পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে মাধ্যমিকের এবং কলেজ পড়ুয়া শত শত শিক্ষার্থী। টিকাকেন্দ্রে এসে তাড়া-হুড়ো করে টিকা নিতে গিয়ে এসব শিক্ষার্থীরা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। দুরুত্ব বজায় না রাখায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। আবার শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ভিড় থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে শুরু করে জরুরি বিভাগের ফটক দিয়ে প্রধান ফটক পর্যন্ত বেশ কয়েকটি লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। সবাই করোনার টিকা নিতে এসেছে। শিক্ষার্থীদের কথাবার্তা এবং সিরিয়াল ভাঙার কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রোগী চিকিৎসা না নিয়েই চলে যাচ্ছেন।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘আমরা টিকা নিতে এসেছি। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিরক্ত হয়ে গিয়েছি। এ জন্য একে ওপরের সঙ্গে কথা বলছি।
সাবরিনা নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী বলে, ‘যে ভিড় জমেছে তাতে আমরা করোনার টিকা নিতে আসছি না করোনাভাইরাস নিতে এসেছি বুঝতে পারছি না। কারওর মাঝে কোনো সচেতনতা দেখছি না।’
আরিফা নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এখানে টিকা না দিয়ে স্ব স্ব স্কুলে দিলে ভালো হতো। আমাদের এত ভিড়ের মধ্যে পড়তে হতো না। দীর্ঘ সারিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা।’
বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা মনিরা (২৬) নামের এক রোগী বলেন, ‘আমি ভিড়ের মধ্যে যাব না বলে অনেকক্ষণ ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে ভ্যানের ওপর বসে ছিলাম। ভিড় না কমায় চলে যাচ্ছি।’
চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় আকলিমা নামের আরেক রোগী বলেন, ‘অন্য জায়গা থেকে ডাক্তার দেখাব তবু এই ভিড়ের মধ্যে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হতে চাই না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসনাত আল মতিন বলেন, ‘সারা উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছি। ১৪ জানুয়ারির মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম শেষ করার কথা। যাতে করে সব শিক্ষার্থী টিকা নিয়ে স্কুলে যেতে পারে।’
মোহাম্মদ হাসনাত আল মতিন আরও বলেন, আমরা টিকাদানের জন্য ৭টি বুথ প্রস্তুত করেছি। সাতটি বুথ থেকে একদিনে আমরা প্রায় তিন হাজার টিকা দিতে পারব। তবে প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত কম থাকায় আজ ভিড় হয়েছে। তবে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একজন করে শিক্ষক আসার কথা ছিল। শিক্ষকেরা আসেননি। শিক্ষক আসলে এ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতো না। শিক্ষার্থীরা আমাদের কথা মানতে চায় না। তবে শিক্ষকেরা না আসার বিষয়টি আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে মাধ্যমিকের এবং কলেজ পড়ুয়া শত শত শিক্ষার্থী। টিকাকেন্দ্রে এসে তাড়া-হুড়ো করে টিকা নিতে গিয়ে এসব শিক্ষার্থীরা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। দুরুত্ব বজায় না রাখায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। আবার শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ভিড় থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে শুরু করে জরুরি বিভাগের ফটক দিয়ে প্রধান ফটক পর্যন্ত বেশ কয়েকটি লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। সবাই করোনার টিকা নিতে এসেছে। শিক্ষার্থীদের কথাবার্তা এবং সিরিয়াল ভাঙার কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রোগী চিকিৎসা না নিয়েই চলে যাচ্ছেন।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘আমরা টিকা নিতে এসেছি। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিরক্ত হয়ে গিয়েছি। এ জন্য একে ওপরের সঙ্গে কথা বলছি।
সাবরিনা নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী বলে, ‘যে ভিড় জমেছে তাতে আমরা করোনার টিকা নিতে আসছি না করোনাভাইরাস নিতে এসেছি বুঝতে পারছি না। কারওর মাঝে কোনো সচেতনতা দেখছি না।’
আরিফা নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এখানে টিকা না দিয়ে স্ব স্ব স্কুলে দিলে ভালো হতো। আমাদের এত ভিড়ের মধ্যে পড়তে হতো না। দীর্ঘ সারিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা।’
বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা মনিরা (২৬) নামের এক রোগী বলেন, ‘আমি ভিড়ের মধ্যে যাব না বলে অনেকক্ষণ ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে ভ্যানের ওপর বসে ছিলাম। ভিড় না কমায় চলে যাচ্ছি।’
চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় আকলিমা নামের আরেক রোগী বলেন, ‘অন্য জায়গা থেকে ডাক্তার দেখাব তবু এই ভিড়ের মধ্যে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হতে চাই না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসনাত আল মতিন বলেন, ‘সারা উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছি। ১৪ জানুয়ারির মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম শেষ করার কথা। যাতে করে সব শিক্ষার্থী টিকা নিয়ে স্কুলে যেতে পারে।’
মোহাম্মদ হাসনাত আল মতিন আরও বলেন, আমরা টিকাদানের জন্য ৭টি বুথ প্রস্তুত করেছি। সাতটি বুথ থেকে একদিনে আমরা প্রায় তিন হাজার টিকা দিতে পারব। তবে প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত কম থাকায় আজ ভিড় হয়েছে। তবে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একজন করে শিক্ষক আসার কথা ছিল। শিক্ষকেরা আসেননি। শিক্ষক আসলে এ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতো না। শিক্ষার্থীরা আমাদের কথা মানতে চায় না। তবে শিক্ষকেরা না আসার বিষয়টি আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে