রাঙামাটি প্রতিনিধি
শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অনেকটা চুক্তি-পূর্ববর্তী অবস্থায় চলে যাচ্ছে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। জেএসএস প্রতিষ্ঠাতা এম এন লারমার ৩৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাঙামাটিতে স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় এম এন লারমার জীবন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক স্মরণসভার আয়োজন করে হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
এতে আলোচনায় অংশ নিয়ে সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও ২৪ বছর হতে চলেছে চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কোনো সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম ৫১ বছর ধরে সেনা
শাসনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। পার্বত্য চুক্তির পরেও ‘অপারেশন উত্তোরণ’ জারি করে সেনাশাসন বলবৎ রেখেছে। এ অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি উত্তর অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
সন্তু লারমা বলেন, ষাট দশকে এম এন লারমার নেতৃত্বে ছাত্রসমাজ সংগঠন হওয়ার চেষ্টা করেছে। সেই থেকে বর্তমান ছাত্র-যুবসমাজের অবস্থান ভাবা উচিত। যত দিন পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শ্রেণিহীন ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে না তত দিন পর্যন্ত জুম্মদের ওপর শাসন-শোষণ বহাল থাকবে।
সন্তু লারমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম ছাত্রসমাজ সত্তর দশকে পাকিস্তানি জুম্ম বিধ্বংসী কাপ্তাই বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশ হওয়ার পরও জুম্মরা আজও অধিকারবঞ্চিত। একটি জাতিকে টিকে থাকতে হলে ছাত্র-যুব ও নারীসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। এই ছাত্র-যুব ও নারীসমাজকে ঐতিহাসিক দায়িত্ব নিতে হবে। জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে অধিকতরভাবে এগিয়ে নিতে হবে।
স্মরণসভার প্রধান আলোচক সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন বলেন, নেতা জন্ম দেওয়া যায় না, সঠিক আদর্শ ধারণের মধ্যদিয়ে নেতা গড়ে ওঠে। তিনি জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-যুবসমাজকে এম এন লারমার আর্দশ ধারণ করতে হবে।
স্মরণসভায় অন্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রিতা চাকমা, এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ইন্তুমনি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সভাপতি মিলন কুসুম তঞ্চঙ্গ্যা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি কলেজ শাখার সভাপতি সোনারিতা চাকমা।
শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অনেকটা চুক্তি-পূর্ববর্তী অবস্থায় চলে যাচ্ছে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। জেএসএস প্রতিষ্ঠাতা এম এন লারমার ৩৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাঙামাটিতে স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় এম এন লারমার জীবন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক স্মরণসভার আয়োজন করে হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
এতে আলোচনায় অংশ নিয়ে সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও ২৪ বছর হতে চলেছে চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কোনো সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম ৫১ বছর ধরে সেনা
শাসনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। পার্বত্য চুক্তির পরেও ‘অপারেশন উত্তোরণ’ জারি করে সেনাশাসন বলবৎ রেখেছে। এ অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি উত্তর অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
সন্তু লারমা বলেন, ষাট দশকে এম এন লারমার নেতৃত্বে ছাত্রসমাজ সংগঠন হওয়ার চেষ্টা করেছে। সেই থেকে বর্তমান ছাত্র-যুবসমাজের অবস্থান ভাবা উচিত। যত দিন পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শ্রেণিহীন ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে না তত দিন পর্যন্ত জুম্মদের ওপর শাসন-শোষণ বহাল থাকবে।
সন্তু লারমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম ছাত্রসমাজ সত্তর দশকে পাকিস্তানি জুম্ম বিধ্বংসী কাপ্তাই বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশ হওয়ার পরও জুম্মরা আজও অধিকারবঞ্চিত। একটি জাতিকে টিকে থাকতে হলে ছাত্র-যুব ও নারীসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। এই ছাত্র-যুব ও নারীসমাজকে ঐতিহাসিক দায়িত্ব নিতে হবে। জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে অধিকতরভাবে এগিয়ে নিতে হবে।
স্মরণসভার প্রধান আলোচক সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন বলেন, নেতা জন্ম দেওয়া যায় না, সঠিক আদর্শ ধারণের মধ্যদিয়ে নেতা গড়ে ওঠে। তিনি জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-যুবসমাজকে এম এন লারমার আর্দশ ধারণ করতে হবে।
স্মরণসভায় অন্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রিতা চাকমা, এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ইন্তুমনি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সভাপতি মিলন কুসুম তঞ্চঙ্গ্যা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি কলেজ শাখার সভাপতি সোনারিতা চাকমা।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে