেই দিই যে ভবন নির্মাণের সময় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সাইটের প্রকৌশলীকেও বিষয়টা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ যদি নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত না করে তাহলে আমাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো আইনগত বিধান নেই। এ ক্ষেত্রে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগ ব্যবস্থা নিতে পারে।’
এ বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের শ্রম পরিদর্শক (সেফটি) হারুন-অর-রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা আলাদা একটা কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি। ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টা এখন দেখা হচ্ছে না। তবে কোথাও শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেলে আমরা তদন্ত করি। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিই।’
রাজশাহী শহরে বেশির ভাগ ভবন নির্মাণের সময়ই শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। ফলে বিপন্ন হয়ে উঠেছে শ্রমিকের জীবন। কয়েক মাসের মধ্যে নির্মাণাধীন বহুতল ভবন থেকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েজন শ্রমিক। সেই সঙ্গে ঘটছে আহতের ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন কিংবা সরকারি কোনো ভবনের ক্ষেত্রেই শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কিংবা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। শ্রমিক নিহত হচ্ছেন, কিন্তু মালিকপক্ষ আইনের আওতায় আসছেন না।
গত ১৯ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ভেতর নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে মাথায় ইট পড়ে নাজিম উদ্দিন (৫০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ ঠিকাদারের মাধ্যমে এ ভবন নির্মাণ করছে। দুর্ঘটনার দিন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেছিলেন, নির্মাণকাজে সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও ঠিকাদারের লোকজন তা শোনেননি।
গত ৮ জানুয়ারি আলেক (৩৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)। রাবি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন সংস্কার কাজের সময় ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে সম্প্রতি নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় নির্মাণাধীন একটি পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে পবা উপজেলার এক নির্মাণ শ্রমিক আহত হন। এর কয়দিন পর এ ভবনটির পাশেরই আরেকটি পাঁচতলা নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আরেক নির্মাণ শ্রমিক আহত হন। শহরে এখন অসংখ্য ভবনের নির্মাণকাজ চলছে নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই। চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
দেশের আইন অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেলে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মালিকপক্ষকে। জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুযায়ী, কাজের সময় শ্রমিকের মাথায় হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। কংক্রিটের কাজের শ্রমিকদের হাতে গ্লাভস ও চোখের জন্য ক্ষতিকর কাজ হলে শ্রমিকদের চশমা ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভবনের ওপরে কাজ করার সময় শ্রমিকের নিরাপত্তায় বেল্ট ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তবে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের (ইনসাব) জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি আজিজুল হক বাঙালী বলেন, ‘রাজশাহীতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার অভাব খুব বেশি। বহুতল ভবনে মালিকেরা জোরপূর্বক কাজ করাচ্ছেন নিরাপত্তা ছাড়াই। সাব-কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে মালিকপক্ষ চুক্তিই করে নিচ্ছে যে, নিরাপত্তা ছাড়াই খরচ কমিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে মালিকের কোনো দায় নেই। আমরা ভবনগুলোর নিরাপত্তা বেষ্টনী চাই।’ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়ছে বলেও মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরডিএর অথরাইজড অফিসার আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নকশা অনুমোদন দেওয়ার সময় বলেই দিই যে ভবন নির্মাণের সময় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সাইটের প্রকৌশলীকেও বিষয়টা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ যদি নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত না করে তাহলে আমাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো আইনগত বিধান নেই। এ ক্ষেত্রে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগ ব্যবস্থা নিতে পারে।’
এ বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের শ্রম পরিদর্শক (সেফটি) হারুন-অর-রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা আলাদা একটা কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি। ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টা এখন দেখা হচ্ছে না। তবে কোথাও শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেলে আমরা তদন্ত করি। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিই।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে