রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে একতা স্পিনিং মিল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের প্রবেশমুখে বছরজুড়ে থাকে হাঁটুপানি। এই পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় হাজারো পথচারীকে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, পানিনিষ্কাশনের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। পোশাক কারখানার শত শত শ্রমিক, স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে।
পণ্য নিয়ে অনেকেই হাঁটুপানি মাড়িয়ে চলছেন। এ ছাড়া সাঁকোর সংযোগস্থলে নির্মাণ হচ্ছে সীমানাপ্রাচীর। এর নির্মাণকাজ শেষ হলে বন্ধ হবে সাঁকো দিয়ে চলাচল। এরপর আবার হাঁটুপানি ঠেলে চলাচল করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই সমস্যা এক দিনের নয়, সারা বছরের। রিপন মিয়া নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘সারা বছর হাঁটুপানি ঠেলে আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
কাদাপানিতে হেঁটে চলাচলের ফলে পায়ে ঘা হয়েছে। তবু কোনো উপায় নেই। জীবন-জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে চলতে হচ্ছে।’
মুলাইদ গ্রামের বাসিন্দা সুলতান সরকার বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন মিলে টাকাপয়সা দিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছি। নিচে পাকা সড়ক থাকলেও ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়।
সাঁকোর সংযোগস্থলে ঘর নির্মাণ হচ্ছে। এটির নির্মাণকাজ শেষ হলে সাঁকোও বন্ধ। বাধ্য হয়ে পানি ঠেলে চলাচল করতে হবে।’
এই সড়কে নিয়মিত রিকশা চালান সুরুজ মিয়া। তিনি জানান, লুঙ্গি হাঁটুর ওপরেই থাকে। এটা নতুন নয়, বছরজুড়েই হাঁটুপানি। আক্ষেপ করে সুরুজ বলেন, ‘গরিবের পায়ে ঘা হলে কে দেখে।
প্রতিদিন কম করে হলেও ৩০ বার যাওয়া-আসা হয়। এ জন্য জুতা পায়ে দিই না। পানি ঠেলে চলাচলের ফলে রাতে চুলকানি হয়।’
মুলাইদ গ্রামের স্কুলশিক্ষক মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এই রাস্তার বিষয়ে এখন আর বলতে ভালো লাগে না। চেয়ারম্যান-মেম্বার সবাই জানেন এ বিষয়ে। রাস্তা উঁচু করে নির্মাণের দাবি বহুদিন আগের।
কিন্তু কে শুনে কার কথা। ভোটের আগের আশ্বাস বিজয়ী হওয়ার পর মনে থাকে না জনপ্রতিনিধিদের।’ তিনি জানান, এই সড়ক ব্যবহার করে শত শত পোশাক কারখানার শ্রমিক, স্কুলশিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোবারক হোসেন মুরাদ বলেন, ‘পানিনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তা উঁচু করাসহ নতুন করে সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে। আপাতত মানুষের চলাচলের জন্য ভালো ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জানিয়েছেন। আমিও সরেজমিনে খোঁজখবর নেব। দ্রুত স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাগবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে একতা স্পিনিং মিল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের প্রবেশমুখে বছরজুড়ে থাকে হাঁটুপানি। এই পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় হাজারো পথচারীকে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, পানিনিষ্কাশনের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। পোশাক কারখানার শত শত শ্রমিক, স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে।
পণ্য নিয়ে অনেকেই হাঁটুপানি মাড়িয়ে চলছেন। এ ছাড়া সাঁকোর সংযোগস্থলে নির্মাণ হচ্ছে সীমানাপ্রাচীর। এর নির্মাণকাজ শেষ হলে বন্ধ হবে সাঁকো দিয়ে চলাচল। এরপর আবার হাঁটুপানি ঠেলে চলাচল করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই সমস্যা এক দিনের নয়, সারা বছরের। রিপন মিয়া নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘সারা বছর হাঁটুপানি ঠেলে আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
কাদাপানিতে হেঁটে চলাচলের ফলে পায়ে ঘা হয়েছে। তবু কোনো উপায় নেই। জীবন-জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে চলতে হচ্ছে।’
মুলাইদ গ্রামের বাসিন্দা সুলতান সরকার বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন মিলে টাকাপয়সা দিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছি। নিচে পাকা সড়ক থাকলেও ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়।
সাঁকোর সংযোগস্থলে ঘর নির্মাণ হচ্ছে। এটির নির্মাণকাজ শেষ হলে সাঁকোও বন্ধ। বাধ্য হয়ে পানি ঠেলে চলাচল করতে হবে।’
এই সড়কে নিয়মিত রিকশা চালান সুরুজ মিয়া। তিনি জানান, লুঙ্গি হাঁটুর ওপরেই থাকে। এটা নতুন নয়, বছরজুড়েই হাঁটুপানি। আক্ষেপ করে সুরুজ বলেন, ‘গরিবের পায়ে ঘা হলে কে দেখে।
প্রতিদিন কম করে হলেও ৩০ বার যাওয়া-আসা হয়। এ জন্য জুতা পায়ে দিই না। পানি ঠেলে চলাচলের ফলে রাতে চুলকানি হয়।’
মুলাইদ গ্রামের স্কুলশিক্ষক মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এই রাস্তার বিষয়ে এখন আর বলতে ভালো লাগে না। চেয়ারম্যান-মেম্বার সবাই জানেন এ বিষয়ে। রাস্তা উঁচু করে নির্মাণের দাবি বহুদিন আগের।
কিন্তু কে শুনে কার কথা। ভোটের আগের আশ্বাস বিজয়ী হওয়ার পর মনে থাকে না জনপ্রতিনিধিদের।’ তিনি জানান, এই সড়ক ব্যবহার করে শত শত পোশাক কারখানার শ্রমিক, স্কুলশিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোবারক হোসেন মুরাদ বলেন, ‘পানিনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তা উঁচু করাসহ নতুন করে সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে। আপাতত মানুষের চলাচলের জন্য ভালো ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জানিয়েছেন। আমিও সরেজমিনে খোঁজখবর নেব। দ্রুত স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাগবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে