অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাদির
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে ইসলাম। মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ বুকে লালনকারী সব মুসলমানেরই দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকা জরুরি। মহানবী (সা.) দেশ, মাটি ও মানুষকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাঁর জীবনচরিত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ছোটবেলায় চাচা আবু তালেবের সঙ্গে এবং বড় হয়ে বিবি খাদিজা (রা.)-এর ব্যবসা দেখাশোনার জন্য সিরিয়া গমন ছাড়া আর কখনোই মক্কার বাইরে পা রাখেননি। নবুয়ত লাভের পর কাফেরদের সীমাহীন অত্যাচারের মুখেও তিনি মক্কা ছাড়তে রাজি ছিলেন না। মক্কার কাফেররা তাঁকে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় করে দিতে যখন বাড়ি ঘেরাও করে, কেবল তখনই আল্লাহ তাআলার নির্দেশে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করেন।
স্বজাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মদিনায় চলে যেতে হলেও মাতৃভূমি মক্কার প্রতি ভালোবাসা তাঁর হৃদয়ে একবিন্দুও কমেনি। তাই তো দেখা যায়, বিদায়বেলায় তাঁর মন ব্যথায় ভরে উঠেছিল; বারবার তিনি মক্কার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি বিসর্জন দিচ্ছিলেন আর বলছিলেন, ‘কতইনা চমৎকার শহর তুমি, হে মক্কা! তোমাকে আমি কতইনা ভালোবাসি! যদি আমার স্বজাতির লোকজন আমাকে তোমার কোল থেকে বের করে না দিত, তাহলে কখনোই আমি তোমাকে ছেড়ে যেতাম না।’ (তিরমিজি)
মহানবী (সা.)-এর হিজরতের পরে মদিনাকেও তিনি আপন করে নেন। মদিনার প্রকৃতি তাঁর খুব প্রিয় ছিল। তবে জন্মভূমি মক্কার কথা একটিবারের জন্যও ভোলেননি; বরং হিজরতের পর মক্কার ভালোবাসা তাঁর মধ্যে আরও তীব্র হয়ে ওঠে। মক্কায় ফিরে যাওয়ার জন্য তাঁর হৃদয় সব সময় ব্যাকুল হয়ে থাকত। এ কারণে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘যিনি আপনার জন্য কোরআনকে জীবনবিধান বানিয়েছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই আপনার জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস: ৮৫)
শুধু কি তা-ই, জন্মভূমি মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরে নামাজ পড়তে না পেরে তাঁর মন অস্থির হয়ে উঠেছিল। মদিনায় আসার পর আল্লাহর নির্দেশে ষোলো বা সতেরো মাস ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ পড়ার আদেশ এসেছিল।
সেই দিনগুলোতে তিনি বড় অস্থির ছিলেন। বারবার আকাশের দিকে তাকাতেন। কখন নির্দেশ আসবে, কাবার দিকে ফিরে নামাজ পড়ার! অবশেষে সেই নির্দেশও এল।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আপনাকে আমি আপনার পছন্দের কিবলার দিকে ফিরিয়ে দেব। এখন আপনি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফেরান।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
দেশকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দেশের কল্যাণ কামনা করতে হয়, নবী-রাসুলদের উদাহরণ টেনে মহান আল্লাহ তাআলা তা শিখিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম (আ.) দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা পোষণ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, এই ভূখণ্ডকে (মক্কা) আপনি নিরাপদ শহরে পরিণত করে দিন। এর অধিবাসীদের যারা তোমার প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের রকমারি ফলমূল দিয়ে জীবিকা দান করুন।’ (সুরা বাকারা: ১২৬)
ইবরাহিম (আ.)-এর এই চেতনা বুকে লালন করেই মহানবী (সা.) নিজের দেশকে গভীর মমতায় ধারণ করেছিলেন।
মহানবী (সা.) দেশপ্রেমিক ছিলেন বলেই নিজের ভূখণ্ডের নিরাপত্তা সবার আগে বিবেচনা করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের ভূখণ্ডের সীমানা সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ধরো, ধৈর্যের প্রতিযোগিতা করো এবং প্রতিরক্ষার কাজে সদা প্রস্তুত থাকো।’ (সুরা আলে ইমরান: ২০০) হাদিসে মহানবী (সা.) ও দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের অনন্য মর্যাদার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় এক দিন সীমান্ত পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও এর মধ্যের সবকিছু থেকে উত্তম।’ (বুখারি)
মহানবী (সা.) যেমন দেশের প্রতি ভালোবাসা লালন করতেন, তেমনি আল্লাহ যখন কোনো জালিমের বিরুদ্ধে বিজয় দান করতেন, তখন তিনি সেই বিজয়কে আল্লাহর
অনুগ্রহ মনে করতেন এবং তাঁর প্রতি ভালো কাজের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতেন। পবিত্র কোরআনে যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি তাদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করলে তারা সালাত আদায় করবে, জাকাত দেবে, সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে। …’ (সুরা হজ: ৪১)
নিজের মাতৃভূমি মক্কা থেকে বিতাড়িত হওয়ার ৮ বছর পরে বিপুল শক্তি সঞ্চয় করে মহানবী (সা.) মক্কায় ফিরে এসেছিলেন এবং বিনা রক্তপাতে অষ্টম হিজরিতে মক্কা জয় করেছিলেন। বিজয়ের পর তিনি মহান আল্লাহর সেই নির্দেশনাই বাস্তবায়ন করেছিলেন, যা তিনি পবিত্র কোরআনে বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং আপনি দলে দলে মানুষকে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
এই নির্দেশনা মেনেই মহানবী (সা.) বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করেছিলেন, তাঁর মহত্ত্ব সবার সামনে তুলে ধরেছিলেন এবং যুদ্ধকালীন ভুলত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন। যেমন হাদিস থেকে জানা যায়, মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) শুকরিয়াস্বরূপ আট রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন। (জাদুল মাআদ)
এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিজয় অর্জন করতে গিয়ে যাঁরা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, মহানবী (সা.) তাঁদের জন্য বিশেষ দোয়া করেছেন, তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁদের বীরত্বের কথা স্মরণ করেছেন এবং তাঁদের জন্য ইসালে সওয়াব করেছেন।
আমাদেরও উচিত, মহানবী (সা.)-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর মতো দেশের ভালোবাসা লালন করা এবং আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা ও শহীদদের জন্য দোয়া করে বিজয় উদ্যাপন করা।
লেখক: চেয়ারম্যান, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে ইসলাম। মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ বুকে লালনকারী সব মুসলমানেরই দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকা জরুরি। মহানবী (সা.) দেশ, মাটি ও মানুষকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাঁর জীবনচরিত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ছোটবেলায় চাচা আবু তালেবের সঙ্গে এবং বড় হয়ে বিবি খাদিজা (রা.)-এর ব্যবসা দেখাশোনার জন্য সিরিয়া গমন ছাড়া আর কখনোই মক্কার বাইরে পা রাখেননি। নবুয়ত লাভের পর কাফেরদের সীমাহীন অত্যাচারের মুখেও তিনি মক্কা ছাড়তে রাজি ছিলেন না। মক্কার কাফেররা তাঁকে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় করে দিতে যখন বাড়ি ঘেরাও করে, কেবল তখনই আল্লাহ তাআলার নির্দেশে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করেন।
স্বজাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মদিনায় চলে যেতে হলেও মাতৃভূমি মক্কার প্রতি ভালোবাসা তাঁর হৃদয়ে একবিন্দুও কমেনি। তাই তো দেখা যায়, বিদায়বেলায় তাঁর মন ব্যথায় ভরে উঠেছিল; বারবার তিনি মক্কার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি বিসর্জন দিচ্ছিলেন আর বলছিলেন, ‘কতইনা চমৎকার শহর তুমি, হে মক্কা! তোমাকে আমি কতইনা ভালোবাসি! যদি আমার স্বজাতির লোকজন আমাকে তোমার কোল থেকে বের করে না দিত, তাহলে কখনোই আমি তোমাকে ছেড়ে যেতাম না।’ (তিরমিজি)
মহানবী (সা.)-এর হিজরতের পরে মদিনাকেও তিনি আপন করে নেন। মদিনার প্রকৃতি তাঁর খুব প্রিয় ছিল। তবে জন্মভূমি মক্কার কথা একটিবারের জন্যও ভোলেননি; বরং হিজরতের পর মক্কার ভালোবাসা তাঁর মধ্যে আরও তীব্র হয়ে ওঠে। মক্কায় ফিরে যাওয়ার জন্য তাঁর হৃদয় সব সময় ব্যাকুল হয়ে থাকত। এ কারণে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘যিনি আপনার জন্য কোরআনকে জীবনবিধান বানিয়েছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই আপনার জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস: ৮৫)
শুধু কি তা-ই, জন্মভূমি মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরে নামাজ পড়তে না পেরে তাঁর মন অস্থির হয়ে উঠেছিল। মদিনায় আসার পর আল্লাহর নির্দেশে ষোলো বা সতেরো মাস ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ পড়ার আদেশ এসেছিল।
সেই দিনগুলোতে তিনি বড় অস্থির ছিলেন। বারবার আকাশের দিকে তাকাতেন। কখন নির্দেশ আসবে, কাবার দিকে ফিরে নামাজ পড়ার! অবশেষে সেই নির্দেশও এল।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আপনাকে আমি আপনার পছন্দের কিবলার দিকে ফিরিয়ে দেব। এখন আপনি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফেরান।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
দেশকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দেশের কল্যাণ কামনা করতে হয়, নবী-রাসুলদের উদাহরণ টেনে মহান আল্লাহ তাআলা তা শিখিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম (আ.) দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা পোষণ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, এই ভূখণ্ডকে (মক্কা) আপনি নিরাপদ শহরে পরিণত করে দিন। এর অধিবাসীদের যারা তোমার প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের রকমারি ফলমূল দিয়ে জীবিকা দান করুন।’ (সুরা বাকারা: ১২৬)
ইবরাহিম (আ.)-এর এই চেতনা বুকে লালন করেই মহানবী (সা.) নিজের দেশকে গভীর মমতায় ধারণ করেছিলেন।
মহানবী (সা.) দেশপ্রেমিক ছিলেন বলেই নিজের ভূখণ্ডের নিরাপত্তা সবার আগে বিবেচনা করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের ভূখণ্ডের সীমানা সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ধরো, ধৈর্যের প্রতিযোগিতা করো এবং প্রতিরক্ষার কাজে সদা প্রস্তুত থাকো।’ (সুরা আলে ইমরান: ২০০) হাদিসে মহানবী (সা.) ও দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের অনন্য মর্যাদার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় এক দিন সীমান্ত পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও এর মধ্যের সবকিছু থেকে উত্তম।’ (বুখারি)
মহানবী (সা.) যেমন দেশের প্রতি ভালোবাসা লালন করতেন, তেমনি আল্লাহ যখন কোনো জালিমের বিরুদ্ধে বিজয় দান করতেন, তখন তিনি সেই বিজয়কে আল্লাহর
অনুগ্রহ মনে করতেন এবং তাঁর প্রতি ভালো কাজের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতেন। পবিত্র কোরআনে যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি তাদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করলে তারা সালাত আদায় করবে, জাকাত দেবে, সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে। …’ (সুরা হজ: ৪১)
নিজের মাতৃভূমি মক্কা থেকে বিতাড়িত হওয়ার ৮ বছর পরে বিপুল শক্তি সঞ্চয় করে মহানবী (সা.) মক্কায় ফিরে এসেছিলেন এবং বিনা রক্তপাতে অষ্টম হিজরিতে মক্কা জয় করেছিলেন। বিজয়ের পর তিনি মহান আল্লাহর সেই নির্দেশনাই বাস্তবায়ন করেছিলেন, যা তিনি পবিত্র কোরআনে বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং আপনি দলে দলে মানুষকে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
এই নির্দেশনা মেনেই মহানবী (সা.) বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করেছিলেন, তাঁর মহত্ত্ব সবার সামনে তুলে ধরেছিলেন এবং যুদ্ধকালীন ভুলত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন। যেমন হাদিস থেকে জানা যায়, মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) শুকরিয়াস্বরূপ আট রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন। (জাদুল মাআদ)
এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিজয় অর্জন করতে গিয়ে যাঁরা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, মহানবী (সা.) তাঁদের জন্য বিশেষ দোয়া করেছেন, তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁদের বীরত্বের কথা স্মরণ করেছেন এবং তাঁদের জন্য ইসালে সওয়াব করেছেন।
আমাদেরও উচিত, মহানবী (সা.)-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর মতো দেশের ভালোবাসা লালন করা এবং আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা ও শহীদদের জন্য দোয়া করে বিজয় উদ্যাপন করা।
লেখক: চেয়ারম্যান, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে