দূরত্ব তিন কিলোমিটার পরিণতি একই

মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ১২

মাগুরা সদর উপজেলার বৈন্যতুল ও বারাশিয়া গ্রামে একটি ছেলে ও একটি মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৈন্যুতল পশ্চিম সুমন মোল্লাকে(১৭) নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

গত বুধবার সকাল ১১টায় তাঁর দাফন হয় একই সময়ে ৩ কিলোমিটার দূরে এ্যানি (১৬) নামের একজন কিশোরী আত্মহত্যা করে। স্থানীয়রা বলছেন, তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক গোপন ছিল। এখন দুজনই তা প্রমাণ করে গেছে।

মাগুরা শহরের দুধ মল্লিক হাই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত এ্যানি। তাঁর বাবা হীরক বিশ্বাস জানান, ‘সকালে আমি মাগুরা যাব কাজে। মেয়ে আমারে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে দিল। কিন্তু সাইকেলে স্টার্ট হয় না। মেয়ে গাড়ির চোখ ধরে বলল এবার স্টার্ট দাও। আমি স্টার্ট দিলাম, হলো। তখন মেয়ে বলল, আমার বাবা কিছুই জানে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা আমাকে বলতে পারত। আমার একমাত্র সন্তান। আমারে যা বলত তা মেনে নিতাম।’ এ্যানির দাফন গত বুধবার সন্ধ্যার পর বারাশিয়া গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

অন্যদিকে মাগুরা পারনান্দুয়ালী গ্রামের পাশে বরুনাতৈল গ্রামে আত্মহত্যা করা সুমনের বাবা মহম্মদ মোল্লা জানান, ‘আমার চার ছেলে। সুমন মেজ। সে মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নেয়। এরপর আমরা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গত বুধবার তাঁর দাফন হয় স্থানীয় গোরস্থানে। তখন জানতে পারি পাশের গ্রাম বারাশিয়ায় একটি মেয়ে আমার ছেলের মতই গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেছে। এর বেশি জানি না। তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা আমি নিশ্চিত না।’

মাগুরা সদর থানার পুলিশে পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফ হোসেন জানান, ‘দুই পরিবারের কেউই অভিযোগ দেয়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি দুটি অপমৃত্যুর কারণ প্রেম ভালোবাসা থাকতে পারে। স্থানীয়রা সেটাই আমাদের জানিয়েছেন। তাঁরা অভিযোগ না দিলেও পুলিশের পক্ষ থেকে অপমৃত্যুর মামলা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত