নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
তিন মাস আগে উন্মুক্ত খালের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় খালে পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদ। গত ২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুরে চশমা খালে পড়ে যান তিনি। এর দুই মাস আগে ৩০ জুন দুই নম্বর গেট এলাকায় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা খালে পড়ে যায়। এতে প্রাণ যায় দুজনের। ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় নালায় পড়ে প্রাণ যায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর। উন্মুক্ত খালে পড়ে এসব মৃত্যুর ঘটনায় খাল-নালার দুপাশে প্রতিবন্ধকতা তৈরির দাবি জানায় নগরবাসী। কিন্তু এই দাবি কানেই তোলেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
চশমা খালে পড়ে দুজনের মৃত্যুর ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও গতকাল বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে খালের দুই পাশ উন্মুক্তই দেখা গেছে। নগরীর অধিকাংশ খাল-নালা এখন যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কয়েক দিন পরপরই পড়ে মারা যাচ্ছে মানুষ।
এসব মৃত্যুর ঘটনায় চসিকের অবহেলাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের দাবি, নগরীর এই অভিভাবক সংস্থার পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় খাল-নালায় পড়ে মৃতদের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। এসব দুর্ঘটনারোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়। আর এটি যদি নিজেদের অবহেলায় হয়, তাহলে কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। সিটি করপোরেশনের উচিত উন্মুক্ত খাল-নালার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেসব এলাকায় সিডিএর প্রকল্প চলছে, সেখানে চসিকের উচিত তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দুপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা। কিন্তু তারা এটি করছে কিনা আমি নিশ্চিত নই।’
সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও চট্টগ্রাম নগরীর এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার ছোট-বড় নালার প্রায় অর্ধেকের বেশি অংশেই স্ল্যাব বা নিরাপত্তা বেষ্টনী কোনোটিই নেই। প্রায় ১৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ নগরীর ৫৭টি খালেরও একই অবস্থা। এগুলোর অধিকাংশ জায়গায়ই নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের চলাচল পথের পাশে অধিকাংশ নালার ওপর কোনো স্ল্যাব নেই। অধিকাংশ খালের দুপাশ খোলা। বহদ্দারহাট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার নালার অধিকাংশ স্থানে স্ল্যাব নেই। নালার পাড়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের চলাচলের জন্য কাঠ ও লোহার পাত দিয়ে যাতায়াতের পথ তৈরি করেছে।
একই অবস্থা নগরীর চকবাজার, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ ব্যাপারীপাড়া অন্যান্য এলাকায়। ওই সব এলাকায়ও অধিকাংশ নালা উন্মুক্ত। বৃষ্টির সময় নগরী পানিতে তলিয়ে গেলে কোথায় ফুটপাত, কোথায় খাল, কোথায় নালা তা বোঝার উপায় থাকে না।
এমন কারণেই গত ২৫ আগস্ট সকালে মুরাদপুর এলাকায় খালে পড়ে তলিয়ে যান ছালেহ আহমদ। এখন পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। গত ৩০ জুন দুই নম্বর গেট এলাকায় বৃষ্টির সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অটোরিকশা চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫)।
এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় নালায় পড়ে মারা যান আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া। নালায় পড়ে যাওয়ার ৫ ঘণ্টা পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। সর্বশেষ গত সোমবার একই খালে বোতল কুড়াতে নেমে নিখোঁজ হয় কামাল উদ্দিন (১০) নামের এক শিশু।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নালাগুলো পরিষ্কার করার জন্য আমরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আগামী শনিবার করপোরেশনের ৭ নম্বর পূর্ব ষোলোশহর এবং ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের নালাগুলো খনন ও পরিষ্কার করা হবে। ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য ওয়ার্ডের খাল-নালাগুলোও পরিষ্কার করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘মেয়র মহোদয় বলেছেন আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে নগরীর যে সব জায়গায় নালার ওপর স্ল্যাব বসানো দরকার, সেখানে স্ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি যেসব খাল উন্মুক্ত আছে, সেগুলোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে এখন অনেকগুলো খালে কাজ চলছে। এসব খালের কাজ শেষ হওয়ার পর সিডিএ আমাদের বুঝিয়ে দিলে, তখন করপোরেশন খালের দুপাশে রেলিং বসানোসহ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেবে।’
তিন মাস আগে উন্মুক্ত খালের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় খালে পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদ। গত ২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুরে চশমা খালে পড়ে যান তিনি। এর দুই মাস আগে ৩০ জুন দুই নম্বর গেট এলাকায় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা খালে পড়ে যায়। এতে প্রাণ যায় দুজনের। ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় নালায় পড়ে প্রাণ যায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর। উন্মুক্ত খালে পড়ে এসব মৃত্যুর ঘটনায় খাল-নালার দুপাশে প্রতিবন্ধকতা তৈরির দাবি জানায় নগরবাসী। কিন্তু এই দাবি কানেই তোলেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
চশমা খালে পড়ে দুজনের মৃত্যুর ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও গতকাল বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে খালের দুই পাশ উন্মুক্তই দেখা গেছে। নগরীর অধিকাংশ খাল-নালা এখন যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কয়েক দিন পরপরই পড়ে মারা যাচ্ছে মানুষ।
এসব মৃত্যুর ঘটনায় চসিকের অবহেলাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের দাবি, নগরীর এই অভিভাবক সংস্থার পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় খাল-নালায় পড়ে মৃতদের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। এসব দুর্ঘটনারোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়। আর এটি যদি নিজেদের অবহেলায় হয়, তাহলে কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। সিটি করপোরেশনের উচিত উন্মুক্ত খাল-নালার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেসব এলাকায় সিডিএর প্রকল্প চলছে, সেখানে চসিকের উচিত তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দুপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা। কিন্তু তারা এটি করছে কিনা আমি নিশ্চিত নই।’
সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও চট্টগ্রাম নগরীর এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার ছোট-বড় নালার প্রায় অর্ধেকের বেশি অংশেই স্ল্যাব বা নিরাপত্তা বেষ্টনী কোনোটিই নেই। প্রায় ১৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ নগরীর ৫৭টি খালেরও একই অবস্থা। এগুলোর অধিকাংশ জায়গায়ই নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের চলাচল পথের পাশে অধিকাংশ নালার ওপর কোনো স্ল্যাব নেই। অধিকাংশ খালের দুপাশ খোলা। বহদ্দারহাট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার নালার অধিকাংশ স্থানে স্ল্যাব নেই। নালার পাড়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের চলাচলের জন্য কাঠ ও লোহার পাত দিয়ে যাতায়াতের পথ তৈরি করেছে।
একই অবস্থা নগরীর চকবাজার, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ ব্যাপারীপাড়া অন্যান্য এলাকায়। ওই সব এলাকায়ও অধিকাংশ নালা উন্মুক্ত। বৃষ্টির সময় নগরী পানিতে তলিয়ে গেলে কোথায় ফুটপাত, কোথায় খাল, কোথায় নালা তা বোঝার উপায় থাকে না।
এমন কারণেই গত ২৫ আগস্ট সকালে মুরাদপুর এলাকায় খালে পড়ে তলিয়ে যান ছালেহ আহমদ। এখন পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। গত ৩০ জুন দুই নম্বর গেট এলাকায় বৃষ্টির সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অটোরিকশা চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫)।
এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় নালায় পড়ে মারা যান আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া। নালায় পড়ে যাওয়ার ৫ ঘণ্টা পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। সর্বশেষ গত সোমবার একই খালে বোতল কুড়াতে নেমে নিখোঁজ হয় কামাল উদ্দিন (১০) নামের এক শিশু।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নালাগুলো পরিষ্কার করার জন্য আমরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আগামী শনিবার করপোরেশনের ৭ নম্বর পূর্ব ষোলোশহর এবং ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের নালাগুলো খনন ও পরিষ্কার করা হবে। ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য ওয়ার্ডের খাল-নালাগুলোও পরিষ্কার করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘মেয়র মহোদয় বলেছেন আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে নগরীর যে সব জায়গায় নালার ওপর স্ল্যাব বসানো দরকার, সেখানে স্ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি যেসব খাল উন্মুক্ত আছে, সেগুলোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে এখন অনেকগুলো খালে কাজ চলছে। এসব খালের কাজ শেষ হওয়ার পর সিডিএ আমাদের বুঝিয়ে দিলে, তখন করপোরেশন খালের দুপাশে রেলিং বসানোসহ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে