বাকৃবি প্রতিনিধি
হোয়াইট ফ্লাই বা সাদা মাছির আক্রমণে দেশে নারিকেলের ফলন কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে আট মাস ধরে এই গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণায় জানা গেছে, ২০১৯ সালে দেশে সর্বপ্রথম এই পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই পোকার মোট ৬১টি হোস্ট উদ্ভিদ শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে সাদা মাছির প্রধান হোস্ট উদ্ভিদ নারিকেল, পেয়ারা এবং কলা গাছ।
গত সোমবার কৃষি অনুষদের কনফারেন্স হলে ওই জরিপের সমাপনী কর্মশালায় ফলাফল উপস্থাপনকালে এসব বিষয়ে জানিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. গোপাল দাস।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান এবং ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. মতিউজ্জামান। গবেষণায় সহ পরিদর্শক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন।
তিনি জানান, উচ্চ তাপমাত্রায় ওই পোকার ডিমের বিকাশ বন্ধ হয়ে যায় এবং ডিম মারা যায়। এই পদ্ধতি নারিকেলের সাদা মাছি বা হোয়াইট ফ্লাই নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কার্যকর আইপিএম মডেল তৈরিতে সহায়ক। জরিপের মাধ্যমে সারা দেশে এই পোকার মোট ৬১টি হোস্ট উদ্ভিদ শনাক্ত করা হয় যাদের অধিকাংশই ফলজ বৃক্ষ।
অধ্যাপক ড. গোপাল দাস বলেন, উদ্বেগের বিষয় হলো এই পোকা কয়েকটি মাঠ ফসলেও শনাক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব জেলাতেই এই পোকার কম-বেশি আক্রমণ লক্ষ করা গেছে। দেশের পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব জেলাগুলোতে এই পোকার তীব্র আক্রমণ পাওয়া যায়। তবে দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্ব জেলাগুলোতে এই জাতীয় পোকার আক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম। প্রধান হোস্ট নারিকেলের পরেই এই পোকার অন্য হোস্ট হিসেবে আছে কলা ও পেয়ারা।
এ মাছি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অধ্যাপক গোপাল দাস বলেন, নারিকেলের সাদা মাছি দমনের জন্য খাটো জাতের নারিকেল গাছে কীটনাশকের নির্বিচার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
নারকেল চাষিদের পাশাপাশি সম্প্রসারণ কর্মীদের জন্য মাঠপর্যায়ে কার্যকর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যাতে তারা নিজেরাই সমস্যা বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে পারে। নারিকেলের সাদা মাছি দমনের জন্য এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো আইপিএম গাইডলাইন (আইপিএম) তৈরি হয়নি। দ্রুত একটি আইপিএম গাইডলাইন তৈরি করে তা নারিকেল চাষিদের মধ্যে সরবরাহের ব্যবস্থা করা উচিত।
হোয়াইট ফ্লাই বা সাদা মাছির আক্রমণে দেশে নারিকেলের ফলন কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে আট মাস ধরে এই গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণায় জানা গেছে, ২০১৯ সালে দেশে সর্বপ্রথম এই পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই পোকার মোট ৬১টি হোস্ট উদ্ভিদ শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে সাদা মাছির প্রধান হোস্ট উদ্ভিদ নারিকেল, পেয়ারা এবং কলা গাছ।
গত সোমবার কৃষি অনুষদের কনফারেন্স হলে ওই জরিপের সমাপনী কর্মশালায় ফলাফল উপস্থাপনকালে এসব বিষয়ে জানিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. গোপাল দাস।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান এবং ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. মতিউজ্জামান। গবেষণায় সহ পরিদর্শক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন।
তিনি জানান, উচ্চ তাপমাত্রায় ওই পোকার ডিমের বিকাশ বন্ধ হয়ে যায় এবং ডিম মারা যায়। এই পদ্ধতি নারিকেলের সাদা মাছি বা হোয়াইট ফ্লাই নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কার্যকর আইপিএম মডেল তৈরিতে সহায়ক। জরিপের মাধ্যমে সারা দেশে এই পোকার মোট ৬১টি হোস্ট উদ্ভিদ শনাক্ত করা হয় যাদের অধিকাংশই ফলজ বৃক্ষ।
অধ্যাপক ড. গোপাল দাস বলেন, উদ্বেগের বিষয় হলো এই পোকা কয়েকটি মাঠ ফসলেও শনাক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব জেলাতেই এই পোকার কম-বেশি আক্রমণ লক্ষ করা গেছে। দেশের পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব জেলাগুলোতে এই পোকার তীব্র আক্রমণ পাওয়া যায়। তবে দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্ব জেলাগুলোতে এই জাতীয় পোকার আক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম। প্রধান হোস্ট নারিকেলের পরেই এই পোকার অন্য হোস্ট হিসেবে আছে কলা ও পেয়ারা।
এ মাছি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অধ্যাপক গোপাল দাস বলেন, নারিকেলের সাদা মাছি দমনের জন্য খাটো জাতের নারিকেল গাছে কীটনাশকের নির্বিচার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
নারকেল চাষিদের পাশাপাশি সম্প্রসারণ কর্মীদের জন্য মাঠপর্যায়ে কার্যকর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যাতে তারা নিজেরাই সমস্যা বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে পারে। নারিকেলের সাদা মাছি দমনের জন্য এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো আইপিএম গাইডলাইন (আইপিএম) তৈরি হয়নি। দ্রুত একটি আইপিএম গাইডলাইন তৈরি করে তা নারিকেল চাষিদের মধ্যে সরবরাহের ব্যবস্থা করা উচিত।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৩ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে