আব্দুর রাজ্জাক
লোককবি গুরুদাস পালের একটি জনপ্রিয় গান আছে, ‘ও মরি, স্বভাব তো কখনো যাবে না’। আসলেই মানুষের স্বভাব পাল্টানো খুব মুশকিল। কিছু কিছু স্বভাব, সেটা ভালো বা খারাপ হোক, মানুষের মাঝে গড়ে ওঠে পরিবার থেকে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে, সমাজের ভেতর থেকে। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব; এই সমাজ থেকে অনেক কিছু গ্রহণ করে। নিজের জীবনের সঙ্গে সেই স্বভাব ‘অ্যাডজাস্ট’ করে নেয়।
ইউরোপের কোনো দেশে আপনি দেখতে পাবেন না উল্টো পথে যানবাহন চলে। কোথাও দেখতে পাবেন না লাল বাতি জ্বলার পরেও ওই পথ দিয়ে কোনো পথচারী বা যানবাহন চলাচল করে। তাদের পারিপার্শ্বিক ও সমাজের শিক্ষাই হলো নিয়ম মেনে চলা। এসবের ব্যতিক্রম হলেই পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক ব্যবস্থা আইন লঙ্ঘনকারীকে ধিক্কার দেবে, আইন লঙ্ঘনকারী সটকে পড়বে সবার কাছ থেকে, সমাজের মূল স্রোত থেকে।
একদিন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাঁর একটি অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। তিনি একদিন ডেনমার্কের এক রাস্তায় লক্ষ করেছেন, লাল বাতি জ্বলে উঠলে একটি কুকুর দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সবুজ বাতি জ্বলা পর্যন্ত সে নাকি দাঁড়িয়েই ছিল। আমাদের দেশে দেখবেন এর উল্টো জিনিসটা চলছে। আমরা আইন ভঙ্গ করলে সেটাকেই বাহাদুরি মনে করি। প্রতিনিয়ত রাস্তায় বের হলে দেখবেন কোন রঙের বাতি জ্বলছে, ট্রাফিক সিগন্যাল কোন দিকে যান চলাচলের নির্দেশ দিচ্ছে, সেদিকে কারও খেয়াল নেই—মোবাইল ফোন টিপতে টিপতে নির্বিকারে হেঁটেই চলছে। কেউ কিছু বলছে না, সবাই আমরা নির্বিকার। এত গণতন্ত্র আমাদের দেশে যে এমন অন্যায় কাজকেও আমরা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা মনে করি!
এতক্ষণ বর্ণনা করলাম সাধারণ আইনকানুন ভঙ্গের একটি চিত্র। আজকের লেখার মূল প্রতিপাদ্য হলো—আমরা সবকিছুতে অটোমেশন করেছি, এই অটোমেশনের ফাঁক দিয়ে কীভাবে কাজে ফাঁকি দেওয়া যায় তার বর্ণনা।
একদিন এক প্রথম শ্রেণির আমলা গল্প করছিলেন—তাঁর এক সহকর্মী অফিস করতেন খুব কম। ভদ্রলোক এজি অফিসে চাকরি করতেন। অফিসে এসে চেয়ারের পেছনে আচকান ঝুলিয়ে রেখে তিনি তাঁর নিজের মতো করে ঘুরে বেড়াতেন। কালেভদ্রে সপ্তাহে দুই-তিন দিন যখন খুশি দু-চার ঘণ্টার জন্য অফিস করতেন। মানুষ এলে দেখত আচকান চেয়ারের পেছনে ঝুলছে। পিয়ন বলে দিতেন, ‘স্যার এল বলে, একটু বাইরে গেছেন।’ সবাই প্রথম দিকে মনে করত যেহেতু আচকান আছে, মহাশয় শিগগিরই ফেরত আসবেন। এটা ছিল অ্যানালগ যুগের কাজে ফাঁকি। আবার যেসব কর্মকর্তা পরিদর্শনের মতো কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁরা প্রায়ই পরিদর্শনের কথা বলে অফিস ফাঁকি দিয়ে চলেন, এটাও আমাদের সমাজে প্রতিদিনের ঘটনা।
মূল কথায় আসি। অনেক অফিসেই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাজিরা নেওয়া হয়। অফিসে ঢোকার সময় ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে আঙুলের ছাপ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়, আবার আঙুলের ছাপ দিয়ে ভেতর থেকে বের হতে হয়। খুবই চমৎকার একটি সিস্টেম; অর্থাৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কখন অফিসে প্রবেশ করলেন, কখন বের হলেন—একেবারে ‘ডিজিটালি রিকগনাইজড’ হয়ে যায়; ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এটাই আমাদের ডিজিটালাইজেশনের সুফল। কিন্তু ডিজিটালাইজেশন চলে ডালে ডালে, ফাঁকিবাজেরা চলেন পাতায় পাতায়! আমার কাছে তথ্য আছে, অনেক সরকারি হাসপাতালে বা মেডিকেল কলেজে, অন্যান্য সরকারি অফিসেও, বিশেষ করে মফস্বল শহরে এই আঙুলের ছাপ একজনের পরিবর্তে অন্যজন দিয়ে দেন!
যেমন ধরুন, একজন ডাক্তার কোনো হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজে চাকরিরত আছেন। ওই ডাক্তারের নামধাম সবই ঠিক থাকবে, যখন হাজিরার জন্য ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি করা হবে, তখন ডাক্তারের পিয়ন ওই ডাক্তার মহাশয়ের পরিবর্তে যেকোনো একটি আঙুলের ছাপ দিয়ে দেবেন। প্রতিদিন পিয়ন এসে ডাক্তারের হাজিরার পরিবর্তে নিজের আঙুলের ছাপ দেবেন। তাতেই ডাক্তার সাহেবের হাজিরা গোনা হয়ে যাবে! পিয়নের একটি আঙুলের ছাপ আছে ডাক্তারের জন্য, তাতে অসুবিধা নেই।
নিজের জন্য দশটির মধ্যে আরও নয়টি আঙুল তো বাকিই থাকে। দশ আঙুলের মধ্যে একটি তিনি ব্যবহার করতে পারেন ডাক্তারের জন্য, আরেকটি নিজের জন্য। ডাক্তার সাহেব হয়তো প্র্যাকটিস করেন অন্য ক্লিনিকে, অন্য হাসপাতালে; এদিকে হাসপাতাল অথবা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখে তাঁর পূর্ণ হাজিরা—একেবারে যথারীতি সময়ে ডাক্তার সাহেব আসেন ও বেরিয়ে যান।
এটা শুধু মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালের ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য অফিসেও এ রকম পদ্ধতি চালু করেছেন আমাদের দেশের কীর্তিমান মানুষেরা! সরকার যতই চেষ্টা করুক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে, তাঁরা ঠিকই বিকল্প পথ খুঁজে নেন। এই যে ফাঁকিবাজির খাসলত, এটা মনে হয় মজ্জাগত। এই খাসলত পরিবর্তন করা খুবই কষ্টের ব্যাপার।
ছোটবেলা থেকে পারিবারিকভাবে, স্কুল-কলেজে যদি নৈতিক শিক্ষা না দেওয়া হয়, তাহলে এর থেকে বেরিয়ে আসা খুবই মুশকিলের ব্যাপার হবে। কোনো ডিজিটালাইজেশন, কোনো কঠিন পদ্ধতি সঠিকভাবে কাজ করবে না, যদি মানসিকভাবে আমরা নিজের মেধাশক্তিকে ডিজিটালাইজেশন না করি।
এই ডিজিটালাইজেশনের ফাঁকি মোকাবিলার জন্য সরকারি অফিস-আদালতে যদি আঙুলের ছাপকে জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে মনে হয় এই অসততা বন্ধ হবে।
আমাদের সরকারের সুশীল সমাজের সমাজপতিদের একটি লক্ষ্য হওয়া উচিত নৈতিক শিক্ষা দেওয়া। সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে, সামাজিক অনুষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। মানুষকে বুঝিয়ে দিতে হবে—আপনি হয়তো কোনো দুর্বলতার কারণে কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন, রাষ্ট্রকে ফাঁকি দিচ্ছেন, সমাজকে ফাঁকি দিচ্ছেন, আসলে আপনি নিজেই এই ফাঁকির জালে জড়িয়ে যাচ্ছেন। আপনার কাছ থেকে আপনার সন্তানেরা, অর্থাৎ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ রকম খাসলত নিয়েই বেড়ে উঠবে। তাই প্রথম থেকেই সবার উচিত নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করা, ফাঁকিবাজির চেষ্টা এড়িয়ে চলা, সঠিক কাজটি সঠিক সময়ে করা।
লেখক: প্রকৌশলী
লোককবি গুরুদাস পালের একটি জনপ্রিয় গান আছে, ‘ও মরি, স্বভাব তো কখনো যাবে না’। আসলেই মানুষের স্বভাব পাল্টানো খুব মুশকিল। কিছু কিছু স্বভাব, সেটা ভালো বা খারাপ হোক, মানুষের মাঝে গড়ে ওঠে পরিবার থেকে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে, সমাজের ভেতর থেকে। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব; এই সমাজ থেকে অনেক কিছু গ্রহণ করে। নিজের জীবনের সঙ্গে সেই স্বভাব ‘অ্যাডজাস্ট’ করে নেয়।
ইউরোপের কোনো দেশে আপনি দেখতে পাবেন না উল্টো পথে যানবাহন চলে। কোথাও দেখতে পাবেন না লাল বাতি জ্বলার পরেও ওই পথ দিয়ে কোনো পথচারী বা যানবাহন চলাচল করে। তাদের পারিপার্শ্বিক ও সমাজের শিক্ষাই হলো নিয়ম মেনে চলা। এসবের ব্যতিক্রম হলেই পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক ব্যবস্থা আইন লঙ্ঘনকারীকে ধিক্কার দেবে, আইন লঙ্ঘনকারী সটকে পড়বে সবার কাছ থেকে, সমাজের মূল স্রোত থেকে।
একদিন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাঁর একটি অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। তিনি একদিন ডেনমার্কের এক রাস্তায় লক্ষ করেছেন, লাল বাতি জ্বলে উঠলে একটি কুকুর দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সবুজ বাতি জ্বলা পর্যন্ত সে নাকি দাঁড়িয়েই ছিল। আমাদের দেশে দেখবেন এর উল্টো জিনিসটা চলছে। আমরা আইন ভঙ্গ করলে সেটাকেই বাহাদুরি মনে করি। প্রতিনিয়ত রাস্তায় বের হলে দেখবেন কোন রঙের বাতি জ্বলছে, ট্রাফিক সিগন্যাল কোন দিকে যান চলাচলের নির্দেশ দিচ্ছে, সেদিকে কারও খেয়াল নেই—মোবাইল ফোন টিপতে টিপতে নির্বিকারে হেঁটেই চলছে। কেউ কিছু বলছে না, সবাই আমরা নির্বিকার। এত গণতন্ত্র আমাদের দেশে যে এমন অন্যায় কাজকেও আমরা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা মনে করি!
এতক্ষণ বর্ণনা করলাম সাধারণ আইনকানুন ভঙ্গের একটি চিত্র। আজকের লেখার মূল প্রতিপাদ্য হলো—আমরা সবকিছুতে অটোমেশন করেছি, এই অটোমেশনের ফাঁক দিয়ে কীভাবে কাজে ফাঁকি দেওয়া যায় তার বর্ণনা।
একদিন এক প্রথম শ্রেণির আমলা গল্প করছিলেন—তাঁর এক সহকর্মী অফিস করতেন খুব কম। ভদ্রলোক এজি অফিসে চাকরি করতেন। অফিসে এসে চেয়ারের পেছনে আচকান ঝুলিয়ে রেখে তিনি তাঁর নিজের মতো করে ঘুরে বেড়াতেন। কালেভদ্রে সপ্তাহে দুই-তিন দিন যখন খুশি দু-চার ঘণ্টার জন্য অফিস করতেন। মানুষ এলে দেখত আচকান চেয়ারের পেছনে ঝুলছে। পিয়ন বলে দিতেন, ‘স্যার এল বলে, একটু বাইরে গেছেন।’ সবাই প্রথম দিকে মনে করত যেহেতু আচকান আছে, মহাশয় শিগগিরই ফেরত আসবেন। এটা ছিল অ্যানালগ যুগের কাজে ফাঁকি। আবার যেসব কর্মকর্তা পরিদর্শনের মতো কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁরা প্রায়ই পরিদর্শনের কথা বলে অফিস ফাঁকি দিয়ে চলেন, এটাও আমাদের সমাজে প্রতিদিনের ঘটনা।
মূল কথায় আসি। অনেক অফিসেই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাজিরা নেওয়া হয়। অফিসে ঢোকার সময় ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে আঙুলের ছাপ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়, আবার আঙুলের ছাপ দিয়ে ভেতর থেকে বের হতে হয়। খুবই চমৎকার একটি সিস্টেম; অর্থাৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কখন অফিসে প্রবেশ করলেন, কখন বের হলেন—একেবারে ‘ডিজিটালি রিকগনাইজড’ হয়ে যায়; ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এটাই আমাদের ডিজিটালাইজেশনের সুফল। কিন্তু ডিজিটালাইজেশন চলে ডালে ডালে, ফাঁকিবাজেরা চলেন পাতায় পাতায়! আমার কাছে তথ্য আছে, অনেক সরকারি হাসপাতালে বা মেডিকেল কলেজে, অন্যান্য সরকারি অফিসেও, বিশেষ করে মফস্বল শহরে এই আঙুলের ছাপ একজনের পরিবর্তে অন্যজন দিয়ে দেন!
যেমন ধরুন, একজন ডাক্তার কোনো হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজে চাকরিরত আছেন। ওই ডাক্তারের নামধাম সবই ঠিক থাকবে, যখন হাজিরার জন্য ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি করা হবে, তখন ডাক্তারের পিয়ন ওই ডাক্তার মহাশয়ের পরিবর্তে যেকোনো একটি আঙুলের ছাপ দিয়ে দেবেন। প্রতিদিন পিয়ন এসে ডাক্তারের হাজিরার পরিবর্তে নিজের আঙুলের ছাপ দেবেন। তাতেই ডাক্তার সাহেবের হাজিরা গোনা হয়ে যাবে! পিয়নের একটি আঙুলের ছাপ আছে ডাক্তারের জন্য, তাতে অসুবিধা নেই।
নিজের জন্য দশটির মধ্যে আরও নয়টি আঙুল তো বাকিই থাকে। দশ আঙুলের মধ্যে একটি তিনি ব্যবহার করতে পারেন ডাক্তারের জন্য, আরেকটি নিজের জন্য। ডাক্তার সাহেব হয়তো প্র্যাকটিস করেন অন্য ক্লিনিকে, অন্য হাসপাতালে; এদিকে হাসপাতাল অথবা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখে তাঁর পূর্ণ হাজিরা—একেবারে যথারীতি সময়ে ডাক্তার সাহেব আসেন ও বেরিয়ে যান।
এটা শুধু মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালের ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য অফিসেও এ রকম পদ্ধতি চালু করেছেন আমাদের দেশের কীর্তিমান মানুষেরা! সরকার যতই চেষ্টা করুক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে, তাঁরা ঠিকই বিকল্প পথ খুঁজে নেন। এই যে ফাঁকিবাজির খাসলত, এটা মনে হয় মজ্জাগত। এই খাসলত পরিবর্তন করা খুবই কষ্টের ব্যাপার।
ছোটবেলা থেকে পারিবারিকভাবে, স্কুল-কলেজে যদি নৈতিক শিক্ষা না দেওয়া হয়, তাহলে এর থেকে বেরিয়ে আসা খুবই মুশকিলের ব্যাপার হবে। কোনো ডিজিটালাইজেশন, কোনো কঠিন পদ্ধতি সঠিকভাবে কাজ করবে না, যদি মানসিকভাবে আমরা নিজের মেধাশক্তিকে ডিজিটালাইজেশন না করি।
এই ডিজিটালাইজেশনের ফাঁকি মোকাবিলার জন্য সরকারি অফিস-আদালতে যদি আঙুলের ছাপকে জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে মনে হয় এই অসততা বন্ধ হবে।
আমাদের সরকারের সুশীল সমাজের সমাজপতিদের একটি লক্ষ্য হওয়া উচিত নৈতিক শিক্ষা দেওয়া। সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে, সামাজিক অনুষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। মানুষকে বুঝিয়ে দিতে হবে—আপনি হয়তো কোনো দুর্বলতার কারণে কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন, রাষ্ট্রকে ফাঁকি দিচ্ছেন, সমাজকে ফাঁকি দিচ্ছেন, আসলে আপনি নিজেই এই ফাঁকির জালে জড়িয়ে যাচ্ছেন। আপনার কাছ থেকে আপনার সন্তানেরা, অর্থাৎ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ রকম খাসলত নিয়েই বেড়ে উঠবে। তাই প্রথম থেকেই সবার উচিত নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করা, ফাঁকিবাজির চেষ্টা এড়িয়ে চলা, সঠিক কাজটি সঠিক সময়ে করা।
লেখক: প্রকৌশলী
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে