কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর
যশোরের কেশবপুরে গত ছয় মাসে অন্তত অর্ধশত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে মসজিদ, মন্দির, মোবাইল টাওয়ার থেকে শুরু করে আবাসিক গ্রাহক ও কৃষকের সেচের ট্রান্সফরমার রয়েছে।
ট্রান্সফরমারগুলোর আনুমানিক মূল্য ২২ লাখ টাকা। পুলিশের তৎপরতা কম থাকায় একের পর এক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
জানা গেছে, চলতি বছর এপ্রিল মাসে ইরি-বোরো মৌসুম শেষ হলে কৃষকেরা ধান কেটে মাঠ ছেড়ে চলে আসেন। এর পর পাটে পানি দেওয়া ও আউশ ধানের আবাদ করার জন্য অধিকাংশ কৃষক বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র সচল রাখেন।
পরে বর্ষার মৌসুম শুরু হলে টানা বৃষ্টির মধ্যে চোরেরা ট্রান্সফরমার ও কিছু কিছু বৈদ্যুতিক সেচ মোটর চুরি করে নিয়ে গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে শতভাগ বিদ্যুতায়নের এ উপজেলায় কেশবপুর জোনাল অফিস ও সাগরদাঁড়ি সাব জোনাল অফিসের আওতায় ৮০ হাজার ১৭৬ জন বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৯২ জন সেচযন্ত্রের গ্রাহক।
এসব গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিভিন্ন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রায় ৪ হাজার ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু চোরের দল গণহারে ফসলি মাঠের সেচযন্ত্রের ও গ্রাম এলাকার খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে গেছে। প্রতিটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু কোনো চোরই আটক হয় না এসব চুরির ঘটনায়।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের জড়িত থাকার কথা বলে পুলিশ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত মে থেকে চলতি অক্টোবর মাস পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গত ৩ অক্টোবর রাতে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সাবেক সভাপতি বাগদা গ্রামের আকিমুদ্দিন আহমেদের সেচের একটি ৫ কেভিএ ট্রান্সফরমার ও ৫ অক্টোবর রাতে পৌরসভার সাবদিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন সরদারের একটি ১০ কেভিএ ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক সেচ মোটরযন্ত্রটি চুরি হয়।
গত ২৯ জুন রাতে শ্রীরামপুর বাইতুন নুর জামে মসজিদ ও বায়সা শ্রীরামপুর মহাশ্মশান কালী মন্দিরের ট্রান্সফরমার, ২৮ আগস্ট রাতে শ্রীরামপুরে গ্রামীণ ফোন টাওয়ার ও ১৮ জুন রাতে কুশলদিয়া গ্রামীণ ফোন টাওয়ারের ২০ কেভিএ ট্রান্সফরমার চুরি হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর রাতে বাগদা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমানের ও ৭ আগস্ট রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বর্তমান পরিচালক মজিদপুর গ্রামের মোতাহার হোসেনের সেচের ট্রান্সফরমারের কোর ও কয়েল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
এ ছাড়া গত ৬ মে রাতে উপজেলার সাতবাড়িয়া থেকে ৩ টি, ৮ মে রাতে চাঁদড়া থেকে ২টি, ১১ মে রাতে লক্ষ্মীনাথকাটি থেকে ২টি ও কড়িয়াখালি থেকে ৩ টি, ১৮ মে রাতে শিকারপুর হিজলতলা থেকে ৩টি, ১৩ জুন রাতে আটন্ডা থেকে ৩টি, ১৮ জুন রাতে দেউলী এলাকা থেকে ৩টি, ১৬ জুলাই রাতে নেপাকাটি থেকে ১টি, ২৯ জুলাই রাতে পৌর এলাকার ভোগতি থেকে একটিসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত অর্ধশত ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।
উপজেলার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক সেচযন্ত্রের মালিক বাগদহা গ্রামের মিজানুর রহমান, লক্ষ্মীনাথকাটি গ্রামের আব্দুল আহাদ, বায়সা গ্রামের রমজান আলী ও আটন্ডা গ্রামের সোনাই মোড়ল জানান, ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
কুষকেরা আরও জানান,মাঠে সেচযন্ত্র সচল রাখতে এখন নিজের টাকায় ট্রান্সফরমার কিনতে হবে। এতে তাঁদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কেশবপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মহম্মদ আবদুল লতীফ বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চুরি রোধে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় লিফলেট বিতরণসহ সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি ট্রান্সফরমার চোরদের তথ্য জানলে থানা অথবা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চোরদের আটক করতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবাইকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করা দরকার।’
যশোরের কেশবপুরে গত ছয় মাসে অন্তত অর্ধশত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে মসজিদ, মন্দির, মোবাইল টাওয়ার থেকে শুরু করে আবাসিক গ্রাহক ও কৃষকের সেচের ট্রান্সফরমার রয়েছে।
ট্রান্সফরমারগুলোর আনুমানিক মূল্য ২২ লাখ টাকা। পুলিশের তৎপরতা কম থাকায় একের পর এক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
জানা গেছে, চলতি বছর এপ্রিল মাসে ইরি-বোরো মৌসুম শেষ হলে কৃষকেরা ধান কেটে মাঠ ছেড়ে চলে আসেন। এর পর পাটে পানি দেওয়া ও আউশ ধানের আবাদ করার জন্য অধিকাংশ কৃষক বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র সচল রাখেন।
পরে বর্ষার মৌসুম শুরু হলে টানা বৃষ্টির মধ্যে চোরেরা ট্রান্সফরমার ও কিছু কিছু বৈদ্যুতিক সেচ মোটর চুরি করে নিয়ে গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে শতভাগ বিদ্যুতায়নের এ উপজেলায় কেশবপুর জোনাল অফিস ও সাগরদাঁড়ি সাব জোনাল অফিসের আওতায় ৮০ হাজার ১৭৬ জন বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৯২ জন সেচযন্ত্রের গ্রাহক।
এসব গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিভিন্ন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রায় ৪ হাজার ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু চোরের দল গণহারে ফসলি মাঠের সেচযন্ত্রের ও গ্রাম এলাকার খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে গেছে। প্রতিটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু কোনো চোরই আটক হয় না এসব চুরির ঘটনায়।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের জড়িত থাকার কথা বলে পুলিশ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত মে থেকে চলতি অক্টোবর মাস পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গত ৩ অক্টোবর রাতে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সাবেক সভাপতি বাগদা গ্রামের আকিমুদ্দিন আহমেদের সেচের একটি ৫ কেভিএ ট্রান্সফরমার ও ৫ অক্টোবর রাতে পৌরসভার সাবদিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন সরদারের একটি ১০ কেভিএ ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক সেচ মোটরযন্ত্রটি চুরি হয়।
গত ২৯ জুন রাতে শ্রীরামপুর বাইতুন নুর জামে মসজিদ ও বায়সা শ্রীরামপুর মহাশ্মশান কালী মন্দিরের ট্রান্সফরমার, ২৮ আগস্ট রাতে শ্রীরামপুরে গ্রামীণ ফোন টাওয়ার ও ১৮ জুন রাতে কুশলদিয়া গ্রামীণ ফোন টাওয়ারের ২০ কেভিএ ট্রান্সফরমার চুরি হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর রাতে বাগদা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমানের ও ৭ আগস্ট রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বর্তমান পরিচালক মজিদপুর গ্রামের মোতাহার হোসেনের সেচের ট্রান্সফরমারের কোর ও কয়েল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
এ ছাড়া গত ৬ মে রাতে উপজেলার সাতবাড়িয়া থেকে ৩ টি, ৮ মে রাতে চাঁদড়া থেকে ২টি, ১১ মে রাতে লক্ষ্মীনাথকাটি থেকে ২টি ও কড়িয়াখালি থেকে ৩ টি, ১৮ মে রাতে শিকারপুর হিজলতলা থেকে ৩টি, ১৩ জুন রাতে আটন্ডা থেকে ৩টি, ১৮ জুন রাতে দেউলী এলাকা থেকে ৩টি, ১৬ জুলাই রাতে নেপাকাটি থেকে ১টি, ২৯ জুলাই রাতে পৌর এলাকার ভোগতি থেকে একটিসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত অর্ধশত ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।
উপজেলার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক সেচযন্ত্রের মালিক বাগদহা গ্রামের মিজানুর রহমান, লক্ষ্মীনাথকাটি গ্রামের আব্দুল আহাদ, বায়সা গ্রামের রমজান আলী ও আটন্ডা গ্রামের সোনাই মোড়ল জানান, ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
কুষকেরা আরও জানান,মাঠে সেচযন্ত্র সচল রাখতে এখন নিজের টাকায় ট্রান্সফরমার কিনতে হবে। এতে তাঁদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কেশবপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মহম্মদ আবদুল লতীফ বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চুরি রোধে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় লিফলেট বিতরণসহ সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি ট্রান্সফরমার চোরদের তথ্য জানলে থানা অথবা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চোরদের আটক করতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবাইকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করা দরকার।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে