সনি আজাদ, চারঘাট
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আট প্রার্থীর নামে মাদকের মামলা রয়েছে।উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম বলেন, ভোটার ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব মাদক কারবারিক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা মাদকের অন্যতম রুট হিসেবে সারা দেশে পরিচিত। এই উপজেলায় এবার পুলিশের তালিকাভুক্ত কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধি হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর চারঘাট উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল ২৫ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন। ইতিমধ্যে নির্বাচনী মাঠ গরম করছেন মাদক কারবারিরা। উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউসুফপুর ইউনিয়ন, সদর ইউনিয়ন ও শলুয়া ইউনিয়নে মাদক সংশ্লিষ্ট আট প্রার্থী ইউপি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মাদক মামলায় জামিনে বেরিয়ে এলাকায় প্রার্থী হিসেবে দোয়া চেয়ে পোস্টার-ব্যানারও সেঁটেছেন কেউ কেউ। মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যেভাবে চারঘাটের মতো জায়গায় জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, তাতে অনেকেই মনে করছেন মাদক নির্মূলের যে প্রচেষ্টা চলছে, তা ধাক্কা খেতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও সৎ রাজনীতিকদের অনেকের বিশ্বাস ছিল, মাদক-সংশ্লিষ্ট কেউ আর জনপ্রতিনিধি হওয়ার সাহস দেখাবে না। কিন্তু মাঠের বাস্তব চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। মাদক সংশ্লিষ্টরা স্থানীয় নির্বাচনের মাঠ গরম করে রেখেছেন। মাদক সংশ্লিষ্টদের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দিতে এরই মধ্যে উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চারঘাট মডেল থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শলুয়া ইউনিয়নে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে মাঠে নেমেছেন মাদক সম্রাট আব্দুল আলীম (কালু)। নিজ এলাকায় তিনি হেরোইন কালু নামে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন থানায় তাঁর নামে ৬টি মাদক মামলা চলমান আছে। এরই মধ্যে এলাকাবাসীর দোয়া চেয়ে কালুর পোস্টারে এলাকা ছেয়ে গেছে। একই ওয়ার্ডে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আশরাফ আলী। একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছে আরেক মাদক ব্যবসায়ী সাহাবুর আলী। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় ৫টি মাদক মামলা রয়েছে।
ইউসুফপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচনের মাঠ গরম করছেন চিহ্নিত মাদক কারবারি শরীফুল ইসলাম ও তাঁর ছেলেরা। তাঁর পরিবারের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। একই ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মাদক ব্যবসায়ী মখলেস আলী মসকেন। তাঁর নামেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। প্রার্থী হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ ওরুফে মদ কালাম। তিনিও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।
চারঘাট সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী তজলুল হক। তাঁর নামে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা রয়েছে। একই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন দুলাল আলী। তিনিও তিনটি মাদক মামলার আসামি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই আট প্রার্থীর ছয়জনই এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য দিতে আপত্তি জানিয়েছেন। তবে আব্দুল আলীম কালু বলেন, ‘আগে ব্যবসা করতাম। তবে এখন মাদকের সঙ্গে আমার সখ্য নেই। এলাকাবাসী আমাকে চাচ্ছে। এ জন্য নির্বাচন করছি।’
আরেক প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ওরফে মদ কালাম বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে আমার বর্তমানে লেনদেন নেই। আমি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।’ উপজেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী এবং পৃষ্ঠপোষক প্রার্থীদের টার্গেট যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে জয়ী হওয়া। কারণ এরাই জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রশাসনের বাড়তি সুবিধা নিয়ে অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। আর তাঁদের নির্বাচনে দু-হাতে টাকা খরচ করছেন অন্য সব মাদক কারবারিরা।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম বলেন, চারঘাটে নির্বাচনে যেভাবে মাদকের সঙ্গে জড়িতরা নেমেছে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। এটা হতাশাজনক চিত্র। ভোটার ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব মাদক কারবারিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে। নতুবা মাদক নির্মূলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম মলেন, ‘আট প্রার্থীর নামে মাদক মামলা রয়েছে। কালু ও আশরাফ আলীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানোও হয়েছিল। নির্বাচনে আমরা এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি। তবে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই নির্বাচন অফিস করে। আমরা শুধু আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব।’
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আট প্রার্থীর নামে মাদকের মামলা রয়েছে।উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম বলেন, ভোটার ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব মাদক কারবারিক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা মাদকের অন্যতম রুট হিসেবে সারা দেশে পরিচিত। এই উপজেলায় এবার পুলিশের তালিকাভুক্ত কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধি হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর চারঘাট উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল ২৫ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন। ইতিমধ্যে নির্বাচনী মাঠ গরম করছেন মাদক কারবারিরা। উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউসুফপুর ইউনিয়ন, সদর ইউনিয়ন ও শলুয়া ইউনিয়নে মাদক সংশ্লিষ্ট আট প্রার্থী ইউপি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মাদক মামলায় জামিনে বেরিয়ে এলাকায় প্রার্থী হিসেবে দোয়া চেয়ে পোস্টার-ব্যানারও সেঁটেছেন কেউ কেউ। মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যেভাবে চারঘাটের মতো জায়গায় জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, তাতে অনেকেই মনে করছেন মাদক নির্মূলের যে প্রচেষ্টা চলছে, তা ধাক্কা খেতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও সৎ রাজনীতিকদের অনেকের বিশ্বাস ছিল, মাদক-সংশ্লিষ্ট কেউ আর জনপ্রতিনিধি হওয়ার সাহস দেখাবে না। কিন্তু মাঠের বাস্তব চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। মাদক সংশ্লিষ্টরা স্থানীয় নির্বাচনের মাঠ গরম করে রেখেছেন। মাদক সংশ্লিষ্টদের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দিতে এরই মধ্যে উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চারঘাট মডেল থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শলুয়া ইউনিয়নে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে মাঠে নেমেছেন মাদক সম্রাট আব্দুল আলীম (কালু)। নিজ এলাকায় তিনি হেরোইন কালু নামে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন থানায় তাঁর নামে ৬টি মাদক মামলা চলমান আছে। এরই মধ্যে এলাকাবাসীর দোয়া চেয়ে কালুর পোস্টারে এলাকা ছেয়ে গেছে। একই ওয়ার্ডে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আশরাফ আলী। একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছে আরেক মাদক ব্যবসায়ী সাহাবুর আলী। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় ৫টি মাদক মামলা রয়েছে।
ইউসুফপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচনের মাঠ গরম করছেন চিহ্নিত মাদক কারবারি শরীফুল ইসলাম ও তাঁর ছেলেরা। তাঁর পরিবারের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। একই ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মাদক ব্যবসায়ী মখলেস আলী মসকেন। তাঁর নামেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। প্রার্থী হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ ওরুফে মদ কালাম। তিনিও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।
চারঘাট সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী তজলুল হক। তাঁর নামে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা রয়েছে। একই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন দুলাল আলী। তিনিও তিনটি মাদক মামলার আসামি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই আট প্রার্থীর ছয়জনই এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য দিতে আপত্তি জানিয়েছেন। তবে আব্দুল আলীম কালু বলেন, ‘আগে ব্যবসা করতাম। তবে এখন মাদকের সঙ্গে আমার সখ্য নেই। এলাকাবাসী আমাকে চাচ্ছে। এ জন্য নির্বাচন করছি।’
আরেক প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ওরফে মদ কালাম বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে আমার বর্তমানে লেনদেন নেই। আমি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।’ উপজেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী এবং পৃষ্ঠপোষক প্রার্থীদের টার্গেট যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে জয়ী হওয়া। কারণ এরাই জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রশাসনের বাড়তি সুবিধা নিয়ে অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। আর তাঁদের নির্বাচনে দু-হাতে টাকা খরচ করছেন অন্য সব মাদক কারবারিরা।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম বলেন, চারঘাটে নির্বাচনে যেভাবে মাদকের সঙ্গে জড়িতরা নেমেছে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। এটা হতাশাজনক চিত্র। ভোটার ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব মাদক কারবারিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে। নতুবা মাদক নির্মূলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম মলেন, ‘আট প্রার্থীর নামে মাদক মামলা রয়েছে। কালু ও আশরাফ আলীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানোও হয়েছিল। নির্বাচনে আমরা এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি। তবে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই নির্বাচন অফিস করে। আমরা শুধু আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে