নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অবস্থান দখলে নিচ্ছেন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিশেষ করে শিল্পকারখানায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্টরা এত দিন দাপটে ছিলেন, সেখানে এখন দাপট বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের।
দাপট দেখিয়ে ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ‘শোডাউন (মহড়া) কৌশল’ নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির বিতর্কিত নেতা হেলাল উদ্দিন ওরফে কালা হেলাল ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। তাঁরা আনোয়ারা শিল্প এলাকায় প্রতিদিন যাচ্ছেন পালা করে। গিয়ে সংশ্লিষ্ট কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সামনে সমাবেশের আয়োজন করছেন।
সমাবেশে স্লোগান দিচ্ছেন ‘হেলাল ভাইয়ের (কালা হেলাল) ঘোষণা; চাঁদাবাজি চলবে না’, ‘আনোয়ারার মাটি; হেলাল ভাইয়ের ঘাঁটি’। বিএনপির নেতা হেলাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলোচিত জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর হেলাল ও তাঁর অনুসারীরা শিল্পকারখানায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে নিতে আনোয়ারার সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হেলাল আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন। কিন্তু বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির আনসারকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার পর তিনি আবারও ওই কমিটির সদস্যসচিব পরিচয় দিচ্ছেন। তবে তিনি সদস্যসচিব নন বলে জানান কমিটির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন।
চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)-এর জেটিতে সার লোড-আনলোড (খালাস ও বোঝাইকরণ) ব্যবসা দখলে নিতে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) হেলাল ও তাঁর লোকজন শোডাউন (শক্তির মহড়া) করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এ শোডাউনে জেটি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগেও একই কায়দায় কয়েকবার শোডাউন করে আতঙ্ক ছড়ান তাঁরা। সিইউএফএলের বিভিন্ন ব্যবসা দখলে নিতেই এ শোডাউন বলছেন সংশ্লিষ্টরা। সাধারণ শ্রমিকেরা জানান, সিইউএফএলের সার লোড-আনলোডসহ বিভিন্ন ব্যবসা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা। শুধু এ সিইউএফএল নয়, কেইপিজেড, কাফকো, কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড ও ইউনাইটেড গ্রুপের বিদ্যুৎ প্রকল্পে একই কায়দায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের মহড়া দেন তাঁরা।
জানতে চাইলে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেটি এলাকায় মিছিল-মিটিং করেছে বিভিন্ন গ্রুপ। পটপরিবর্তনের পর আগের কন্ট্রাক্টররা গা-ঢাকা দেওয়ার সুযোগে তাঁদের জায়গায় আসতে চায় বিভিন্ন গ্রুপ। তবে আমাদের কারখানার কাজে কোনো ধরনের ব্যাঘাত এখনো ঘটেনি। হলে আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তা নেব।’
গত বৃহস্পতিবার সকালে যাঁরা শোডাউনে অংশ নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাগির আহমদ, বিএনপি নেতা ফোরকান, জিয়াউল কাদের জিয়া ও মিল্টনের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী।
নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিইউএফএল, সিইউএফএল জেটিঘাট, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো), কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড), চায়না ইকোনমিক জোনের কাজসহ বিভিন্ন ব্যবসা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন দল থেকে বহিষ্কার হওয়া বিএনপির নেতা হেলাল উদ্দিন ও তাঁর অনুসারীরা। শোডাউনের অংশ হিসেবে তাঁরা বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ও শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি, কাফকো কলোনি ও সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে ওই সব কর্মসূচি।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো শিল্পকারখানায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কারণে সিইউএফএলসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার সামনে মিছিল-মিটিং করছি। তবে এখানে চাঁদাবাজির সুযোগ নাই। বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমার নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে শিল্পকারখানার সামনে মিছিল করছি। যেখানে ঠিকাদারি ব্যবসা, সেখানেই আমরা কর্মসূচি পালন করছি।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অবস্থান দখলে নিচ্ছেন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিশেষ করে শিল্পকারখানায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্টরা এত দিন দাপটে ছিলেন, সেখানে এখন দাপট বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের।
দাপট দেখিয়ে ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ‘শোডাউন (মহড়া) কৌশল’ নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির বিতর্কিত নেতা হেলাল উদ্দিন ওরফে কালা হেলাল ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। তাঁরা আনোয়ারা শিল্প এলাকায় প্রতিদিন যাচ্ছেন পালা করে। গিয়ে সংশ্লিষ্ট কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সামনে সমাবেশের আয়োজন করছেন।
সমাবেশে স্লোগান দিচ্ছেন ‘হেলাল ভাইয়ের (কালা হেলাল) ঘোষণা; চাঁদাবাজি চলবে না’, ‘আনোয়ারার মাটি; হেলাল ভাইয়ের ঘাঁটি’। বিএনপির নেতা হেলাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলোচিত জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর হেলাল ও তাঁর অনুসারীরা শিল্পকারখানায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে নিতে আনোয়ারার সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হেলাল আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন। কিন্তু বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির আনসারকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার পর তিনি আবারও ওই কমিটির সদস্যসচিব পরিচয় দিচ্ছেন। তবে তিনি সদস্যসচিব নন বলে জানান কমিটির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন।
চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)-এর জেটিতে সার লোড-আনলোড (খালাস ও বোঝাইকরণ) ব্যবসা দখলে নিতে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) হেলাল ও তাঁর লোকজন শোডাউন (শক্তির মহড়া) করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এ শোডাউনে জেটি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগেও একই কায়দায় কয়েকবার শোডাউন করে আতঙ্ক ছড়ান তাঁরা। সিইউএফএলের বিভিন্ন ব্যবসা দখলে নিতেই এ শোডাউন বলছেন সংশ্লিষ্টরা। সাধারণ শ্রমিকেরা জানান, সিইউএফএলের সার লোড-আনলোডসহ বিভিন্ন ব্যবসা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা। শুধু এ সিইউএফএল নয়, কেইপিজেড, কাফকো, কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড ও ইউনাইটেড গ্রুপের বিদ্যুৎ প্রকল্পে একই কায়দায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের মহড়া দেন তাঁরা।
জানতে চাইলে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেটি এলাকায় মিছিল-মিটিং করেছে বিভিন্ন গ্রুপ। পটপরিবর্তনের পর আগের কন্ট্রাক্টররা গা-ঢাকা দেওয়ার সুযোগে তাঁদের জায়গায় আসতে চায় বিভিন্ন গ্রুপ। তবে আমাদের কারখানার কাজে কোনো ধরনের ব্যাঘাত এখনো ঘটেনি। হলে আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তা নেব।’
গত বৃহস্পতিবার সকালে যাঁরা শোডাউনে অংশ নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাগির আহমদ, বিএনপি নেতা ফোরকান, জিয়াউল কাদের জিয়া ও মিল্টনের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী।
নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিইউএফএল, সিইউএফএল জেটিঘাট, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো), কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড), চায়না ইকোনমিক জোনের কাজসহ বিভিন্ন ব্যবসা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন দল থেকে বহিষ্কার হওয়া বিএনপির নেতা হেলাল উদ্দিন ও তাঁর অনুসারীরা। শোডাউনের অংশ হিসেবে তাঁরা বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ও শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি, কাফকো কলোনি ও সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে ওই সব কর্মসূচি।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো শিল্পকারখানায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কারণে সিইউএফএলসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার সামনে মিছিল-মিটিং করছি। তবে এখানে চাঁদাবাজির সুযোগ নাই। বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমার নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে শিল্পকারখানার সামনে মিছিল করছি। যেখানে ঠিকাদারি ব্যবসা, সেখানেই আমরা কর্মসূচি পালন করছি।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে