প্রিন্স রাসেল, ঢাকা
করোনা-ধাক্কা কাটিয়ে গত দেড় বছরে বাংলাদেশে ক্রিকেট কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে এসেছে অনেকটাই। তবে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের একটি ইউনিট এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। দুই বছর প্রায় থমকে আছে বোর্ডের গেম এডুকেশন বা ক্রীড়া শিক্ষা কর্মসূচি।
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে শাখা আছে দুটি—প্রোগ্রাম ও এডুকেশন। প্রথমটির কার্যক্রম নিয়মিত হয়েছে। কিন্তু স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি এডুকেশন শাখা, যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের কোচদের। গত দুই বছরে এই ইউনিটের দৃশ্যমান কর্মসূচি হয়েছে মাত্র একটি।
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট এডুকেশনের কার্যক্রম নীরবে-নিভৃতেই চলে। খেলোয়াড় তৈরির নেপথ্যে বড় ভূমিকা রাখে এই কর্মসূচি। এটির আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শত শত কোচের। প্রাথমিক ও মাঝের পর্যায়ের প্রশিক্ষণ নিয়েই তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার তৈরির কাজ করে থাকেন তাঁরা। গত দুই বছর কোচিংয়ের উল্লেখযোগ্য সুযোগ না পাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে তাঁদের স্বাভাবিক কার্যক্রম—নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা কোচের এই অভিযোগ।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচিং অনেকটাই বিদেশি কোচনির্ভর। ২০১৭ থেকে ২০২০—এই চার বছরে বিসিবি নিয়োগ দিয়েছে ৩০ বিদেশি কোচ। এই জায়গায় এখনো আত্মনির্ভর হতে পারেনি বিসিবি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় বা তৃণমূল পর্যায়ের কোচদের সঠিক পরিচর্যা না করাটাই এর মূল কারণ। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত ক্রিকেট বোর্ডে এটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিসিবিতে চিত্রটা ভিন্ন। ২০০৪ সালে বিসিবির এডুকেশন শাখাটির প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর থেকে এখানে স্থায়ীভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনের বেশি দেখা যায়নি। গত দুই বছরে সেই জায়গাটাতে কেউ নেই। দ্রুত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে কি না, সেটিও নিশ্চিত করতে পারেনি বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, করোনার আগে এই ইউনিটের অধীনে বছরে গড়ে ৮-১০টি কোর্স করানো হতো তৃণমূল কোচদের। কোনো কোনো বছরে সেটি ১৮টিও হয়েছে। গড়ে ২৫ জন কোচ অংশ নিয়ে থাকেন এসব কোর্সে। তাঁদের লেভেল ‘ওয়ান’ ও ‘টু’ করানোর মতো প্রশিক্ষক বাংলাদেশে আছে। কিন্তু সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোচিং করানোর মতো কোচ তৈরি হয়নি গত দুই দশকেও। অকালে তাই ঝরে পড়ছেন কোচরা। বিসিবিকে আস্থা রাখতে হচ্ছে বিদেশি কোচদের ওপরেই।
২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তি হয়েছিল, সেটির একটি অংশে ছিল গেম এডুকেশন। শুরুর সাত-আট বছর এই জায়গাটায় উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এরপরই কমে আসে গতি। বর্তমানে যেটিতে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা।
যদিও ‘অচল’ শব্দে আপত্তি আছে গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপক আবু ইমাম মোহাম্মদ কাওসারের। আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘দুই বছর করোনার কারণে বন্ধ ছিল। আমরা কাজ শুরু করেছি কয়েক মাস হবে। গত অক্টোবরে আমাদের লেভেল ওয়ান পর্যায়ের কোচিং হয়েছে। আগামী এপ্রিলে লেভেল টু হবে। এর মধ্যে আমরা অনলাইনে ওয়ার্কশপ করেছি।’
ব্যবহারিক শিক্ষা অনলাইনে কতটা ফলপ্রসু, সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বর্তমানে দেশজুড়ে কাজ করছেন ৪৬২ কোচ। এঁদের মধ্যে লেভেল ওয়ান শেষ করেছেন ৩০৯ জন। লেভেল টুতে গিয়ে সংখ্যাটা নেমেছে ১৩৩ জনে। আর মাত্র ২০ কোচ তৃতীয় ধাপ শেষ করেছেন। পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোচিংয়ে যাওয়া কতটা কঠিন। এখানে পরিচর্যার অভাব তো আছেই, আর্থিক বিষয়টিও জড়িত। উন্নত প্রশিক্ষণের অভাবে তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটারদের তৈরি করতে নিজেদের সেরাটা দিতে পারছেন না জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কোচরা। ফলোআপের মধ্যে না থাকায় কেউ কেউ কোচিংয়ের কিছু জায়গায় ভুলে যাচ্ছেন।
স্থবিরতা কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপক অবশ্য নিশ্চিত কিছু বলতে পারেননি, ‘যেহেতু প্রতিষ্ঠানের একটা জায়গা ফাঁকা (কোচদের উন্নত প্রশিক্ষণ)। বোর্ড যখন চিন্তা করবে ইতিবাচকভাবেই সেটা করবে।’
করোনা-ধাক্কা কাটিয়ে গত দেড় বছরে বাংলাদেশে ক্রিকেট কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে এসেছে অনেকটাই। তবে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের একটি ইউনিট এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। দুই বছর প্রায় থমকে আছে বোর্ডের গেম এডুকেশন বা ক্রীড়া শিক্ষা কর্মসূচি।
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে শাখা আছে দুটি—প্রোগ্রাম ও এডুকেশন। প্রথমটির কার্যক্রম নিয়মিত হয়েছে। কিন্তু স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি এডুকেশন শাখা, যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের কোচদের। গত দুই বছরে এই ইউনিটের দৃশ্যমান কর্মসূচি হয়েছে মাত্র একটি।
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট এডুকেশনের কার্যক্রম নীরবে-নিভৃতেই চলে। খেলোয়াড় তৈরির নেপথ্যে বড় ভূমিকা রাখে এই কর্মসূচি। এটির আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শত শত কোচের। প্রাথমিক ও মাঝের পর্যায়ের প্রশিক্ষণ নিয়েই তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার তৈরির কাজ করে থাকেন তাঁরা। গত দুই বছর কোচিংয়ের উল্লেখযোগ্য সুযোগ না পাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে তাঁদের স্বাভাবিক কার্যক্রম—নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা কোচের এই অভিযোগ।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচিং অনেকটাই বিদেশি কোচনির্ভর। ২০১৭ থেকে ২০২০—এই চার বছরে বিসিবি নিয়োগ দিয়েছে ৩০ বিদেশি কোচ। এই জায়গায় এখনো আত্মনির্ভর হতে পারেনি বিসিবি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় বা তৃণমূল পর্যায়ের কোচদের সঠিক পরিচর্যা না করাটাই এর মূল কারণ। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত ক্রিকেট বোর্ডে এটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিসিবিতে চিত্রটা ভিন্ন। ২০০৪ সালে বিসিবির এডুকেশন শাখাটির প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর থেকে এখানে স্থায়ীভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনের বেশি দেখা যায়নি। গত দুই বছরে সেই জায়গাটাতে কেউ নেই। দ্রুত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে কি না, সেটিও নিশ্চিত করতে পারেনি বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, করোনার আগে এই ইউনিটের অধীনে বছরে গড়ে ৮-১০টি কোর্স করানো হতো তৃণমূল কোচদের। কোনো কোনো বছরে সেটি ১৮টিও হয়েছে। গড়ে ২৫ জন কোচ অংশ নিয়ে থাকেন এসব কোর্সে। তাঁদের লেভেল ‘ওয়ান’ ও ‘টু’ করানোর মতো প্রশিক্ষক বাংলাদেশে আছে। কিন্তু সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোচিং করানোর মতো কোচ তৈরি হয়নি গত দুই দশকেও। অকালে তাই ঝরে পড়ছেন কোচরা। বিসিবিকে আস্থা রাখতে হচ্ছে বিদেশি কোচদের ওপরেই।
২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তি হয়েছিল, সেটির একটি অংশে ছিল গেম এডুকেশন। শুরুর সাত-আট বছর এই জায়গাটায় উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এরপরই কমে আসে গতি। বর্তমানে যেটিতে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা।
যদিও ‘অচল’ শব্দে আপত্তি আছে গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপক আবু ইমাম মোহাম্মদ কাওসারের। আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘দুই বছর করোনার কারণে বন্ধ ছিল। আমরা কাজ শুরু করেছি কয়েক মাস হবে। গত অক্টোবরে আমাদের লেভেল ওয়ান পর্যায়ের কোচিং হয়েছে। আগামী এপ্রিলে লেভেল টু হবে। এর মধ্যে আমরা অনলাইনে ওয়ার্কশপ করেছি।’
ব্যবহারিক শিক্ষা অনলাইনে কতটা ফলপ্রসু, সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বর্তমানে দেশজুড়ে কাজ করছেন ৪৬২ কোচ। এঁদের মধ্যে লেভেল ওয়ান শেষ করেছেন ৩০৯ জন। লেভেল টুতে গিয়ে সংখ্যাটা নেমেছে ১৩৩ জনে। আর মাত্র ২০ কোচ তৃতীয় ধাপ শেষ করেছেন। পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোচিংয়ে যাওয়া কতটা কঠিন। এখানে পরিচর্যার অভাব তো আছেই, আর্থিক বিষয়টিও জড়িত। উন্নত প্রশিক্ষণের অভাবে তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটারদের তৈরি করতে নিজেদের সেরাটা দিতে পারছেন না জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কোচরা। ফলোআপের মধ্যে না থাকায় কেউ কেউ কোচিংয়ের কিছু জায়গায় ভুলে যাচ্ছেন।
স্থবিরতা কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপক অবশ্য নিশ্চিত কিছু বলতে পারেননি, ‘যেহেতু প্রতিষ্ঠানের একটা জায়গা ফাঁকা (কোচদের উন্নত প্রশিক্ষণ)। বোর্ড যখন চিন্তা করবে ইতিবাচকভাবেই সেটা করবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে