আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে এক বিস্ফোরণেই বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়েছে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। নিরাপত্তার কথা জানিয়ে শিপিং লাইনগুলোকে এই পণ্যটি পরিবহন না করতে বলেছে সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর শিপিং লাইনগুলো এখন পণ্যটি নিতে চাইছে না। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার রপ্তানির বাজার।
৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর চেষ্টার মধ্যে ঘণ্টা দেড়েক পর সেখানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতে প্রায় অর্ধশত মানুষের প্রাণ গেছে। আহত আরও দুই শতাধিক। ফায়ার সার্ভিসসহ অন্য সংস্থাগুলো বলছে, ডিপোতে রাখা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কারণেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ঝুঁকিপূর্ণ এই রাসায়নিকটি ডিপোতে নিয়ম মেনে ও যথাযথ নিরাপত্তার সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়নি।
জানা গেছে, দেশের অন্তত ১১টি কারখানায় হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড উৎপাদন হয়। দেশের বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহারের পাশাপাশি ভিয়েতনাম, চীন, কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ১৪টি দেশে রপ্তানি হয় এই রাসায়নিকটি। প্রতিবছর এর রপ্তানি বাড়ছে। সরকার এ পণ্যটি রপ্তানিতে ১০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দেয়।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ২ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের (প্রায় ২১৯ কোটি টাকা) হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি হয়। বছর শেষে এটি ৩০০ কোটি টাকায় চলে যেত বলে রপ্তানিকারকদের প্রত্যাশা। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে তার আগের অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে যে রপ্তানি পণ্য পরিবহন করা হয় সেগুলো ট্রানশিপমেন্ট হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বন্দর হয়ে।
সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ ৯ জুন সব শিপিং লাইনকে নিরাপত্তা ও স্থান সংকটের কারণে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড পরিবহন না করতে বলেছে। এ সংশ্লিষ্ট চিঠিতে তারা বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের কথাও উল্লেখ করে বলেছে, ডিজি (ডেনজারাস কার্গো) ইনভেন্টরি লেভেল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড গ্রহণ বন্ধ রাখতে বলেছে তারা।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ জানান, ওএনই, ওওসিএল, গোল্ডস্টারসহ বিভিন্ন শিপিং লাইন হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ভর্তি কোনো কনটেইনার পরিবহন করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বন্দর থেকে শিগগিরই ডিজি কার্গো বিষয়ে দিকনিদের্শনা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) সূত্র জানিয়েছে, বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর চারটি ডিপোতে ১১১ কনটেইনার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড আটকা পড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল এসব পণ্য। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ওসিএল ডিপোতে ৪৯ কনটেইনার, পোর্টলিংক ডিপোতে ৩১ কনটেইনার, ইস্টার্ন লজিস্টিকে ২৪ কনটেইনার এবং কেএনটিতে ৭ কনটেইনার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রয়েছে।
জানা যায়, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সামুদা কেমিক্যাল কমপ্লেক্স লিমিটেড হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের রপ্তানি চালান জাহাজীকরণের জন্য চট্টগ্রামের ওসিএল কনটেইনার ডিপোতে নিয়ে আসে। তবে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের জেরে এ রপ্তানি চালান আটকে যায়। ওসিএল ডিপো কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমে সামুদা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষকে গত বুধবার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের চালান কারখানায় ফেরত নিতে বলেছে। ফলে রপ্তানি না করেই হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডগুলো কারখানায় ফেরত আনতে হচ্ছে তাদের।
সামুদা কেমিক্যালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মামুনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৫ বছর ধরে সামুদা কেমিক্যাল হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি করছে। প্রতিবছর বাড়ছিল রপ্তানির পরিমাণ। বিএম কনটেইনার ডিপোর দুর্ঘটনার ফলে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি খাতে খুবই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে এক বিস্ফোরণেই বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়েছে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। নিরাপত্তার কথা জানিয়ে শিপিং লাইনগুলোকে এই পণ্যটি পরিবহন না করতে বলেছে সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর শিপিং লাইনগুলো এখন পণ্যটি নিতে চাইছে না। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার রপ্তানির বাজার।
৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর চেষ্টার মধ্যে ঘণ্টা দেড়েক পর সেখানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতে প্রায় অর্ধশত মানুষের প্রাণ গেছে। আহত আরও দুই শতাধিক। ফায়ার সার্ভিসসহ অন্য সংস্থাগুলো বলছে, ডিপোতে রাখা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কারণেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ঝুঁকিপূর্ণ এই রাসায়নিকটি ডিপোতে নিয়ম মেনে ও যথাযথ নিরাপত্তার সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়নি।
জানা গেছে, দেশের অন্তত ১১টি কারখানায় হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড উৎপাদন হয়। দেশের বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহারের পাশাপাশি ভিয়েতনাম, চীন, কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ১৪টি দেশে রপ্তানি হয় এই রাসায়নিকটি। প্রতিবছর এর রপ্তানি বাড়ছে। সরকার এ পণ্যটি রপ্তানিতে ১০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দেয়।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ২ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের (প্রায় ২১৯ কোটি টাকা) হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি হয়। বছর শেষে এটি ৩০০ কোটি টাকায় চলে যেত বলে রপ্তানিকারকদের প্রত্যাশা। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে তার আগের অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে যে রপ্তানি পণ্য পরিবহন করা হয় সেগুলো ট্রানশিপমেন্ট হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বন্দর হয়ে।
সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ ৯ জুন সব শিপিং লাইনকে নিরাপত্তা ও স্থান সংকটের কারণে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড পরিবহন না করতে বলেছে। এ সংশ্লিষ্ট চিঠিতে তারা বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের কথাও উল্লেখ করে বলেছে, ডিজি (ডেনজারাস কার্গো) ইনভেন্টরি লেভেল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড গ্রহণ বন্ধ রাখতে বলেছে তারা।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ জানান, ওএনই, ওওসিএল, গোল্ডস্টারসহ বিভিন্ন শিপিং লাইন হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ভর্তি কোনো কনটেইনার পরিবহন করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বন্দর থেকে শিগগিরই ডিজি কার্গো বিষয়ে দিকনিদের্শনা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) সূত্র জানিয়েছে, বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর চারটি ডিপোতে ১১১ কনটেইনার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড আটকা পড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল এসব পণ্য। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ওসিএল ডিপোতে ৪৯ কনটেইনার, পোর্টলিংক ডিপোতে ৩১ কনটেইনার, ইস্টার্ন লজিস্টিকে ২৪ কনটেইনার এবং কেএনটিতে ৭ কনটেইনার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রয়েছে।
জানা যায়, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সামুদা কেমিক্যাল কমপ্লেক্স লিমিটেড হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের রপ্তানি চালান জাহাজীকরণের জন্য চট্টগ্রামের ওসিএল কনটেইনার ডিপোতে নিয়ে আসে। তবে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের জেরে এ রপ্তানি চালান আটকে যায়। ওসিএল ডিপো কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমে সামুদা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষকে গত বুধবার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের চালান কারখানায় ফেরত নিতে বলেছে। ফলে রপ্তানি না করেই হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডগুলো কারখানায় ফেরত আনতে হচ্ছে তাদের।
সামুদা কেমিক্যালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মামুনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৫ বছর ধরে সামুদা কেমিক্যাল হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি করছে। প্রতিবছর বাড়ছিল রপ্তানির পরিমাণ। বিএম কনটেইনার ডিপোর দুর্ঘটনার ফলে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি খাতে খুবই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৮ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে