সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আসবাব কারিগর শিপনের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রোকেয়া বেগমের প্রসব বেদনার লক্ষণ দেখে তাঁকে পৌর সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্ত্রী ও অনাগত সন্তানের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে বলেন তাঁরা। অন্যথায় মা ও বাচ্চা দুজনের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে বলেও জানান তাঁরা। তাঁদের এমন কথায় প্রথম দিকে শিপন কিছুটা ভয় পেলেও অস্ত্রোপচার করাতে চিকিৎসকের অব্যাহত নির্দেশনায় তাঁর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
তাই শাহিন অস্ত্রোপচারে তাঁর আর্থিক অপারগতার বিষয় দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে স্ত্রীকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর স্ত্রীকে পুনরায় আলট্রাসনোগ্রাফি করান। রিপোর্ট দেখে বাচ্চার স্বাভাবিক পজিশনে থাকার পাশাপাশি স্বাভাবিক প্রসব করানো যাবে বলে জানানো হয়। হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূর উদ্দিন রাশেদের তত্ত্বাবধানে গাইনি চিকিৎসক সাল সাবিলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তাঁর স্ত্রী স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন।
শুধু রোকেয়া বেগম নন, চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা সব প্রসূতিকে স্বাভাবিক প্রসবে উদ্বুদ্ধ করেন বলে জানিয়েছেন সেবা পাওয়া প্রসূতি মায়েরা। চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহায়তার কারণেই গত এক সপ্তাহে ২৫ জন প্রসূতি মায়ের স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়।
সর্বশেষ গত সোমবার ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন প্রসূতি স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন।
স্বাভাবিক প্রসবে শিশুসন্তান জন্মদানের ঘটনায় খুশিতে আত্মহারা পাঁচ প্রসূতির স্বজনেরা জানান, দেশব্যাপী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যখন শিশুর জন্ম দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, ঠিক সেই সময়েই ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
স্বাভাবিক প্রসবে শিশুসন্তান জন্ম দেওয়া প্রসূতি নার্গিস আক্তার ও সাগরিকা রানী জানান, স্বাভাবিক প্রসবে মৃত্যুঝুঁকির কথা চিন্তা করে প্রথমদিকে খুব ভয় পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের নিবিড় তত্ত্বাবধান, আন্তরিকতায় কিছুক্ষণের মধ্যেই মনোবল বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের দেওয়া সাহস ও আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে নিরাপদেই স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে হাসপাতালে সন্তানসম্ভবা ২৩০ জন প্রসূতির স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়েছে।
চিকিৎসক নুর উদ্দিন আরও জানান, শিশুবান্ধব হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এখানে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগদানের পর চালু করেন ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, ওআরটি কর্নার, অটিজম কর্নার, এএনসি ও পিএনসি এবং কেএমসি কর্নার। সিজারের নামে বাণিজ্য এবং অদক্ষ ধাত্রীর হাত থেকে প্রসূতিদের রক্ষায় স্বাভাবিক প্রসব কার্যক্রম চালু থাকবে বলেও জানান তিনি।
আসবাব কারিগর শিপনের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রোকেয়া বেগমের প্রসব বেদনার লক্ষণ দেখে তাঁকে পৌর সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্ত্রী ও অনাগত সন্তানের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে বলেন তাঁরা। অন্যথায় মা ও বাচ্চা দুজনের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে বলেও জানান তাঁরা। তাঁদের এমন কথায় প্রথম দিকে শিপন কিছুটা ভয় পেলেও অস্ত্রোপচার করাতে চিকিৎসকের অব্যাহত নির্দেশনায় তাঁর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
তাই শাহিন অস্ত্রোপচারে তাঁর আর্থিক অপারগতার বিষয় দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে স্ত্রীকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর স্ত্রীকে পুনরায় আলট্রাসনোগ্রাফি করান। রিপোর্ট দেখে বাচ্চার স্বাভাবিক পজিশনে থাকার পাশাপাশি স্বাভাবিক প্রসব করানো যাবে বলে জানানো হয়। হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূর উদ্দিন রাশেদের তত্ত্বাবধানে গাইনি চিকিৎসক সাল সাবিলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তাঁর স্ত্রী স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন।
শুধু রোকেয়া বেগম নন, চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা সব প্রসূতিকে স্বাভাবিক প্রসবে উদ্বুদ্ধ করেন বলে জানিয়েছেন সেবা পাওয়া প্রসূতি মায়েরা। চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহায়তার কারণেই গত এক সপ্তাহে ২৫ জন প্রসূতি মায়ের স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়।
সর্বশেষ গত সোমবার ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন প্রসূতি স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন।
স্বাভাবিক প্রসবে শিশুসন্তান জন্মদানের ঘটনায় খুশিতে আত্মহারা পাঁচ প্রসূতির স্বজনেরা জানান, দেশব্যাপী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যখন শিশুর জন্ম দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, ঠিক সেই সময়েই ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
স্বাভাবিক প্রসবে শিশুসন্তান জন্ম দেওয়া প্রসূতি নার্গিস আক্তার ও সাগরিকা রানী জানান, স্বাভাবিক প্রসবে মৃত্যুঝুঁকির কথা চিন্তা করে প্রথমদিকে খুব ভয় পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের নিবিড় তত্ত্বাবধান, আন্তরিকতায় কিছুক্ষণের মধ্যেই মনোবল বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের দেওয়া সাহস ও আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে নিরাপদেই স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে হাসপাতালে সন্তানসম্ভবা ২৩০ জন প্রসূতির স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়েছে।
চিকিৎসক নুর উদ্দিন আরও জানান, শিশুবান্ধব হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এখানে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগদানের পর চালু করেন ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, ওআরটি কর্নার, অটিজম কর্নার, এএনসি ও পিএনসি এবং কেএমসি কর্নার। সিজারের নামে বাণিজ্য এবং অদক্ষ ধাত্রীর হাত থেকে প্রসূতিদের রক্ষায় স্বাভাবিক প্রসব কার্যক্রম চালু থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে