ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীতে অসময়ের বৃষ্টিতে ফুল চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত শনিবার থেকে গত সোমবার টানা বৃষ্টিতে ফুলখেতগুলোতে পানি জমেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফুলচাষি ও ফুল চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বুধবার ফুল কানন পানিসারার মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, খেতে জমে থাকা পানি সরাতে ব্যস্ত চাষিরা। হাড়িয়া মাঠে গাঁদা ফুলখেত থেকে পানি নিষ্কাশন করছিলেন জালাল উদ্দিন মোড়ল। তিনি বলেন, তিন দিনের বৃষ্টিতে এমনিতেই অনেক ক্ষতি হয়েছে। পানি জমে ১৭ কাঠা জমির ফুলখেতের অনেক গাছ গোড়া পচে মারা গেছে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ভালো টাকার ফুল বিক্রি করার সম্ভাবনা ছিল। তিনি আরও জানান, ক্ষতি হওয়ার পরও এ খেত থেকে তিনি অন্তত ৪০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন। তবে আবার বৃষ্টি হলে তা আর সম্ভব হবে না।
একই গ্রামের ফুলচাষি আব্দুস সামাদ বলেন, ‘এ সপ্তাহে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে গ্ল্যাডিওলাস রঙিন ফুলের বীজ বপন করেছিলাম। কিন্তু বীজতলায় বৃষ্টির পানি জমে গেছে। বীজ বাঁচাতে বৃষ্টির ভেতরেই পানি নিষ্কাশন করেছি। কিন্তু ইতিমধ্যেই অনেক বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে সব বীজ নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, এতে তাঁর দেড় লাখ টাকার ওপরে ক্ষতি হবে।
পানিসারা গ্রামের বর্গাচাষি আজিজুর রহমান সরদার বলেন, এক বিঘা করে জারবেরা, চন্দ্র মল্লিকা, চায়না গোলাপ, ১০ কাঠা গ্ল্যাডিওলাস ও ১৫ কাঠা জমির গাঁদা ফুলের খেতে পানি জমে গিয়েছিল। গত দুদিন ধরে পানি সেচেছি। আর যদি বৃষ্টি না হয় বিজয় দিবস এবং এর আগে এসব খেত থেকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারব।’
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘অসময়ের এ বৃষ্টিতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বেন গদখালী অঞ্চলের ফুল চাষিরা। এ অঞ্চলে এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সাতটি ও পরীক্ষামূলকভাবে আরও ছয়-সাতটি জাতের ফুল চাষ হচ্ছে। বিভিন্ন দিবস বিশেষ করে ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, মহান স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বসন্ত বরণ দিবস, নববর্ষ উপলক্ষে চাষিরা ফুল চাষ করে থাকেন।’
আব্দুর রহিম আরও বলেন, ‘কিছুদিন পরেই বিজয় দিবস। ফুলচাষিরা আশায় ছিলেন এ দিবস উপলক্ষে বেশ ভালো ব্যবসা হবে তাঁদের। কিন্তু এ বৃষ্টির কারণে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেবে।’
ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীতে অসময়ের বৃষ্টিতে ফুল চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত শনিবার থেকে গত সোমবার টানা বৃষ্টিতে ফুলখেতগুলোতে পানি জমেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফুলচাষি ও ফুল চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বুধবার ফুল কানন পানিসারার মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, খেতে জমে থাকা পানি সরাতে ব্যস্ত চাষিরা। হাড়িয়া মাঠে গাঁদা ফুলখেত থেকে পানি নিষ্কাশন করছিলেন জালাল উদ্দিন মোড়ল। তিনি বলেন, তিন দিনের বৃষ্টিতে এমনিতেই অনেক ক্ষতি হয়েছে। পানি জমে ১৭ কাঠা জমির ফুলখেতের অনেক গাছ গোড়া পচে মারা গেছে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ভালো টাকার ফুল বিক্রি করার সম্ভাবনা ছিল। তিনি আরও জানান, ক্ষতি হওয়ার পরও এ খেত থেকে তিনি অন্তত ৪০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন। তবে আবার বৃষ্টি হলে তা আর সম্ভব হবে না।
একই গ্রামের ফুলচাষি আব্দুস সামাদ বলেন, ‘এ সপ্তাহে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে গ্ল্যাডিওলাস রঙিন ফুলের বীজ বপন করেছিলাম। কিন্তু বীজতলায় বৃষ্টির পানি জমে গেছে। বীজ বাঁচাতে বৃষ্টির ভেতরেই পানি নিষ্কাশন করেছি। কিন্তু ইতিমধ্যেই অনেক বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে সব বীজ নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, এতে তাঁর দেড় লাখ টাকার ওপরে ক্ষতি হবে।
পানিসারা গ্রামের বর্গাচাষি আজিজুর রহমান সরদার বলেন, এক বিঘা করে জারবেরা, চন্দ্র মল্লিকা, চায়না গোলাপ, ১০ কাঠা গ্ল্যাডিওলাস ও ১৫ কাঠা জমির গাঁদা ফুলের খেতে পানি জমে গিয়েছিল। গত দুদিন ধরে পানি সেচেছি। আর যদি বৃষ্টি না হয় বিজয় দিবস এবং এর আগে এসব খেত থেকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারব।’
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘অসময়ের এ বৃষ্টিতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বেন গদখালী অঞ্চলের ফুল চাষিরা। এ অঞ্চলে এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সাতটি ও পরীক্ষামূলকভাবে আরও ছয়-সাতটি জাতের ফুল চাষ হচ্ছে। বিভিন্ন দিবস বিশেষ করে ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, মহান স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বসন্ত বরণ দিবস, নববর্ষ উপলক্ষে চাষিরা ফুল চাষ করে থাকেন।’
আব্দুর রহিম আরও বলেন, ‘কিছুদিন পরেই বিজয় দিবস। ফুলচাষিরা আশায় ছিলেন এ দিবস উপলক্ষে বেশ ভালো ব্যবসা হবে তাঁদের। কিন্তু এ বৃষ্টির কারণে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে