মাগুরা সদর উপজেলা চাউলিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে হেরে বিজয়ী ইউপি সদস্যের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ইউনিয়নের বুজরুক শ্রীখন্ডী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা ও পুলিশ জানান, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে আকিদুল শেখ বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মোশাররফ হোসেন ওরফে মশা ফুটবল প্রতীক নিয়ে পরাজিত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোশাররফ হোসেনের কর্মী-সমর্থকেরা বিজয়ী মেম্বার আকিদুল শেখের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করেন। এ সময় ইব্রাহিম শেখ (৪৬), স্বাধীন (১৫), রাজু (৪৫), রাহান (২৫) এবং হুসনা বেগম (৩৮) আহত হন।

মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রসাদ বলেন, আহত ৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

ক্ষতিগ্রস্ত রাজু শেখ জানান, তাঁর এবং প্রতিবেশী ইব্রাহিম শেখের দুটি দোকানে ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানো হয়। শহিদুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তিও জানান, তাঁর এবং জব্বার শেখের বাড়িতে ভাঙচুর এবং মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।

এদিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় উভয় পক্ষই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। বিজয়ী ইউপি সদস্য আকিদুল শেখ বলেন, ‘আমি নির্বাচনে জয়লাভ করার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালান। এ সময় ৫ জন আহত হয়েছেন।’

হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় আমার সমর্থকদের মন এমনিতেই খুব খারাপ ছিল। এরপর বিজয়ী আকিদুলের লোকজন আমার সমর্থকদের বিদ্রূপ করলে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে শুধু গালমন্দ করেছেন।’

এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনজুর আলম জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মিলন হোসেন (২০) নামে একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।