কামাল হোসেন, কয়রা (খুলনা)
খুলনার কয়রায় কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ডিলাররা সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন মাঠে নামলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এতে প্রশাসনের প্রতি খুচরা সার বিক্রেতা ও কৃষকদের আস্থা কমেছে।
গত শনি ও রোববার উপজেলার বাগালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সার বিক্রয়কেন্দ্র ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ইউরিয়া বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ টাকা কেজি, টিএসপি (তিউনিসিয়া) বিক্রি হচ্ছে ৩৩-৩৫ টাকা ও টিএসপি (মরক্কো) ২৪-২৫ টাকা কেজি; যা সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি।
খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ‘ডিলাররা আমাদের কাছ থেকে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১২০ টাকা নিচ্ছেন।
ডিলার পয়েন্ট থেকে নিজেদের দোকানে আনতে ২০ থেকে ৩০ টাকা ভ্যান ভাড়া লাগে। এরপর অপচয়, ঘরভাড়াসহ আনুষঙ্গিক কিছু খরচ রয়েছে।’
খুচরা বিক্রেতারা আরও বলেন, ‘সরকারনির্ধারিত দর ২২ টাকা কেজি বিক্রি করতে গেলে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা পকেট থেকে যাবে। এ ছাড়া ডিলাররা খুচরা বিক্রেতাদের কোনো সঠিক বিক্রয় রসিদ দেন না। কৃষি কর্মকর্তারা সব জানলেও কোনো সমাধান করেন না। আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো হয়রানির শিকার হই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সার ডিলার বলেন, ‘কিছুদিন আগে অনেক বেশি রেট নিলেও এখন মাত্র এক-দুই টাকা বেশি নিচ্ছি। আর এটা নেওয়ার বিষয়ে অলিখিত ঘোষণা রয়েছে। তবে কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী কৌশলে বেশি লাভের পাঁয়তারা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁরা মরক্কোর টিএসপির মান ভালো বলে কৃষকদের কাছে তিউনিসিয়ার টিএসপি ৩৩-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।’
এই সার ডিলার আরও বলেন, তাঁরা শুধু দায় এড়ানোর জন্য স্বল্প পরিমাণ সরকারি টিএসপি (মরক্কো) দোকানে রাখেন। এ ছাড়া চিকন ইউরিয়া ও মোটা ইউরিয়ার সরকারনির্ধারিত দর একই হলেও চিকনটি ভালো এবং গোডাউন থেকে বের করতে বকশিশ দিতে হয় বলে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। ফলে কৃষকদের মধ্যে সরকারি
সারের প্রতি অনীহা এবং বিরূপ ধারণারও সৃষ্টি হচ্ছে।
বামিয়া গ্রামের রুহুল আমিন নামের এক চাষি বলেন, ‘কয়রায় সারের দাম বেশি থাকায় পাইকগাছার মৌখালী বাজার থেকে টিএসপি (মরক্কো) ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ইউরিয়া ১ হাজার ২৫০ টাকা বস্তা দরে কিনেছি।’
বাগালী ইউনিয়নের সার ডিলার আবুল হাসান বলেন, ‘গাড়িপ্রতি পরিবহন খরচ বেড়েছে ৮-৯ হাজার টাকা। সারের দামও বেড়েছে। তবে আমাদের মুনাফার হার বাড়ানো হয়নি। আগে বস্তাপ্রতি ইউরিয়া সারের জন্য ৭০০ টাকা জমা দিতে হতো। এখন জমা দিতে হয় এক হাজার টাকা।’
আবুল হাসান আরও বলেন, ‘তখন খরচ ও মুনাফা বাবদ দেওয়া হতো ৮০ টাকা, এখনো তাই। ফলে বাজারে ঘরভাড়া, কর্মচারীর মজুরিসহ আনুষঙ্গিক খরচ মিটিয়ে ব্যবসা
টিকিয়ে রাখতে চরম হিমশিম খাচ্ছি। আমরা জেলা মিটিংয়ে এ বিষয়ে বিবেচনার অনুরোধ করেও কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান বলেন, উপজেলা পর্যায় থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত সার বিক্রির ওপর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। ডিলার থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে সার সরবরাহের সময় ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে; যাতে করে খুচরা পর্যায়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
খুলনার কয়রায় কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ডিলাররা সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন মাঠে নামলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এতে প্রশাসনের প্রতি খুচরা সার বিক্রেতা ও কৃষকদের আস্থা কমেছে।
গত শনি ও রোববার উপজেলার বাগালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সার বিক্রয়কেন্দ্র ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ইউরিয়া বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ টাকা কেজি, টিএসপি (তিউনিসিয়া) বিক্রি হচ্ছে ৩৩-৩৫ টাকা ও টিএসপি (মরক্কো) ২৪-২৫ টাকা কেজি; যা সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি।
খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ‘ডিলাররা আমাদের কাছ থেকে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১২০ টাকা নিচ্ছেন।
ডিলার পয়েন্ট থেকে নিজেদের দোকানে আনতে ২০ থেকে ৩০ টাকা ভ্যান ভাড়া লাগে। এরপর অপচয়, ঘরভাড়াসহ আনুষঙ্গিক কিছু খরচ রয়েছে।’
খুচরা বিক্রেতারা আরও বলেন, ‘সরকারনির্ধারিত দর ২২ টাকা কেজি বিক্রি করতে গেলে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা পকেট থেকে যাবে। এ ছাড়া ডিলাররা খুচরা বিক্রেতাদের কোনো সঠিক বিক্রয় রসিদ দেন না। কৃষি কর্মকর্তারা সব জানলেও কোনো সমাধান করেন না। আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো হয়রানির শিকার হই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সার ডিলার বলেন, ‘কিছুদিন আগে অনেক বেশি রেট নিলেও এখন মাত্র এক-দুই টাকা বেশি নিচ্ছি। আর এটা নেওয়ার বিষয়ে অলিখিত ঘোষণা রয়েছে। তবে কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী কৌশলে বেশি লাভের পাঁয়তারা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁরা মরক্কোর টিএসপির মান ভালো বলে কৃষকদের কাছে তিউনিসিয়ার টিএসপি ৩৩-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।’
এই সার ডিলার আরও বলেন, তাঁরা শুধু দায় এড়ানোর জন্য স্বল্প পরিমাণ সরকারি টিএসপি (মরক্কো) দোকানে রাখেন। এ ছাড়া চিকন ইউরিয়া ও মোটা ইউরিয়ার সরকারনির্ধারিত দর একই হলেও চিকনটি ভালো এবং গোডাউন থেকে বের করতে বকশিশ দিতে হয় বলে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। ফলে কৃষকদের মধ্যে সরকারি
সারের প্রতি অনীহা এবং বিরূপ ধারণারও সৃষ্টি হচ্ছে।
বামিয়া গ্রামের রুহুল আমিন নামের এক চাষি বলেন, ‘কয়রায় সারের দাম বেশি থাকায় পাইকগাছার মৌখালী বাজার থেকে টিএসপি (মরক্কো) ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ইউরিয়া ১ হাজার ২৫০ টাকা বস্তা দরে কিনেছি।’
বাগালী ইউনিয়নের সার ডিলার আবুল হাসান বলেন, ‘গাড়িপ্রতি পরিবহন খরচ বেড়েছে ৮-৯ হাজার টাকা। সারের দামও বেড়েছে। তবে আমাদের মুনাফার হার বাড়ানো হয়নি। আগে বস্তাপ্রতি ইউরিয়া সারের জন্য ৭০০ টাকা জমা দিতে হতো। এখন জমা দিতে হয় এক হাজার টাকা।’
আবুল হাসান আরও বলেন, ‘তখন খরচ ও মুনাফা বাবদ দেওয়া হতো ৮০ টাকা, এখনো তাই। ফলে বাজারে ঘরভাড়া, কর্মচারীর মজুরিসহ আনুষঙ্গিক খরচ মিটিয়ে ব্যবসা
টিকিয়ে রাখতে চরম হিমশিম খাচ্ছি। আমরা জেলা মিটিংয়ে এ বিষয়ে বিবেচনার অনুরোধ করেও কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান বলেন, উপজেলা পর্যায় থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত সার বিক্রির ওপর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। ডিলার থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে সার সরবরাহের সময় ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে; যাতে করে খুচরা পর্যায়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে