মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
রাজধানীর অদূরে সাভারের কেন্দ্রবিন্দু নামাবাজারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ ও সারের গুদামটি ছিল কৃষকের আস্থার জায়গা।সময়ের ব্যবধানে সেটি এখন বৈদ্যুতিক রিকশা ও ভ্যানের গ্যারেজ। ৩৩ শতকের বেশি জমির ওপর নির্মিত গুদামটি পুরোপুরি দখলে নেয় বিএডিসি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এরই মধ্যে ১০ শতক জমি নিজের নামে রেকর্ড করেও নিয়েছেন এক ভাড়াটে।
শুধু সাভারের এই গুদাম নয়, সারা দেশে বিএডিসির নির্মিত প্রায় ৪০০ সার ও বীজ গুদামের বড় অংশই এখন বেদখলে। এতে বেহাত হয়েছে সংস্থাটির ৪ হাজার ১২৮ শতক জমি ও সেখানে নির্মিত স্থাপনা। যার মূল্য হাজার কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকার সাভারেই তিন মৌজায় বিএডিসির ৯৯ শতক জমি ও স্থাপনা বেদখল হয়ে গেছে। এসব জমি কীভাবে বেহাত হলো, তা অনুসন্ধান করতে সরেজমিনে সেখানকার গুদামগুলো ঘুরে দেখা হয়েছে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে। নামাবাজার গিয়ে দেখা যায়, সাভারের বিএডিসির একসময়ের ডিলার আ. মোমেন ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল মোমেনের দখলে রয়েছে এটি। তিনি আবার গুদামটি ভাড়া দিয়েছেন আরেকজনকে, যিনি বর্তমানে এটি ভ্যান ও বৈদ্যুতিক রিকশার গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করছেন। গুদামের দুই পাশে দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়েছেন আব্দুল মোমেন। সম্প্রতি তিনি গুদামের এক অংশের জমির আইনি দখলস্বত্বও নিশ্চিত করেছেন। নিজের নামে রেকর্ড করা ১০ শতক জায়গায় সম্প্রতি উঠিয়েছেন দেয়াল।
সাভারের টাট্টি মৌজায় বেদখল হয়েছে বিএডিসির ৩৩ শতক জায়গা দখল করে পাঁচতলা স্থায়ী চৌরঙ্গী সুপারমার্কেট বানিয়েছেন মৃত ইউসুফ আহমেদের উত্তরাধিকারীরা। ১৯৯৫ সালে সুপারমার্কেটটি নির্মাণ করেন ইউসুফ আহমেদ। জায়গার দখল নিতে মামলাও করেছে বিএডিসি, যা আপিল বিভাগে চলমান রয়েছে।
এ দুই জায়গায় গিয়ে দখলদারদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা, ওই সব জমিতে নির্মিত দোকানের ভাড়াটে ও রিকশা গ্যারেজের ভাড়াটেরা জমিগুলো গুদামের বলেই স্বীকার করেছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় বিএডিসির সার গুদামের ২২ শতক জায়গা দখল করে রেখেছে স্থানীয় খুকী গং। ২০১৩ সালে এ জায়গা দখলের পর অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করে ভাড়াও দিয়েছেন খুকি আক্তার ও রহিমা। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে বিএডিসি। সংস্থার এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএডিসির কোনো কার্যক্রম না থাকা এবং তৎকালীন নিয়োজিত কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে জায়গাটি বেদখল হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, করিমগঞ্জ বিএডিসি অফিসটির খালি জায়গার চারদিকে ছয়টি দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়েছেন খুকি আক্তার ও তাঁর সহযোগীরা। তবে বিএডিসি গোডাউনটি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। জানতে চাইলে খুকি আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা এই সম্পত্তির কাওলা দেয়নি। এটি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। ১৯ বছর যাবৎ আমরা দোকানপাট করে ভোগদখলে আছি। বিএডিসির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। এ সম্পত্তির জন্য বিএডিসির বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’
একই অবস্থা গাজীপুরের টঙ্গী থানার মরকুন মৌজায় অবস্থিত সার গুদামেরও। সেখানে সার গুদামের জন্য ৬৬ শতক জমি অধিগ্রহণ করেছিল বিএডিসি। কিন্তু ওই জমির পুরোটাই এখন বেদখলে। জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও রেকর্ড সংশোধন করতে মামলা করতে হয়েছে বিএডিসিকে। কিন্তু দখলদার মৃত্যুবরণ করায় মামলা পরিচালনা ও জমি উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে এখন সংকটে পড়েছে বিএডিসি।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নে বিএডিসির বীজ গুদামটিও এখন ধ্বংসপ্রায় অবস্থায়। ১০ শতক জমিসহ জরাজীর্ণ বীজ গুদামটি বর্তমানে রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করছেন স্থানীয় মিষ্টি বিক্রেতারা। আর সীমানাপ্রাচীর না থাকায় খালি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে অন্তত ১০টি দোকান। যদিও সোনারগাঁ কৃষি অফিসের নথিতে বলা হয়েছে, বারদী ৮৫ নং মৌজার ১০ শতক জমিতে সীমানাপ্রাচীর না থাকায় তা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করছে।
রাজধানীর আশপাশে বিএডিসির জমির সবচেয়ে বড় বেদখল হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। সেখানে সার গুদামের জন্য আটি ও আজিবপুর মৌজায় ৯০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল সংস্থাটি। পরে অধিগ্রহণ করা জমির গেজেট প্রকাশের জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি প্রক্রিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, আজিবপুর মৌজায় ৫১০ শতক জমির মধ্যে ২৭০ শতক জমি এবং আটি মৌজার ৩৯৫ শতক জমির পুরোটাই বেদখল হয়ে গেছে।
বিএডিসির জায়গা দখলে নিয়েছে সরকারের অন্য সংস্থাগুলোও। সুনামগঞ্জ জেলার তেঘরিয়া মৌজায় বিএডিসির সার গুদামের ৫২ শতক জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ শতক জায়গায় বানানো হয়েছে পুলিশ সুপার কার্যালয়। এই জায়গা ছেড়ে দিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চিঠিও দিয়েছে বিএডিসি।
নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় বিএডিসির ১৮ শতক জায়গাসহ একটি সার গুদাম ছিল। ২০১৬ সালে ওই গোডাউন ভেঙে উপজেলা পরিষদের জন্য হলরুম বানানো হয়। বিএডিসির অনুমতি না নিয়েই গোডাউনটি ভেঙে জায়গার দখল নেয় সেনবাগ উপজেলা পরিষদ।
বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, মামলার মাধ্যমে কিছু গুদাম ও জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে বিএডিসি। সংস্থাটির মালিকানাধীন বেহাত ও বেদখল জমি ও স্থাপনা পুনরুদ্ধারে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও কাজ করছে।
এ বিষয়ে বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত কয়েক বছরে সরকার বেদখল সম্পত্তি উদ্ধারে বিশেষ জোর দিয়েছে। এই চেষ্টা বিএডিসিতেও চলমান। বেদখলে থাকা কিছু সম্পত্তি এরই মধ্যে দখলে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা জায়গায় সীমানাপ্রাচীর/কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে।
আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ আরও বলেন, প্রতিটি দপ্তরের কতটুকু জমিজমা বেহাত বেদখল আছে, তার প্রতিবেদন প্রতি মাসে মিটিংয়ে জমা দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিএডিসির জমিজমার নামজারিসংক্রান্ত বিরোধগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ষাটের দশকে কৃষি উপকরণের নির্বিঘ্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সারা দেশে ছোট-বড় ৪০০টির বেশি গুদাম নির্মাণ করে তৎকালীন কৃষি বিভাগ। সেগুলোতে সার, কীটনাশক ও বীজ সংরক্ষণ করা হতো।
পরে এগুলো কৃষকের কাছে যেত। নব্বইয়ের দশকে সেই সব গুদামের নিয়ন্ত্রণ পায় বিএডিসি। পরে ক্রমান্বয়ে কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে আসায় এসব গুদামের প্রয়োজনীয়তাও কমতে থাকে। তখন এসব গুদাম তৎকালীন বিএডিসি ও বিসিআইসির ডিলার কিংবা স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। নামমাত্র ভাড়ায় পাওয়া এসব গুদাম, স্থাপনা ও জমি কয়েক দশক ধরে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছেন তাঁরা।
রাজধানীর অদূরে সাভারের কেন্দ্রবিন্দু নামাবাজারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ ও সারের গুদামটি ছিল কৃষকের আস্থার জায়গা।সময়ের ব্যবধানে সেটি এখন বৈদ্যুতিক রিকশা ও ভ্যানের গ্যারেজ। ৩৩ শতকের বেশি জমির ওপর নির্মিত গুদামটি পুরোপুরি দখলে নেয় বিএডিসি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এরই মধ্যে ১০ শতক জমি নিজের নামে রেকর্ড করেও নিয়েছেন এক ভাড়াটে।
শুধু সাভারের এই গুদাম নয়, সারা দেশে বিএডিসির নির্মিত প্রায় ৪০০ সার ও বীজ গুদামের বড় অংশই এখন বেদখলে। এতে বেহাত হয়েছে সংস্থাটির ৪ হাজার ১২৮ শতক জমি ও সেখানে নির্মিত স্থাপনা। যার মূল্য হাজার কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকার সাভারেই তিন মৌজায় বিএডিসির ৯৯ শতক জমি ও স্থাপনা বেদখল হয়ে গেছে। এসব জমি কীভাবে বেহাত হলো, তা অনুসন্ধান করতে সরেজমিনে সেখানকার গুদামগুলো ঘুরে দেখা হয়েছে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে। নামাবাজার গিয়ে দেখা যায়, সাভারের বিএডিসির একসময়ের ডিলার আ. মোমেন ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল মোমেনের দখলে রয়েছে এটি। তিনি আবার গুদামটি ভাড়া দিয়েছেন আরেকজনকে, যিনি বর্তমানে এটি ভ্যান ও বৈদ্যুতিক রিকশার গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করছেন। গুদামের দুই পাশে দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়েছেন আব্দুল মোমেন। সম্প্রতি তিনি গুদামের এক অংশের জমির আইনি দখলস্বত্বও নিশ্চিত করেছেন। নিজের নামে রেকর্ড করা ১০ শতক জায়গায় সম্প্রতি উঠিয়েছেন দেয়াল।
সাভারের টাট্টি মৌজায় বেদখল হয়েছে বিএডিসির ৩৩ শতক জায়গা দখল করে পাঁচতলা স্থায়ী চৌরঙ্গী সুপারমার্কেট বানিয়েছেন মৃত ইউসুফ আহমেদের উত্তরাধিকারীরা। ১৯৯৫ সালে সুপারমার্কেটটি নির্মাণ করেন ইউসুফ আহমেদ। জায়গার দখল নিতে মামলাও করেছে বিএডিসি, যা আপিল বিভাগে চলমান রয়েছে।
এ দুই জায়গায় গিয়ে দখলদারদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা, ওই সব জমিতে নির্মিত দোকানের ভাড়াটে ও রিকশা গ্যারেজের ভাড়াটেরা জমিগুলো গুদামের বলেই স্বীকার করেছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় বিএডিসির সার গুদামের ২২ শতক জায়গা দখল করে রেখেছে স্থানীয় খুকী গং। ২০১৩ সালে এ জায়গা দখলের পর অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করে ভাড়াও দিয়েছেন খুকি আক্তার ও রহিমা। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে বিএডিসি। সংস্থার এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএডিসির কোনো কার্যক্রম না থাকা এবং তৎকালীন নিয়োজিত কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে জায়গাটি বেদখল হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, করিমগঞ্জ বিএডিসি অফিসটির খালি জায়গার চারদিকে ছয়টি দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়েছেন খুকি আক্তার ও তাঁর সহযোগীরা। তবে বিএডিসি গোডাউনটি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। জানতে চাইলে খুকি আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা এই সম্পত্তির কাওলা দেয়নি। এটি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। ১৯ বছর যাবৎ আমরা দোকানপাট করে ভোগদখলে আছি। বিএডিসির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। এ সম্পত্তির জন্য বিএডিসির বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’
একই অবস্থা গাজীপুরের টঙ্গী থানার মরকুন মৌজায় অবস্থিত সার গুদামেরও। সেখানে সার গুদামের জন্য ৬৬ শতক জমি অধিগ্রহণ করেছিল বিএডিসি। কিন্তু ওই জমির পুরোটাই এখন বেদখলে। জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও রেকর্ড সংশোধন করতে মামলা করতে হয়েছে বিএডিসিকে। কিন্তু দখলদার মৃত্যুবরণ করায় মামলা পরিচালনা ও জমি উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে এখন সংকটে পড়েছে বিএডিসি।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নে বিএডিসির বীজ গুদামটিও এখন ধ্বংসপ্রায় অবস্থায়। ১০ শতক জমিসহ জরাজীর্ণ বীজ গুদামটি বর্তমানে রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করছেন স্থানীয় মিষ্টি বিক্রেতারা। আর সীমানাপ্রাচীর না থাকায় খালি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে অন্তত ১০টি দোকান। যদিও সোনারগাঁ কৃষি অফিসের নথিতে বলা হয়েছে, বারদী ৮৫ নং মৌজার ১০ শতক জমিতে সীমানাপ্রাচীর না থাকায় তা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করছে।
রাজধানীর আশপাশে বিএডিসির জমির সবচেয়ে বড় বেদখল হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। সেখানে সার গুদামের জন্য আটি ও আজিবপুর মৌজায় ৯০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল সংস্থাটি। পরে অধিগ্রহণ করা জমির গেজেট প্রকাশের জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি প্রক্রিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, আজিবপুর মৌজায় ৫১০ শতক জমির মধ্যে ২৭০ শতক জমি এবং আটি মৌজার ৩৯৫ শতক জমির পুরোটাই বেদখল হয়ে গেছে।
বিএডিসির জায়গা দখলে নিয়েছে সরকারের অন্য সংস্থাগুলোও। সুনামগঞ্জ জেলার তেঘরিয়া মৌজায় বিএডিসির সার গুদামের ৫২ শতক জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ শতক জায়গায় বানানো হয়েছে পুলিশ সুপার কার্যালয়। এই জায়গা ছেড়ে দিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চিঠিও দিয়েছে বিএডিসি।
নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় বিএডিসির ১৮ শতক জায়গাসহ একটি সার গুদাম ছিল। ২০১৬ সালে ওই গোডাউন ভেঙে উপজেলা পরিষদের জন্য হলরুম বানানো হয়। বিএডিসির অনুমতি না নিয়েই গোডাউনটি ভেঙে জায়গার দখল নেয় সেনবাগ উপজেলা পরিষদ।
বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, মামলার মাধ্যমে কিছু গুদাম ও জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে বিএডিসি। সংস্থাটির মালিকানাধীন বেহাত ও বেদখল জমি ও স্থাপনা পুনরুদ্ধারে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও কাজ করছে।
এ বিষয়ে বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত কয়েক বছরে সরকার বেদখল সম্পত্তি উদ্ধারে বিশেষ জোর দিয়েছে। এই চেষ্টা বিএডিসিতেও চলমান। বেদখলে থাকা কিছু সম্পত্তি এরই মধ্যে দখলে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা জায়গায় সীমানাপ্রাচীর/কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে।
আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ আরও বলেন, প্রতিটি দপ্তরের কতটুকু জমিজমা বেহাত বেদখল আছে, তার প্রতিবেদন প্রতি মাসে মিটিংয়ে জমা দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিএডিসির জমিজমার নামজারিসংক্রান্ত বিরোধগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ষাটের দশকে কৃষি উপকরণের নির্বিঘ্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সারা দেশে ছোট-বড় ৪০০টির বেশি গুদাম নির্মাণ করে তৎকালীন কৃষি বিভাগ। সেগুলোতে সার, কীটনাশক ও বীজ সংরক্ষণ করা হতো।
পরে এগুলো কৃষকের কাছে যেত। নব্বইয়ের দশকে সেই সব গুদামের নিয়ন্ত্রণ পায় বিএডিসি। পরে ক্রমান্বয়ে কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে আসায় এসব গুদামের প্রয়োজনীয়তাও কমতে থাকে। তখন এসব গুদাম তৎকালীন বিএডিসি ও বিসিআইসির ডিলার কিংবা স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। নামমাত্র ভাড়ায় পাওয়া এসব গুদাম, স্থাপনা ও জমি কয়েক দশক ধরে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছেন তাঁরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে