বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পূবালী ব্যাংক শাখার লকার থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মো. শফি উল্লাহ।

এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. আনিসুর রহমান। দুপুরেই তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মহির উদ্দিন, ব্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মো. শফি উল্লাহ বলেন, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল আমার স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন পূবালী ব্যাংকের ৬৪ নম্বর লকারে ১৫ ভরি স্বর্ণ সংরক্ষণ করেন। এরপর তিনি আর লকার খোলেননি। কিন্তু গতকাল রোববার লকার খুলে দেখেন স্বর্ণ নেই। তখন বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে তাঁরা বিষয়টি অবহিত নন বলে জানান।

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘লকারটি তিন বছর আগে ভাড়া নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আর কখনো আসেননি। নিয়ম অনুযায়ী লকারের চাবি মালিকের হাতে থাকে। এখান থেকে স্বর্ণ গায়েব হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। লকার এখনো অক্ষত, চাবি ছাড়া খোলার কোনো সুযোগ নেই।’ তদন্ত কমিটি রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

তদন্ত কমিটির প্রধান ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নজরুল ইসলাম ফরাজী বলেন, ‘ঘটনার তদন্তকাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’