উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
ভোটের আচরণবিধি আর সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা—উভয় জায়গায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। এরপরও এসব বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে বা পেছন থেকে প্রচারের কাজ করছেন কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সরকারি কর্মচারীদের এমন আচরণকে চাকরিবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই এ ধরনের সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য নয়। সরকারি কর্মচারী আইন সব কর্মচারীর জন্য মানা বাধ্যতামূলক। আমরা সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং হবে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। আর সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ২৫(৩) ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অথবা অন্যত্র কোনো আইনসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অথবা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে বা অন্য কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করতে বা প্রভাব খাটাতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না, এটা অপরাধ। এ ধরনের আচরণে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য এটা খুবই জরুরি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমন আচরণ চাকরিবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাঁরা জনগণের কাছ থেকে বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন এবং তাঁরা কোনো দলের কর্মী নন।’
আইজিপির ভাইয়ের পক্ষে ওসি
সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা আসনে নৌকার প্রার্থী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ভাই আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি জয়া সেন গুপ্তা কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন, আল মাহমুদের পক্ষে কাজ করছেন দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
জয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসি ইখতিয়ার নৌকার প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন। তিনি নিজেকে ওই প্রার্থীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপি নেতা-কর্মী বানিয়ে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছেন।’তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি ইখতিয়ার বলেন, ‘আমি কারও পক্ষে কাজ করছি না।’
মন্ত্রীর পক্ষে প্রচারে সমাজসেবা কর্মকর্তা
লালমনিরহাট-২ আসনে নির্বাচনী প্রচারে অন্তত ২০ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আসনের নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। কালীগঞ্জের উত্তর বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সাঈদ প্রকাশ্যে নৌকার নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিয়েছেন। ওই মঞ্চে উঠে ভোটারদের নৌকায় ভোট দেওয়ার জানান দেন কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন সরকারি কলেজের প্রভাষক মনিরুজ্জামান কাঞ্চন। একই প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন চর ইশোরকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুল ইসলাম। নির্বাচনী পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে ভোট গ্রহণের প্রশিক্ষণ নিলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নৌকার প্রচার চালাচ্ছেন আদিতমারী উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সুপারভাইজার রাশেদ আহমেদ। তবে প্রভাষক মনিরুজ্জামানের দাবি, তিনি প্রার্থীর প্রচার মঞ্চে থাকলেও বক্তব্য দেননি।
নৌকায় ভোট দিতে চাপ শিক্ষা কর্মকর্তার
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডলকে ভোট দেওয়ার জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চৌহালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ সরকারের বিরুদ্ধে। ২১ ডিসেম্বর শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় ১০ ব্যক্তি। পরে শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফকে শোকজ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ সরকারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।
স্বতন্ত্রের বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীর অভিযোগ
বগুড়ায় বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং নৌকার প্রার্থী সাহাদারা মান্নান। কমিশনে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেছেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) হামিদুল আলম মিলন, তাঁর বড় ভাই গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত তৌহিদুল ইসলাম নয়ন এবং নওগাঁ জেলার সাপাহারে কর্মরত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রওশনুল কাওছার স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। হামিদুল আলম মিলন স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্বামী। এ ছাড়া সাপাহার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রওশুনুল কাওছার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে শাহাজাদী আলমের প্রচার করছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাপাহার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রওশনুল কাওছার বলেন, ‘আমি কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিইনি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে এসআই
ছুটিতে এসে ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল হোসেন মিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগ উঠেছে মনিরুজ্জামান মনির নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তিনি ঝিনাইদহ জেলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা চাকরি থেকে অবসর নিতে চেয়ে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘চাকরির সময়সীমা আরও ১২ বছর আছে। অবসরে আসলে কেমন হয়? সুপ্রিয় বন্ধুদের মতামত চাই।’
এমন স্ট্যাটাস ফেসবুকে দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে এড়িয়ে যান এবং ফোন কেটে দেন।
নৌকার পক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা—অভিযোগ জাপা এমপির
সরকারি কর্মকর্তারা নৌকার পক্ষে কাজ করছেন বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি মনোনীত (লাঙ্গল) প্রার্থী পীর মিসবাহ। রোববার সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ সভায় এই অভিযোগ জানান তিনি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। পীর মিসবাহ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর (ড. মোহাম্মদ সাদিক) পক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা সিলেট থেকে এসে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সুনামগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি]
ভোটের আচরণবিধি আর সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা—উভয় জায়গায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। এরপরও এসব বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে বা পেছন থেকে প্রচারের কাজ করছেন কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সরকারি কর্মচারীদের এমন আচরণকে চাকরিবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই এ ধরনের সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য নয়। সরকারি কর্মচারী আইন সব কর্মচারীর জন্য মানা বাধ্যতামূলক। আমরা সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং হবে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। আর সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ২৫(৩) ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অথবা অন্যত্র কোনো আইনসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অথবা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে বা অন্য কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করতে বা প্রভাব খাটাতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না, এটা অপরাধ। এ ধরনের আচরণে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য এটা খুবই জরুরি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমন আচরণ চাকরিবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাঁরা জনগণের কাছ থেকে বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন এবং তাঁরা কোনো দলের কর্মী নন।’
আইজিপির ভাইয়ের পক্ষে ওসি
সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা আসনে নৌকার প্রার্থী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ভাই আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি জয়া সেন গুপ্তা কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন, আল মাহমুদের পক্ষে কাজ করছেন দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
জয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসি ইখতিয়ার নৌকার প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন। তিনি নিজেকে ওই প্রার্থীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপি নেতা-কর্মী বানিয়ে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছেন।’তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি ইখতিয়ার বলেন, ‘আমি কারও পক্ষে কাজ করছি না।’
মন্ত্রীর পক্ষে প্রচারে সমাজসেবা কর্মকর্তা
লালমনিরহাট-২ আসনে নির্বাচনী প্রচারে অন্তত ২০ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আসনের নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। কালীগঞ্জের উত্তর বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সাঈদ প্রকাশ্যে নৌকার নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিয়েছেন। ওই মঞ্চে উঠে ভোটারদের নৌকায় ভোট দেওয়ার জানান দেন কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন সরকারি কলেজের প্রভাষক মনিরুজ্জামান কাঞ্চন। একই প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন চর ইশোরকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুল ইসলাম। নির্বাচনী পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে ভোট গ্রহণের প্রশিক্ষণ নিলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নৌকার প্রচার চালাচ্ছেন আদিতমারী উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সুপারভাইজার রাশেদ আহমেদ। তবে প্রভাষক মনিরুজ্জামানের দাবি, তিনি প্রার্থীর প্রচার মঞ্চে থাকলেও বক্তব্য দেননি।
নৌকায় ভোট দিতে চাপ শিক্ষা কর্মকর্তার
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডলকে ভোট দেওয়ার জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চৌহালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ সরকারের বিরুদ্ধে। ২১ ডিসেম্বর শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় ১০ ব্যক্তি। পরে শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফকে শোকজ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ সরকারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।
স্বতন্ত্রের বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীর অভিযোগ
বগুড়ায় বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং নৌকার প্রার্থী সাহাদারা মান্নান। কমিশনে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেছেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) হামিদুল আলম মিলন, তাঁর বড় ভাই গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত তৌহিদুল ইসলাম নয়ন এবং নওগাঁ জেলার সাপাহারে কর্মরত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রওশনুল কাওছার স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। হামিদুল আলম মিলন স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্বামী। এ ছাড়া সাপাহার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রওশুনুল কাওছার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে শাহাজাদী আলমের প্রচার করছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাপাহার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রওশনুল কাওছার বলেন, ‘আমি কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিইনি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে এসআই
ছুটিতে এসে ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল হোসেন মিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগ উঠেছে মনিরুজ্জামান মনির নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তিনি ঝিনাইদহ জেলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা চাকরি থেকে অবসর নিতে চেয়ে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘চাকরির সময়সীমা আরও ১২ বছর আছে। অবসরে আসলে কেমন হয়? সুপ্রিয় বন্ধুদের মতামত চাই।’
এমন স্ট্যাটাস ফেসবুকে দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে এড়িয়ে যান এবং ফোন কেটে দেন।
নৌকার পক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা—অভিযোগ জাপা এমপির
সরকারি কর্মকর্তারা নৌকার পক্ষে কাজ করছেন বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি মনোনীত (লাঙ্গল) প্রার্থী পীর মিসবাহ। রোববার সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ সভায় এই অভিযোগ জানান তিনি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। পীর মিসবাহ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর (ড. মোহাম্মদ সাদিক) পক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা সিলেট থেকে এসে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সুনামগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি]
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে