মোনাসিফ ফরাজী সজীব, রাজৈর (মাদারীপুর)
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের সেনখালিতে বঙ্গবন্ধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা আবারও দখলের পাঁয়তারা চলছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের জায়গায় নির্মাণাধীন একটি পাকা ঘর ভেঙে ফেলেছেন দখলদারেরা। গাছ লাগিয়ে ও বেড়া দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছে স্থানীয় একটি চক্র।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারি জায়গা দখল করতে ওই চক্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে। ফলে এক বছরেও প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের সেনখালি গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য সরকারিভাবে মাটি ভরাট করা হয়। মাটি ভরাটের পর দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন মালয়েশিয়াপ্রবাসী আসুতোষ সরকার। যদিও প্রশাসন কয়েক দিন আগে সেই ঘর ভেঙে দেয়। কিন্তু তাতে তিনি দমে যাননি। প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে আবারও ঘর নির্মাণ করেছেন তিনি। অনেকে আবার বাঁশ ও গাছের ডাল দিয়ে বেড়া দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রকল্পের জায়গায় রোপণ করা হয়েছে গাছের চারা।
জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের সিরাজকাঠি মৌজায় সেনখালি গ্রামে ৪ একর ৫ শতাংশ সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সেনখালি গ্রামে প্রকল্পের জায়গা থেকে গাছ সরিয়ে নিতে দখলদারদের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এতে দখলদারেরা ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে প্রশাসনের চাপে দখলকারীরা কিছু অংশের গাছ কেটে নেন। এরপর ৮০ শতাংশ জমি মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়। সঙ্গে পুরোনো খালটিও খনন করা হয়। বাকি অংশে পাকা রাস্তা করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু ঘর নির্মাণের আগমুহূর্তে বিক্ষোভ করেন দখলদারেরা। এ সময় দখলদারেরা দাবি করেন, পুরোনো খাল সচল না থাকলে হাজার হাজার একর ফসলি জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হবে। অথচ দীর্ঘ ৪৮ বছর আগে বনের বাড়ি-সেনখালি খালটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। অন্য স্থানে নতুন খাল খননও করা হয়। এরপরও একাধিকবার প্রকল্পের কাজে বাধা দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সুবোধ সরকারের ছেলে সুভাস সরকার ও নিতিষ সরকার (বিচরণ) বাড়ৈ। শুধু তা-ই নয়, ঘর নির্মাণের জন্য আনা প্রায় ১০ হাজার ইট রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত বছর ২৫ জুন আমগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান টিপু ও নিতিষ সরকার বাড়ৈর লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে নিতিষ সরকার বাড়ৈর লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালান। এ ঘটনার পর থেকেই প্রকল্পের কাজ স্থগিত রাখা হয়। এদিকে প্রকল্পের নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় মাটি ভরাট করা জায়গায় অবৈধভাবে ইটের পাকা ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালান আসুতোষ সরকার। খবর পেয়ে নির্মাণাধীন দেয়াল ভেঙে দেয় প্রশাসন। তবে তার পাশে আবারও নির্মাণ হচ্ছে একটি পাকা ঘর।
এ বিষয়ে আসুতোষ সরকার বলেন, ‘এখানে গাছ লাগানো ছিল। এইটা পৈতৃক সম্পত্তি। আমার জায়গায় ঘর উঠাইছি, কিন্তু প্রশাসন ভেঙে দিয়েছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা জগবন্ধু বালা বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প হলে অনেক গরিব মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন। বিদ্যুৎ, পাকা সড়ক, কর্মসংস্থান, বিশুদ্ধ পানিসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু কয়েক ব্যক্তি সরকারি জায়গা দখল করার জন্য এ প্রকল্প চাচ্ছেন না।’
আমগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, একটি কুচক্রী মহল স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আন্দোলন করে। পরে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থগিত রাখে। তারা এখন সেই সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করার পাঁয়তারা করছে।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ওটা সরকারি সম্পত্তি। মানুষ চাইলে ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু কেউ দখল করার চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের সেনখালিতে বঙ্গবন্ধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা আবারও দখলের পাঁয়তারা চলছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের জায়গায় নির্মাণাধীন একটি পাকা ঘর ভেঙে ফেলেছেন দখলদারেরা। গাছ লাগিয়ে ও বেড়া দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছে স্থানীয় একটি চক্র।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারি জায়গা দখল করতে ওই চক্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে। ফলে এক বছরেও প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের সেনখালি গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য সরকারিভাবে মাটি ভরাট করা হয়। মাটি ভরাটের পর দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন মালয়েশিয়াপ্রবাসী আসুতোষ সরকার। যদিও প্রশাসন কয়েক দিন আগে সেই ঘর ভেঙে দেয়। কিন্তু তাতে তিনি দমে যাননি। প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে আবারও ঘর নির্মাণ করেছেন তিনি। অনেকে আবার বাঁশ ও গাছের ডাল দিয়ে বেড়া দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রকল্পের জায়গায় রোপণ করা হয়েছে গাছের চারা।
জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের সিরাজকাঠি মৌজায় সেনখালি গ্রামে ৪ একর ৫ শতাংশ সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সেনখালি গ্রামে প্রকল্পের জায়গা থেকে গাছ সরিয়ে নিতে দখলদারদের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এতে দখলদারেরা ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে প্রশাসনের চাপে দখলকারীরা কিছু অংশের গাছ কেটে নেন। এরপর ৮০ শতাংশ জমি মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়। সঙ্গে পুরোনো খালটিও খনন করা হয়। বাকি অংশে পাকা রাস্তা করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু ঘর নির্মাণের আগমুহূর্তে বিক্ষোভ করেন দখলদারেরা। এ সময় দখলদারেরা দাবি করেন, পুরোনো খাল সচল না থাকলে হাজার হাজার একর ফসলি জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হবে। অথচ দীর্ঘ ৪৮ বছর আগে বনের বাড়ি-সেনখালি খালটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। অন্য স্থানে নতুন খাল খননও করা হয়। এরপরও একাধিকবার প্রকল্পের কাজে বাধা দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সুবোধ সরকারের ছেলে সুভাস সরকার ও নিতিষ সরকার (বিচরণ) বাড়ৈ। শুধু তা-ই নয়, ঘর নির্মাণের জন্য আনা প্রায় ১০ হাজার ইট রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত বছর ২৫ জুন আমগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান টিপু ও নিতিষ সরকার বাড়ৈর লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে নিতিষ সরকার বাড়ৈর লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালান। এ ঘটনার পর থেকেই প্রকল্পের কাজ স্থগিত রাখা হয়। এদিকে প্রকল্পের নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় মাটি ভরাট করা জায়গায় অবৈধভাবে ইটের পাকা ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালান আসুতোষ সরকার। খবর পেয়ে নির্মাণাধীন দেয়াল ভেঙে দেয় প্রশাসন। তবে তার পাশে আবারও নির্মাণ হচ্ছে একটি পাকা ঘর।
এ বিষয়ে আসুতোষ সরকার বলেন, ‘এখানে গাছ লাগানো ছিল। এইটা পৈতৃক সম্পত্তি। আমার জায়গায় ঘর উঠাইছি, কিন্তু প্রশাসন ভেঙে দিয়েছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা জগবন্ধু বালা বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প হলে অনেক গরিব মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন। বিদ্যুৎ, পাকা সড়ক, কর্মসংস্থান, বিশুদ্ধ পানিসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু কয়েক ব্যক্তি সরকারি জায়গা দখল করার জন্য এ প্রকল্প চাচ্ছেন না।’
আমগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, একটি কুচক্রী মহল স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আন্দোলন করে। পরে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থগিত রাখে। তারা এখন সেই সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করার পাঁয়তারা করছে।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ওটা সরকারি সম্পত্তি। মানুষ চাইলে ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু কেউ দখল করার চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে