নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শেষ হলো দুই দিন আগে। ফলাফলও হয়ে গেছে। দেশের বড় দুই দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ভোটে নেই। এর পরও এই দফায় ৮৩৪টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ের হার ৫৮ শতাংশ। বাকি ৪২ শতাংশের মধ্যে ৩৯ শতাংশের বেশি বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। এই স্বতন্ত্রদের প্রায় পুরোটাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। আর তিন ধাপ মিলিয়ে বিনা ভোটে বিজয়ী ২৪৮ জনের শতভাগ এই দলের।
বিদ্রোহীদের ঠেকাতে ভোটের আগেই নানাভাবে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না আওয়ামী লীগ। অনেক জায়গায় বেশি ‘কৌশলী’ হতে গিয়ে বিনা ভোটে জয়ী হয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। যে কারণে বিনা ভোটে জয়ের ‘রেকর্ডও’ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এর পরও ভোটের মাঠে দলের বিদ্রোহীদের কোনোভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরেও রয়েছে নানা আলোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত দলীয় কোন্দল ও মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে এমনটা হচ্ছে। স্থানীয় নেতারাও দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের গ্রহণ করেননি কোথাও কোথাও।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া তথ্যমতে, দ্বিতীয় ধাপে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত ৮৩৪ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন ৪৮৬ জন বা ৫৮ শতাংশ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির ১০, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৪, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ১, খেলাফত মজলিশের ১ এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ১ জন মনোনীত প্রার্থী জয় পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৩৩০ জন বা ৩৯ শতাংশ। আর এদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা। দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ার পরও নেমে পড়েন ভোটের লড়াইয়ে।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার হার বেশি। প্রথম ধাপে গত ২১ জুনের ভোটে ২০৪টি ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৪৮ জন চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছিলেন। গত ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ১৬০টি ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচিত হন ১১৯ জন। অর্থাৎ প্রথম ধাপে ৩৬৪ ইউপিতে আওয়ামী লীগের ২৬৭ জন বা ৭৩ শতাংশের বেশি জয়ী হন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ২১ জুনের ভোটে ৪৯ জন এবং ২০ সেপ্টেম্বর জয় পান ৩৬ জন। সব মিলিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন ৮৫ জন বা ২৩ শতাংশ।
আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ভোট হবে ১ হাজার ৪টি ইউপিতে। এই পর্বেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সহস্রাধিক। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১ হাজার ৬৯ নেতা। দ্বিতীয় ধাপে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন প্রায় ৯০০।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ‘এখন চেইন অব কমান্ড লোকে মানতে চায় না। তৃণমূলের রাজনীতি করে বা না-করে ঢাকায় এসে বিভিন্ন পদ-পদবি নিয়েই ভেবে বসে যে, আমি এখন চেয়ারম্যান হব।’
বিনা ভোটে জয়ও বাড়ছে
২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ভোটে চেয়ারম্যান হিসেবে ১০০ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে ১৩২ জন ও সাধারণ সদস্য হিসেবে ৩৩৭ জন বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে ৯৯ জন আওয়ামী লীগের এবং একজন দলের বিদ্রোহী। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউপির মধ্যে ৭৬টির চেয়ারম্যান পদে বিনা ভোটে প্রার্থী জয়ী হন। এঁরা সবাই আওয়ামী লীগের। এর আগে প্রথম ধাপে ৩৬৪ ইউপির মধ্যে ৭২টিতে বিনা ভোটে জয়ী হন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা, সবাই আওয়ামী লীগের।
বিনা ভোটে জয় পাওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে আসত, সে ক্ষেত্রে আমাদের অধিক প্রার্থী দাঁড়ানোর প্রবণতা কমে যেত। এখন বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করায় দাঁড়ালেই পাস করা যেতে পারে—এমন একটা প্রবণতা আছে।’
ভোটের আগেই নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটাকে নির্বাচন বলে না, সিলেকশন। নির্বাচন মানে হলো বিকল্প থেকে বেছে নেওয়া। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে না, ওটাকে নির্বাচন বলে না।’
ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শেষ হলো দুই দিন আগে। ফলাফলও হয়ে গেছে। দেশের বড় দুই দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ভোটে নেই। এর পরও এই দফায় ৮৩৪টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ের হার ৫৮ শতাংশ। বাকি ৪২ শতাংশের মধ্যে ৩৯ শতাংশের বেশি বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। এই স্বতন্ত্রদের প্রায় পুরোটাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। আর তিন ধাপ মিলিয়ে বিনা ভোটে বিজয়ী ২৪৮ জনের শতভাগ এই দলের।
বিদ্রোহীদের ঠেকাতে ভোটের আগেই নানাভাবে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না আওয়ামী লীগ। অনেক জায়গায় বেশি ‘কৌশলী’ হতে গিয়ে বিনা ভোটে জয়ী হয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। যে কারণে বিনা ভোটে জয়ের ‘রেকর্ডও’ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এর পরও ভোটের মাঠে দলের বিদ্রোহীদের কোনোভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরেও রয়েছে নানা আলোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত দলীয় কোন্দল ও মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে এমনটা হচ্ছে। স্থানীয় নেতারাও দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের গ্রহণ করেননি কোথাও কোথাও।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া তথ্যমতে, দ্বিতীয় ধাপে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত ৮৩৪ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন ৪৮৬ জন বা ৫৮ শতাংশ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির ১০, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৪, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ১, খেলাফত মজলিশের ১ এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ১ জন মনোনীত প্রার্থী জয় পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৩৩০ জন বা ৩৯ শতাংশ। আর এদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা। দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ার পরও নেমে পড়েন ভোটের লড়াইয়ে।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার হার বেশি। প্রথম ধাপে গত ২১ জুনের ভোটে ২০৪টি ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৪৮ জন চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছিলেন। গত ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ১৬০টি ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচিত হন ১১৯ জন। অর্থাৎ প্রথম ধাপে ৩৬৪ ইউপিতে আওয়ামী লীগের ২৬৭ জন বা ৭৩ শতাংশের বেশি জয়ী হন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ২১ জুনের ভোটে ৪৯ জন এবং ২০ সেপ্টেম্বর জয় পান ৩৬ জন। সব মিলিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন ৮৫ জন বা ২৩ শতাংশ।
আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ভোট হবে ১ হাজার ৪টি ইউপিতে। এই পর্বেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সহস্রাধিক। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১ হাজার ৬৯ নেতা। দ্বিতীয় ধাপে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন প্রায় ৯০০।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ‘এখন চেইন অব কমান্ড লোকে মানতে চায় না। তৃণমূলের রাজনীতি করে বা না-করে ঢাকায় এসে বিভিন্ন পদ-পদবি নিয়েই ভেবে বসে যে, আমি এখন চেয়ারম্যান হব।’
বিনা ভোটে জয়ও বাড়ছে
২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ভোটে চেয়ারম্যান হিসেবে ১০০ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে ১৩২ জন ও সাধারণ সদস্য হিসেবে ৩৩৭ জন বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে ৯৯ জন আওয়ামী লীগের এবং একজন দলের বিদ্রোহী। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউপির মধ্যে ৭৬টির চেয়ারম্যান পদে বিনা ভোটে প্রার্থী জয়ী হন। এঁরা সবাই আওয়ামী লীগের। এর আগে প্রথম ধাপে ৩৬৪ ইউপির মধ্যে ৭২টিতে বিনা ভোটে জয়ী হন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা, সবাই আওয়ামী লীগের।
বিনা ভোটে জয় পাওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে আসত, সে ক্ষেত্রে আমাদের অধিক প্রার্থী দাঁড়ানোর প্রবণতা কমে যেত। এখন বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করায় দাঁড়ালেই পাস করা যেতে পারে—এমন একটা প্রবণতা আছে।’
ভোটের আগেই নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটাকে নির্বাচন বলে না, সিলেকশন। নির্বাচন মানে হলো বিকল্প থেকে বেছে নেওয়া। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে না, ওটাকে নির্বাচন বলে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে