ফরিদপুর প্রতিনিধি
একটা সময় ধান ভানার একমাত্র অবলম্বন ছিল ঢেঁকি। গ্রামের কৃষাণি থেকে শুরু করে জমিদারবাড়ি পর্যন্ত সর্বত্রই ছিল এর প্রচলন। ঘরে ঘরে চিড়া কোটা, চাল ও চালের গুঁড়া তৈরির জন্য ঢেঁকিই ছিল একমাত্র মাধ্যম। বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ঢেঁকি গৃহস্থের সচ্ছলতা ও সুখ সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে প্রচলিত ছিল। শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জেও এখন পুরোপুরি যান্ত্রিক ঢেউ লেগেছে। ফলে গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ যন্ত্রটি একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছে।
সত্তরের দশকেও প্রায় প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে ঢেঁকি ছিল। ঢেঁকির ধুপুর-ধাপুর শব্দে মুখরিত ছিল গ্রামীণ জনপদ। আশির দশকের পর ইঞ্জিনচালিত ধান ভাঙা কল আমদানি শুরু হওয়ার পর গ্রামাঞ্চল থেকে ঢেঁকি বিলীন হওয়া শুরু হয়।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম বলেন, আশ্বিন-কার্তিক মাস এলে বাঙালি জীবনাচরণের আরেকটি বড় অংশ ছিল নবান্ন উৎসব। সে সময় নতুন ধান ওঠাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসব শুরু হতো। সেই উৎসবে পরিবারের শিশু-কিশোররা কত আমোদ-আহ্লাদে নাচত আর গাইত। বাঙালি জীবনের এই উৎসবের সঙ্গেও ছিল ঢেঁকির সম্পর্ক। তিনি বলেন, ঢেঁকিছাঁটা চালের গুঁড়ো থেকে তৈরি হতো নানা ধরনের পিঠা। বাড়ি বাড়ি পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যেত।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি পৌরসভা, ১০টি ইউনিয়ন এবং আলফাডাঙ্গার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে অধিকাংশ গ্রামেই ঢেঁকির দেখা মেলেনি। কালের বিবর্তনে ঢেঁকি এখন শুধু ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে। দিন দিন ঢেঁকি বিলুপ্ত হলেও একে সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই।
বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়নের আরাজিবাইখির গ্রামে মৃত সোলায়মান শেখের বাড়িতে ঢেঁকি দেখা যায়। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির আশপাশের লোকজনের সুবিধার্থে গুঁড়ো তৈরি করার জন্য এ ঢেঁকি রাখা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের গৃহবধূ দিলারা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই ঢেঁকি দিয়ে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য মাড়াই করেছি। আগে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ঢেঁকিতে চালের গুঁড়ো তৈরি করতে আসত। কিন্তু এখন আর তেমন কেউ আসে না। এখন সবাই মেশিনে চাল মাড়াই করে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান বলেন, আগামী প্রজন্ম যাতে বাংলার এসব সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেদের মেলবন্ধন স্থাপন করতে পারে, সে জন্য সরকারি বা বেসরকারিভাবে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা জরুরি। তা না হলে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা গ্রামের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে না।
একটা সময় ধান ভানার একমাত্র অবলম্বন ছিল ঢেঁকি। গ্রামের কৃষাণি থেকে শুরু করে জমিদারবাড়ি পর্যন্ত সর্বত্রই ছিল এর প্রচলন। ঘরে ঘরে চিড়া কোটা, চাল ও চালের গুঁড়া তৈরির জন্য ঢেঁকিই ছিল একমাত্র মাধ্যম। বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ঢেঁকি গৃহস্থের সচ্ছলতা ও সুখ সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে প্রচলিত ছিল। শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জেও এখন পুরোপুরি যান্ত্রিক ঢেউ লেগেছে। ফলে গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ যন্ত্রটি একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছে।
সত্তরের দশকেও প্রায় প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে ঢেঁকি ছিল। ঢেঁকির ধুপুর-ধাপুর শব্দে মুখরিত ছিল গ্রামীণ জনপদ। আশির দশকের পর ইঞ্জিনচালিত ধান ভাঙা কল আমদানি শুরু হওয়ার পর গ্রামাঞ্চল থেকে ঢেঁকি বিলীন হওয়া শুরু হয়।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম বলেন, আশ্বিন-কার্তিক মাস এলে বাঙালি জীবনাচরণের আরেকটি বড় অংশ ছিল নবান্ন উৎসব। সে সময় নতুন ধান ওঠাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসব শুরু হতো। সেই উৎসবে পরিবারের শিশু-কিশোররা কত আমোদ-আহ্লাদে নাচত আর গাইত। বাঙালি জীবনের এই উৎসবের সঙ্গেও ছিল ঢেঁকির সম্পর্ক। তিনি বলেন, ঢেঁকিছাঁটা চালের গুঁড়ো থেকে তৈরি হতো নানা ধরনের পিঠা। বাড়ি বাড়ি পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যেত।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি পৌরসভা, ১০টি ইউনিয়ন এবং আলফাডাঙ্গার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে অধিকাংশ গ্রামেই ঢেঁকির দেখা মেলেনি। কালের বিবর্তনে ঢেঁকি এখন শুধু ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে। দিন দিন ঢেঁকি বিলুপ্ত হলেও একে সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই।
বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়নের আরাজিবাইখির গ্রামে মৃত সোলায়মান শেখের বাড়িতে ঢেঁকি দেখা যায়। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির আশপাশের লোকজনের সুবিধার্থে গুঁড়ো তৈরি করার জন্য এ ঢেঁকি রাখা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের গৃহবধূ দিলারা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই ঢেঁকি দিয়ে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য মাড়াই করেছি। আগে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ঢেঁকিতে চালের গুঁড়ো তৈরি করতে আসত। কিন্তু এখন আর তেমন কেউ আসে না। এখন সবাই মেশিনে চাল মাড়াই করে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান বলেন, আগামী প্রজন্ম যাতে বাংলার এসব সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেদের মেলবন্ধন স্থাপন করতে পারে, সে জন্য সরকারি বা বেসরকারিভাবে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা জরুরি। তা না হলে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা গ্রামের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে না।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩৫ মিনিট আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
১ ঘণ্টা আগেপ্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগে