ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৈরতলার কলোনিটি এখন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। মাদকসেবী ও চোরদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে কলোনি ছেড়ে চলে গেছে অনেক পরিবার।
কলোনির ৩টি কোয়ার্টারে ২৬টি পরিবারের মধ্যে ১৯টি পরিবার কলোনি ছেড়েছে। রাত-দিন কলোনির পরিত্যক্ত ভবনগুলোতে মাদকের আসর বসাতে বাকি পরিবারগুলোও কলোনি ছাড়তে চাচ্ছে। অথচ একটা সময়ে এই কলোনিতে বাসা বরাদ্দ পেতে সরকারি চাকরিজীবী পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট অফিসে দৌড়ঝাঁপ করত।
গতকাল শুক্রবার জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলার কলোনিতে গিয়ে দেখা যায়, গণপূর্ত অফিসের এই কলোনির নিরাপত্তা দেয়ালের ভেতরে পুরো এলাকায় ভুতুড়ে পরিবেশ। রাতে তো দূরের কথা ভয়ে দিনের বেলায়ও কেউ আসবে না। গাছপালার ঝোপঝাড়ে একপ্রকার জঙ্গলে পরিণত হয়েছে কলোনি।
এসব ঝোপঝাড়ের ভেতরেই রয়েছে দোতলা ও একতলা মিলিয়ে আটটি ভবন। একটি ভবন ছাড়া বাকি সাতটিই এখন পরিত্যক্ত। এই সাতটি ভবনের কোনোটিতে দরজা-জানালা নেই। পরিত্যক্ত এসব ভবনের প্রতিটি কক্ষেই মাদক –সেবনের বিভিন্ন উপকরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
পারভেজ নামের এক তরুণের সঙ্গে কলোনির ভেতরে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ার সুবাদে গত পাঁচ বছর আগেও এই কলোনিতে বসবাস করেছি। এখন পাশের একটি ভবনে বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। এই কলোনি ছেড়ে সবাই চলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, সরকার বেতন থেকে বাসাভাড়া কেটে রাখে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণপূর্ত অফিস সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীরা দক্ষিণ পৈরতলার এই কলোনিতে বসবাস করতেন। এখন মাত্র পাঁচটি পরিবার এই কলোনির একটি ভবনে বসবাস করে।
অথচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরসভার দুই শতাধিক স্টাফের পরিবার নিয়ে বসবাস করতে কোয়ার্টারের বাসার চাহিদা রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সচিব মো. শামসুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দুই শতাধিক স্টাফের জন্য কোয়ার্টারের বাসার প্রয়োজন। এত বিপুলসংখ্যক পরিবারের জন্য আবাসিক কোয়ার্টার নির্মাণ শুধু পৌরসভার রাজস্ব দিয়ে করা সম্ভব না।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক বলেন, ‘তিনটি কোয়ার্টারে ২৬টির মধ্যে ১৯টি পরিবার বসবাস করছে না। কোয়ার্টারগুলো সংস্কার প্রয়োজন মতো করা হয়। এগুলো আরও ব্যাপকভাবে সংস্কার করতে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও করা সম্ভব হয়নি। তবে এই অফিসের কোয়ার্টারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জেলা শহরের অধিকাংশ সরকারি কোয়ার্টার আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি।
এর মধ্যে পৈরতলা কলোনিটি পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। কারণ, এই কলোনিতে যাঁরা বসবাস করতেন তাঁদের অভিযোগ, সেখানে চোরের উপদ্রব বেশি ছিল। চোরেরা বিভিন্ন সময় স্যানিটারি পাইপ, জানালার গ্রিল খুলে নিয়ে যেত। এ ছাড়া ভবনগুলোর ছাদে তখন মাদকসেবীদের আড্ডা বসত। এসব বিষয় জানার পর একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। সরকারি যদি কোনো আবাসন প্রকল্পের উদ্যোগ নেন, তাহলে আমরা পৈরতলা কলোনির জায়গাটি প্রস্তাব করব।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৈরতলার কলোনিটি এখন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। মাদকসেবী ও চোরদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে কলোনি ছেড়ে চলে গেছে অনেক পরিবার।
কলোনির ৩টি কোয়ার্টারে ২৬টি পরিবারের মধ্যে ১৯টি পরিবার কলোনি ছেড়েছে। রাত-দিন কলোনির পরিত্যক্ত ভবনগুলোতে মাদকের আসর বসাতে বাকি পরিবারগুলোও কলোনি ছাড়তে চাচ্ছে। অথচ একটা সময়ে এই কলোনিতে বাসা বরাদ্দ পেতে সরকারি চাকরিজীবী পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট অফিসে দৌড়ঝাঁপ করত।
গতকাল শুক্রবার জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলার কলোনিতে গিয়ে দেখা যায়, গণপূর্ত অফিসের এই কলোনির নিরাপত্তা দেয়ালের ভেতরে পুরো এলাকায় ভুতুড়ে পরিবেশ। রাতে তো দূরের কথা ভয়ে দিনের বেলায়ও কেউ আসবে না। গাছপালার ঝোপঝাড়ে একপ্রকার জঙ্গলে পরিণত হয়েছে কলোনি।
এসব ঝোপঝাড়ের ভেতরেই রয়েছে দোতলা ও একতলা মিলিয়ে আটটি ভবন। একটি ভবন ছাড়া বাকি সাতটিই এখন পরিত্যক্ত। এই সাতটি ভবনের কোনোটিতে দরজা-জানালা নেই। পরিত্যক্ত এসব ভবনের প্রতিটি কক্ষেই মাদক –সেবনের বিভিন্ন উপকরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
পারভেজ নামের এক তরুণের সঙ্গে কলোনির ভেতরে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ার সুবাদে গত পাঁচ বছর আগেও এই কলোনিতে বসবাস করেছি। এখন পাশের একটি ভবনে বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। এই কলোনি ছেড়ে সবাই চলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, সরকার বেতন থেকে বাসাভাড়া কেটে রাখে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণপূর্ত অফিস সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীরা দক্ষিণ পৈরতলার এই কলোনিতে বসবাস করতেন। এখন মাত্র পাঁচটি পরিবার এই কলোনির একটি ভবনে বসবাস করে।
অথচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরসভার দুই শতাধিক স্টাফের পরিবার নিয়ে বসবাস করতে কোয়ার্টারের বাসার চাহিদা রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সচিব মো. শামসুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দুই শতাধিক স্টাফের জন্য কোয়ার্টারের বাসার প্রয়োজন। এত বিপুলসংখ্যক পরিবারের জন্য আবাসিক কোয়ার্টার নির্মাণ শুধু পৌরসভার রাজস্ব দিয়ে করা সম্ভব না।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক বলেন, ‘তিনটি কোয়ার্টারে ২৬টির মধ্যে ১৯টি পরিবার বসবাস করছে না। কোয়ার্টারগুলো সংস্কার প্রয়োজন মতো করা হয়। এগুলো আরও ব্যাপকভাবে সংস্কার করতে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও করা সম্ভব হয়নি। তবে এই অফিসের কোয়ার্টারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জেলা শহরের অধিকাংশ সরকারি কোয়ার্টার আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি।
এর মধ্যে পৈরতলা কলোনিটি পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। কারণ, এই কলোনিতে যাঁরা বসবাস করতেন তাঁদের অভিযোগ, সেখানে চোরের উপদ্রব বেশি ছিল। চোরেরা বিভিন্ন সময় স্যানিটারি পাইপ, জানালার গ্রিল খুলে নিয়ে যেত। এ ছাড়া ভবনগুলোর ছাদে তখন মাদকসেবীদের আড্ডা বসত। এসব বিষয় জানার পর একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। সরকারি যদি কোনো আবাসন প্রকল্পের উদ্যোগ নেন, তাহলে আমরা পৈরতলা কলোনির জায়গাটি প্রস্তাব করব।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৮ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে