বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুল রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি দরদি। কৃষির প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা রয়েছে। প্রণোদনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী চাষিদের মেশিন দেওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে হাওরে ধান কাটতে পারছেন তাঁরা। আর কোনো বিপর্যয় না হলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মোটামুটি ধান ঘরে তোলা সম্ভব হবে। গত শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দোয়া ও ইফতার মাহফিলে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বোরো মৌসুমে সর্বোচ্চ প্রায় দুই কোটি টন ধান উৎপাদন হয়। আগে আমন প্রধান ফসল থাকলেও এখন কমে গিয়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার টন উৎপাদন হয়। সেচসহ চাষাবাদের বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার ফলে বোরো উৎপাদন অনেক বেড়ে গেছে। হাওর এলাকায় ১২ থেকে ১৩ লাখ টন উৎপাদন হয়।

ইতিমধ্যে আগাম বন্যায় বাঁধ ভেঙে হাওরের সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইঞ্জিনিয়ার ও কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা তৎপর ছিলেন। এ ছাড়া প্রশাসন অনেক কাজ করেছে। তাই বাঁধগুলো রক্ষা পেয়েছে। ধান কাটার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষি সব সময় প্রকৃতিনির্ভর। আমরা নতুন জাত দিয়েছি। ভালো উৎপাদন আশা করছি। ইনশাআল্লাহ খাদ্যসংকট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নেত্রকোনায় ৮৬ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। সুনামগঞ্জে হাওরে ১ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। সেখানে আজ পর্যন্ত ৭১ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। গড়ে প্রায় ৫০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। সুনামগঞ্জে ৫৭৭টি ধান কাটার হারভেস্টার মেশিন কাজ করছে। এটি সরকারের বড় অবদান।’

মন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, বিএনপি সব সময় হুঁশিয়ারি দেয়। তাঁরা হরতাল করবে, অবরোধ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণ আমাদের পাশে রয়েছে। অতীতেও হরতালের নামে তাঁরা রাস্তা কেটে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে সফল হতে পারেনি। আগামী দিনেও তাঁরা সফল হতে পারবে না।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের), সাংসদ আতাউর রহমান খান, সাংসদ হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, সাংসদ তানভীর হাসান ছোট মনির, সাংসদ আহসানুল ইসলাম খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী প্রমুখ। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।