মাসুদ রানা
উপমহাদেশে ব্রিটিশরা ক্ষমতা করায়ত্ত করার প্রায় ১০০ বছর পরও তৎকালীন পূর্ব বাংলায় কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল না। ১৯৩৯ সালে পূর্ব বাংলায় একটা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে সে উদ্যোগে ভাটা পড়ে যায়। অতঃপর যুদ্ধ শেষ হলে ১৯৪৫ সালে সে উদ্যোগ আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। এ প্রেক্ষাপটে ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. মেজর ডব্লিউ জে ভারজিন এবং এ অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাঁদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) যাত্রা শুরু হয়।
কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রথম দিকে নিজস্ব কোনো শ্রেণিকক্ষ ছিল না। সে সময় এ কলেজের শিক্ষার্থীদের মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুলে ক্লাস করতে হতো। তখনো ছিল না কোনো লেকচার গ্যালারি। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৯ বছর পর ১৯৫৫ সালে মেডিকেল কলেজের নিজস্ব ভবন নির্মিত হয়। তখন শিক্ষার্থীরা নিজস্ব ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে শুরু করেন।
প্রথম থেকে কলেজটি একই কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হতে থাকে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব আলাদা করে দেওয়া হয়। কলেজের দায়িত্বভার অর্পিত হয় অধ্যক্ষের ওপর এবং হাসপাতাল পরিচালনার ভার পড়ে পরিচালকের ওপর। এই হলো সংক্ষিপ্তভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত।
এ কলেজ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর যেমন পূর্ব বাংলার সন্তানদের চিকিৎসা পেশায় পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনায় নিজেদের নিয়োজিত না করে রাজনীতির বিভিন্ন সংকট মুহূর্তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের ভাষার ওপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করে। সেটার শুরু হয় ১৯৪৮ সালে। পরবর্তী সময়ে সেই আন্দোলন গিয়ে গড়ায় ১৯৫২ সালে। সেই ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৫২ সালের ৪ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকে সফল ছাত্র ধর্মঘটের পর শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে। সেদিন সকালে ঐতিহাসিক আমতলায় (বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজে অবস্থিত) প্রতিবাদী ছাত্রদের সভার পর ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল শুরু হয়। দুপুরের পর পুলিশ গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে কয়েকজন শহীদ হন। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করেন ঢামেকের শিক্ষার্থীরাই। ২৪ ফেব্রুয়ারি রোববার সরকারি ছুটির দিন ছিল। সে দিনই নবনির্মিত শহীদ মিনারটির উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের বাবা। শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার পরেই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয়। ছাত্র-জনতার মধ্যে প্রতিবাদী চেতনার নতুন উদ্ভাস তৈরি হয়।
শুধু আমাদের ভাষা আন্দোলনই নয়, পরবর্তী সময়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এখানকার চিকিৎসক, ছাত্র, কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তাঁদের অনেকেই অস্ত্র হাতে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আবার কেউ কেউ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা ও অসহায় বাঙালিদের চিকিৎসা করেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন এ কলেজেরই ডা. ফজলে রাব্বি, ডা. আলীম চৌধুরীসহ প্রায় ২২ জন চিকিৎসক। কলেজটির অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিভিন্ন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। এ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী নিপা লাহিড়ী যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে যাওয়ার পথে ঢাকার ফতুল্লায় নিহত হন পাকিস্তানিদের হাতে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত প্রায় সব চিকিৎসকই আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা আসল নাম গোপন রেখে হাসপাতালে ভর্তি হতেন। হাসপাতালে এসব কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতেন অধ্যাপক ফজলে রাব্বী। তিনি তাঁর আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। এ মেডিকেল কলেজের আরও বেশ কিছু অধ্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর নতুন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। কিন্তু কয়েক বছর পরেই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশ নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম শুরু হয়। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে সরকারের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন ডা. শামসুল আলম খান মিলন, যিনি এই প্রতিষ্ঠানের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং ছাত্রজীবনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের (ঢামেকসু) ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা লাভ করে।
ঢামেক শুধু চিকিৎসক তৈরির শিক্ষালয় ছিল না। এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের সংকটে শুধু চিকিৎসাসেবা দেয়নি, জনগণের নানা আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন এখানকার মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বর্তমানে দেশের অপরাজনীতির খপ্পরে পড়ে শুধু ক্যারিয়ার গড়ায় মনোযোগী এখানকার শিক্ষার্থীরা। সেভাবে বর্তমান কোনো সমস্যায় তাঁদের ভূমিকা দেখা যায় না।
অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবে এখনো দেশের নানা সংকটে জ্বলে ওঠেন, ইতিহাসের মতো ঢামেকের শিক্ষার্থীরাও সে রকম ভূমিকা পালন করবেন; তাঁরা তাঁদের পেশায় কৃতিত্বের পাশাপাশি দেশ নিয়ে ভাববেন—এটাই হোক ঢামেকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ভাবনা।
মাসুদ রানা, সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
উপমহাদেশে ব্রিটিশরা ক্ষমতা করায়ত্ত করার প্রায় ১০০ বছর পরও তৎকালীন পূর্ব বাংলায় কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল না। ১৯৩৯ সালে পূর্ব বাংলায় একটা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে সে উদ্যোগে ভাটা পড়ে যায়। অতঃপর যুদ্ধ শেষ হলে ১৯৪৫ সালে সে উদ্যোগ আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। এ প্রেক্ষাপটে ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. মেজর ডব্লিউ জে ভারজিন এবং এ অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাঁদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) যাত্রা শুরু হয়।
কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রথম দিকে নিজস্ব কোনো শ্রেণিকক্ষ ছিল না। সে সময় এ কলেজের শিক্ষার্থীদের মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুলে ক্লাস করতে হতো। তখনো ছিল না কোনো লেকচার গ্যালারি। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৯ বছর পর ১৯৫৫ সালে মেডিকেল কলেজের নিজস্ব ভবন নির্মিত হয়। তখন শিক্ষার্থীরা নিজস্ব ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে শুরু করেন।
প্রথম থেকে কলেজটি একই কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হতে থাকে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব আলাদা করে দেওয়া হয়। কলেজের দায়িত্বভার অর্পিত হয় অধ্যক্ষের ওপর এবং হাসপাতাল পরিচালনার ভার পড়ে পরিচালকের ওপর। এই হলো সংক্ষিপ্তভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত।
এ কলেজ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর যেমন পূর্ব বাংলার সন্তানদের চিকিৎসা পেশায় পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনায় নিজেদের নিয়োজিত না করে রাজনীতির বিভিন্ন সংকট মুহূর্তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের ভাষার ওপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করে। সেটার শুরু হয় ১৯৪৮ সালে। পরবর্তী সময়ে সেই আন্দোলন গিয়ে গড়ায় ১৯৫২ সালে। সেই ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৫২ সালের ৪ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকে সফল ছাত্র ধর্মঘটের পর শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে। সেদিন সকালে ঐতিহাসিক আমতলায় (বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজে অবস্থিত) প্রতিবাদী ছাত্রদের সভার পর ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল শুরু হয়। দুপুরের পর পুলিশ গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে কয়েকজন শহীদ হন। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করেন ঢামেকের শিক্ষার্থীরাই। ২৪ ফেব্রুয়ারি রোববার সরকারি ছুটির দিন ছিল। সে দিনই নবনির্মিত শহীদ মিনারটির উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের বাবা। শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার পরেই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয়। ছাত্র-জনতার মধ্যে প্রতিবাদী চেতনার নতুন উদ্ভাস তৈরি হয়।
শুধু আমাদের ভাষা আন্দোলনই নয়, পরবর্তী সময়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এখানকার চিকিৎসক, ছাত্র, কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তাঁদের অনেকেই অস্ত্র হাতে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আবার কেউ কেউ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা ও অসহায় বাঙালিদের চিকিৎসা করেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন এ কলেজেরই ডা. ফজলে রাব্বি, ডা. আলীম চৌধুরীসহ প্রায় ২২ জন চিকিৎসক। কলেজটির অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিভিন্ন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। এ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী নিপা লাহিড়ী যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে যাওয়ার পথে ঢাকার ফতুল্লায় নিহত হন পাকিস্তানিদের হাতে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত প্রায় সব চিকিৎসকই আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা আসল নাম গোপন রেখে হাসপাতালে ভর্তি হতেন। হাসপাতালে এসব কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতেন অধ্যাপক ফজলে রাব্বী। তিনি তাঁর আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। এ মেডিকেল কলেজের আরও বেশ কিছু অধ্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর নতুন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। কিন্তু কয়েক বছর পরেই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশ নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম শুরু হয়। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে সরকারের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন ডা. শামসুল আলম খান মিলন, যিনি এই প্রতিষ্ঠানের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং ছাত্রজীবনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের (ঢামেকসু) ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা লাভ করে।
ঢামেক শুধু চিকিৎসক তৈরির শিক্ষালয় ছিল না। এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের সংকটে শুধু চিকিৎসাসেবা দেয়নি, জনগণের নানা আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন এখানকার মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বর্তমানে দেশের অপরাজনীতির খপ্পরে পড়ে শুধু ক্যারিয়ার গড়ায় মনোযোগী এখানকার শিক্ষার্থীরা। সেভাবে বর্তমান কোনো সমস্যায় তাঁদের ভূমিকা দেখা যায় না।
অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবে এখনো দেশের নানা সংকটে জ্বলে ওঠেন, ইতিহাসের মতো ঢামেকের শিক্ষার্থীরাও সে রকম ভূমিকা পালন করবেন; তাঁরা তাঁদের পেশায় কৃতিত্বের পাশাপাশি দেশ নিয়ে ভাববেন—এটাই হোক ঢামেকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ভাবনা।
মাসুদ রানা, সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে