চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ১৪ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৭৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্য আওয়ামী লীগের ১৪ প্রার্থীর বাইরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৬ বিদ্রোহী।

এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাত পাখা) ১২ ও লাঙ্গলে দুজন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল থেকে ৩০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় ও আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময়সীমা ২৯ নভেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর। আগামী ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ১৪ ইউপির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, উপজেলার ১৪ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র ১৬ মনোনয়ন প্রত্যাশীকে আওয়ামী লীগের জয়ে পথের কাঁটা হিসেবে মনে করছেন দলটির নেতারা। এ কারণে দ্বিধা-বিভক্তি বাড়ছে আওয়ামী লীগে। এ ছাড়া নেতা–কর্মীরা দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এতে অন্যদের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

এবারের ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এ কারণে দলটির কোনো দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে দলটির পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই।

নির্বাচন ঘিরে উপজেলার বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ সরকার একদলীয় নির্বাচন করতে চায়। এর কারণে বিএনপি’র কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে আসে নাই। বিএনপি’র প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়ালে সরকার দলীয়দের জয়ী করতে রাতেই ভোট হয়ে যায়। সে জন্য প্রার্থীরা সাহস করে নির্বাচনে আসছে না। তা ছাড়া মামলা-হামলা তো আছেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেবল শেখরনগর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান এবং শাখা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম স্বতন্ত্র পদে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আছি। জনগণের ব্যাপক ভোট এবং সমর্থন থাকার কারণে জনগণ আমাকে দাঁড় করিয়েছে। আমি জনগণের সমর্থিত চেয়ারম্যান। সে জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবারও নির্বাচন করছি।’