আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শতকোটি টাকার কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থা (সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্ট) নষ্ট হয়ে আছে দুই মাস ধরে। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করা এবং বেশি আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহারের কারণে প্ল্যান্টের চারটি সিলার (ঠান্ডা বাতাস পরিবাহী পাইপ) নষ্ট হয়ে আছে বলে জানা গেছে।
আপৎকালীন হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা থেকে এয়ার ফ্লোর স্ট্যান্ডিং এসি এবং স্পিড টাইপ প্রায় ১০০টি এসি এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে আরও ৩০টি এসি লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদ সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। গতকাল শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (বৃস্পতিবার) সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলাম। বিষয়টি আমরা সদর দপ্তরকে জানিয়েছি। আশা করছি, ২-৩ দিনে সবকিছু জানতে পারব। আমরা এসির ক্রটি সারাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে টার্মিনাল ভবনের চারটি সিলারের সবই অকেজো হয়ে আছে। ঢাকা থেকে ফ্লোর স্ট্যান্ডিং এসি এবং স্পিড টাইপ এসি এনে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ চালানো হচ্ছে। তাতেও সব জায়গা ঠান্ডা রাখা যাচ্ছে না। টার্মিনাল ভবন গরম হয়ে যাচ্ছে। বাইরের তাপমাত্রা বাড়লে আরও ঝুঁকি তৈরি হবে।
ত্রুটি সারাতে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। অন্যতম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একরিঞ্জ লিমিটেডের মালিক রেজাউল করিম জানান, বিমানবন্দরের সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্টের চারটি সিলারের ত্রুটি সারাতে ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছে। ভারত থেকে আসা বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আরিফ এ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি গত বুধবার ত্রুটি পরীক্ষা করে দেখেছেন। সিলারগুলো আর ঠিক করার অবস্থায় নেই বলে তিনি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
রেজাউল করিম আরও জানান, নষ্ট হয়ে যাওয়া চারটি সিলারের দাম ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা। গোটা সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্টের দাম তো শতকোটি টাকা।
সিভিল অ্যাভিয়েশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্টের চারটি সিলারের ত্রুটি সারাতে একাধিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছে। বিষয়টি আমাদের সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই জানেন। আমরা আশা করছি, এটা মেরামত করতে পারব।’
তবে শঙ্কাও মাথায় আছে প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আরিফের। তিনি বলেন, ‘মেরামত করতে না পারলে টেন্ডারের মাধ্যমে মালপত্র আমদানি করে এই প্ল্যান্ট বসানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা আবার যাব, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশন প্ল্যান্টের ত্রুটি সারাব এবং যেকোনো প্রকারেই আমাদের বিমানবন্দর সচল রাখব।’
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করার কারণে এসির সিলারে ময়লা পানি ঢুকে যায়।
এতে এসির প্ল্যান্ট নষ্ট হয়ে যায়। দায়িত্বশীল একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনে আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহার করায় সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সিভিল শাখার সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ইলেট্রিক্যাল ম্যান্টেনেজ (ইএম) শাখার সহকারী প্রকৌশলী মো. সানা উল্যা বলেন, বিমানবন্দরের সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্টের চারটি সিলারের ত্রুটি সারাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শতকোটি টাকার কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থা (সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্ট) নষ্ট হয়ে আছে দুই মাস ধরে। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করা এবং বেশি আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহারের কারণে প্ল্যান্টের চারটি সিলার (ঠান্ডা বাতাস পরিবাহী পাইপ) নষ্ট হয়ে আছে বলে জানা গেছে।
আপৎকালীন হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা থেকে এয়ার ফ্লোর স্ট্যান্ডিং এসি এবং স্পিড টাইপ প্রায় ১০০টি এসি এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে আরও ৩০টি এসি লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদ সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। গতকাল শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (বৃস্পতিবার) সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলাম। বিষয়টি আমরা সদর দপ্তরকে জানিয়েছি। আশা করছি, ২-৩ দিনে সবকিছু জানতে পারব। আমরা এসির ক্রটি সারাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে টার্মিনাল ভবনের চারটি সিলারের সবই অকেজো হয়ে আছে। ঢাকা থেকে ফ্লোর স্ট্যান্ডিং এসি এবং স্পিড টাইপ এসি এনে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ চালানো হচ্ছে। তাতেও সব জায়গা ঠান্ডা রাখা যাচ্ছে না। টার্মিনাল ভবন গরম হয়ে যাচ্ছে। বাইরের তাপমাত্রা বাড়লে আরও ঝুঁকি তৈরি হবে।
ত্রুটি সারাতে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। অন্যতম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একরিঞ্জ লিমিটেডের মালিক রেজাউল করিম জানান, বিমানবন্দরের সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্টের চারটি সিলারের ত্রুটি সারাতে ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছে। ভারত থেকে আসা বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আরিফ এ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি গত বুধবার ত্রুটি পরীক্ষা করে দেখেছেন। সিলারগুলো আর ঠিক করার অবস্থায় নেই বলে তিনি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
রেজাউল করিম আরও জানান, নষ্ট হয়ে যাওয়া চারটি সিলারের দাম ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা। গোটা সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্টের দাম তো শতকোটি টাকা।
সিভিল অ্যাভিয়েশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্টের চারটি সিলারের ত্রুটি সারাতে একাধিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছে। বিষয়টি আমাদের সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই জানেন। আমরা আশা করছি, এটা মেরামত করতে পারব।’
তবে শঙ্কাও মাথায় আছে প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আরিফের। তিনি বলেন, ‘মেরামত করতে না পারলে টেন্ডারের মাধ্যমে মালপত্র আমদানি করে এই প্ল্যান্ট বসানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা আবার যাব, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশন প্ল্যান্টের ত্রুটি সারাব এবং যেকোনো প্রকারেই আমাদের বিমানবন্দর সচল রাখব।’
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করার কারণে এসির সিলারে ময়লা পানি ঢুকে যায়।
এতে এসির প্ল্যান্ট নষ্ট হয়ে যায়। দায়িত্বশীল একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনে আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহার করায় সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সিভিল শাখার সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ইলেট্রিক্যাল ম্যান্টেনেজ (ইএম) শাখার সহকারী প্রকৌশলী মো. সানা উল্যা বলেন, বিমানবন্দরের সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্টের চারটি সিলারের ত্রুটি সারাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে