যশোরের ভবদহের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে কেশবপুরে জলাবদ্ধ ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে ‘২৭ বিল বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি’র উদ্যোগে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর ১৪ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে জলাবদ্ধ এলাকার শ্রমজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

আগের দিন মঙ্গলবার মনিরামপুরের পানিবন্দী শতাধিক মানুষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন। এ সময় ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এর পর দিনই কেশবপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী মাঘী পূর্ণিমার আগে বিল কপালিয়ায় জোয়ারাধার (টিআরএম) প্রকল্প চালু করতে হবে, সকল নদী অববাহিকায় একটি করে জোয়ারাধার কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে, জোয়ারাধারকৃত বিলের জমি মালিকদের সহজ শর্তে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের চিকিৎসা বিনা মূল্যে করতে হবে, পদ্মা, ভৈরব ও মাথাভাঙ্গা নদীর সঙ্গে এ অঞ্চলের নদীগুলোর সংযোগ স্থাপন করতে হবে, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জন সম্পৃক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে, সমস্যা সমাধানে লোকজ জ্ঞানের সমন্বয় ঘটাতে হবে, সব নদ-নদী দখলমুক্ত করতে হবে, সমস্যা সমাধানে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে, জলাবদ্ধ এলাকায় ছয় মাস ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ গো–খাদ্যের ভর্তুকি দিতে হবে।

২৭ বিল বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক বাবুর আলী গোলদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও উপজেলা নাগরিক সমাজের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার, মাসুদা বেগম বিউটি, জলাবদ্ধ এলাকার উত্তম কুমার গাইন আজগর আলী প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম স্মারকলিপি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।