বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম-দোহাজারী পথে যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে দুই বছরেরও বেশি সময়। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ট্রেনযাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
ইঞ্জিন-সংকটের কারণে এ লোকাল ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একই কারণে দোহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্র পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনটিও চলাচল করছে না বলে রেলওয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যদিও এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি নন রেলওয়ের কোনো কর্মকর্তা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ পথে দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডেমু) ট্রেন, দুটি যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি দোহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্র পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগন ট্রেন যাতায়াত করত। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। সেই সময়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী পথে বন্ধ হয় লোকাল ট্রেন চলাচল। এর ৪ মাসের মাথায় দোহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্র পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগন ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সড়কপথে দোহাজারী পিকিং প্ল্যান্টের ফার্নেস তেল পরিবহন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
২০২১ সালের ১১ আগস্ট থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীবাহী দুটি ডেমু ট্রেন চলাচল করছে। ২০২১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এ রুটে দুটি ডেমু ট্রেন চালু করে রেলওয়ে। এ রুটে লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় সড়কপথের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীকে। তাঁরা ইঞ্জিন সংকট নিরসন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে লোকাল ট্রেন দুটি চালুর দাবি জানিয়েছেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে লোকাল ট্রেন চারবার আসা-যাওয়া করত। যদিও একটি ইঞ্জিন দিয়েই এ ট্রেন চালু রেখেছিল রেলওয়ে। বর্তমানে ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে যাওয়ায় এই লোকাল ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না।
এ রুটে দুটি ডেমু ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে জানিয়ে গোমদন্ডী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ডেমু ট্রেনটি প্রতিদিন ভোরে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যায় পটিয়া স্টেশনের উদ্দেশে এবং সকাল সাড়ে ৭টায় পটিয়া ছেড়ে চট্টগ্রাম আসে। তবে ডেমু ট্রেনটি বেঙ্গুরা স্টেশনে যাত্রী উঠানামা করে। এরপর দ্বিতীয় ট্রিপে বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারীর উদ্দেশে যাত্রা করে এ রুটের প্রতিটি স্টেশনে যাত্রী উঠানামা করেন। সন্ধ্যায় আবার দোহাজারী স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বোয়ালখালী পৌরসভার বাসিন্দা মো. সাইদুল বলেন, লোকাল ট্রেনে বোয়ালখালীর অনেক যাত্রী আসা-যাওয়া করতেন। ডেমু ট্রেনটি সদরের গোমদন্ডী স্টেশনে না থামার কারণে আমরা ডেমু ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছি না। তিনি জানান, নিরাপদ ও ভাড়া সাশ্রয়ী হওয়ায় মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। অনেকেই সড়কের যানজটের ভোগান্তি এড়াতেও ট্রেনে চলাচল করেন।
উপজেলার বাসিন্দা আলী আজগর বলেন, নগরীর রিয়াজউদ্দীন বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন দীর্ঘদিন। যখন ট্রেন চলাচল করত তখন কম খরচে নিরাপদভাবে কর্মস্থলে যাওয়া যেত। এখন ট্রেন বন্ধ হওয়ায় খরচ বেড়ে গেছে; সেই সঙ্গে রয়েছে গণপরিবহনের চরম ভোগান্তি। দুটি ডেমু ট্রেন এ রুটে চলাচল করলেও গোমদন্ডী স্টেশনে না থামানোর কারণে সে সুবিধা থেকেও বঞ্চিত।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে এক সময় ৬ জোড়া লোকাল ট্রেন চলাচল করত। নব্বইয়ের দশকে কমতে কমতে তা এক জোড়ায় এসে ঠেকে। জৌলুশ হারায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের স্টেশনগুলো। জানা গেছে, এ পথে দোহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্র পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য তেলবাহী ওয়াগন ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটে। এতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নড়বড়ে রেললাইন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পর যাত্রীদের দাবির মুখে ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর এ রুটে আরও এক জোড়া লোকাল ট্রেন চালু করা হয়। একই সঙ্গে এ রুট দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম-দোহাজারী পথে যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে দুই বছরেরও বেশি সময়। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ট্রেনযাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
ইঞ্জিন-সংকটের কারণে এ লোকাল ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একই কারণে দোহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্র পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনটিও চলাচল করছে না বলে রেলওয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যদিও এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি নন রেলওয়ের কোনো কর্মকর্তা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ পথে দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডেমু) ট্রেন, দুটি যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি দোহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্র পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগন ট্রেন যাতায়াত করত। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। সেই সময়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী পথে বন্ধ হয় লোকাল ট্রেন চলাচল। এর ৪ মাসের মাথায় দোহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্র পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগন ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সড়কপথে দোহাজারী পিকিং প্ল্যান্টের ফার্নেস তেল পরিবহন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
২০২১ সালের ১১ আগস্ট থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীবাহী দুটি ডেমু ট্রেন চলাচল করছে। ২০২১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এ রুটে দুটি ডেমু ট্রেন চালু করে রেলওয়ে। এ রুটে লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় সড়কপথের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীকে। তাঁরা ইঞ্জিন সংকট নিরসন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে লোকাল ট্রেন দুটি চালুর দাবি জানিয়েছেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে লোকাল ট্রেন চারবার আসা-যাওয়া করত। যদিও একটি ইঞ্জিন দিয়েই এ ট্রেন চালু রেখেছিল রেলওয়ে। বর্তমানে ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে যাওয়ায় এই লোকাল ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না।
এ রুটে দুটি ডেমু ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে জানিয়ে গোমদন্ডী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ডেমু ট্রেনটি প্রতিদিন ভোরে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যায় পটিয়া স্টেশনের উদ্দেশে এবং সকাল সাড়ে ৭টায় পটিয়া ছেড়ে চট্টগ্রাম আসে। তবে ডেমু ট্রেনটি বেঙ্গুরা স্টেশনে যাত্রী উঠানামা করে। এরপর দ্বিতীয় ট্রিপে বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারীর উদ্দেশে যাত্রা করে এ রুটের প্রতিটি স্টেশনে যাত্রী উঠানামা করেন। সন্ধ্যায় আবার দোহাজারী স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বোয়ালখালী পৌরসভার বাসিন্দা মো. সাইদুল বলেন, লোকাল ট্রেনে বোয়ালখালীর অনেক যাত্রী আসা-যাওয়া করতেন। ডেমু ট্রেনটি সদরের গোমদন্ডী স্টেশনে না থামার কারণে আমরা ডেমু ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছি না। তিনি জানান, নিরাপদ ও ভাড়া সাশ্রয়ী হওয়ায় মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। অনেকেই সড়কের যানজটের ভোগান্তি এড়াতেও ট্রেনে চলাচল করেন।
উপজেলার বাসিন্দা আলী আজগর বলেন, নগরীর রিয়াজউদ্দীন বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন দীর্ঘদিন। যখন ট্রেন চলাচল করত তখন কম খরচে নিরাপদভাবে কর্মস্থলে যাওয়া যেত। এখন ট্রেন বন্ধ হওয়ায় খরচ বেড়ে গেছে; সেই সঙ্গে রয়েছে গণপরিবহনের চরম ভোগান্তি। দুটি ডেমু ট্রেন এ রুটে চলাচল করলেও গোমদন্ডী স্টেশনে না থামানোর কারণে সে সুবিধা থেকেও বঞ্চিত।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে এক সময় ৬ জোড়া লোকাল ট্রেন চলাচল করত। নব্বইয়ের দশকে কমতে কমতে তা এক জোড়ায় এসে ঠেকে। জৌলুশ হারায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের স্টেশনগুলো। জানা গেছে, এ পথে দোহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্র পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য তেলবাহী ওয়াগন ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটে। এতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নড়বড়ে রেললাইন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পর যাত্রীদের দাবির মুখে ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর এ রুটে আরও এক জোড়া লোকাল ট্রেন চালু করা হয়। একই সঙ্গে এ রুট দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে