নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়েছিল। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হতে পারে। এবার নির্বাচনের সম্ভাব্য বাজেট কমবেশি ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি ) সূত্রে জানা গেছে।
সংসদ নির্বাচনে বাজেট বরাদ্দের সিংহভাগই ব্যয় হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পেছনে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ খাতে ব্যয় নিরূপণের জন্য গতকাল সোমবার পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আনসার বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক করেছে ইসি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত না হওয়ার বৈঠকে এ বাহিনীর কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
গতকালের বৈঠকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনের একটা বড় অংশের ব্যয় থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে। সরাসরি বাজেটের সঙ্গে সম্পর্কিত পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আজকে বৈঠকে বসেছিলাম।
বাজেট নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। মূলত বাজেটটা চূড়ান্ত হয় পরিপত্র জারি করার পর। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রতি ইউনিটে প্রতিদিন কী রকম বাজেট লাগে, সেই হিসাব দিতে বলা হয়েছে। পরে ভোটে কী পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং কত দিনের জন্য মোতায়েন করা হবে, সে হিসাবে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসির এক সভায় সংসদ নির্বাচনের বাজেট নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। ইসি সূত্রে জানা যায়, সেখানে সম্ভাব্য বাজেট ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। তবে এটি বেড়ে ১ হাজার ৬০০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ব্যয় হবে ৫০০ কোটির মতো। আর বাকিটা ব্যয় হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়।
নির্বাচন পরিচালনায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্মানী ভাতায়। সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার, প্রতি কক্ষে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও দুজন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। এবার ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, ৪২ হাজারের ওপরে ভোটকেন্দ্র এবং ২ লাখ ৬১ হাজারের ওপরে ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটে ৯ লাখের বেশি ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া ১৩ ধরনের কেনাকাটা করতে হয়। স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া বাকি সব নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। ব্যালট পেপার ছাপানোর ব্যয়ও রয়েছে এর মধ্যে। এই বিষয়ে সব দায়িত্ব বিজি প্রেসকে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ভোটের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ব্যয়। আগে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের একদিনের ভাতা দেওয়া হতো, এবার সেটা দেওয়া হবে দুই দিনের।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে আনসার বাহিনীর পেছনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়। কারণ প্রতি কেন্দ্রে ১২ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হলে কমবেশি ৫ লাখ ১০ হাজার আনসার সদস্য ভোটের দায়িত্বে থাকবেন। এরপর আছে পুলিশের ব্যয়। দেশে ২ লাখ ১২ হাজারের মতো পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে ইসিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সব বাহিনী থেকে চাহিদা পাওয়ার পর বাজেট চূড়ান্ত হতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ তারা হয়তো একটি সম্ভাব্য বাজেট দিতে পারে।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হওয়া ৭শ কোটি টাকার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৩০০ কোটি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়েছিল। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হতে পারে। এবার নির্বাচনের সম্ভাব্য বাজেট কমবেশি ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি ) সূত্রে জানা গেছে।
সংসদ নির্বাচনে বাজেট বরাদ্দের সিংহভাগই ব্যয় হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পেছনে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ খাতে ব্যয় নিরূপণের জন্য গতকাল সোমবার পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আনসার বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক করেছে ইসি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত না হওয়ার বৈঠকে এ বাহিনীর কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
গতকালের বৈঠকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনের একটা বড় অংশের ব্যয় থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে। সরাসরি বাজেটের সঙ্গে সম্পর্কিত পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আজকে বৈঠকে বসেছিলাম।
বাজেট নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। মূলত বাজেটটা চূড়ান্ত হয় পরিপত্র জারি করার পর। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রতি ইউনিটে প্রতিদিন কী রকম বাজেট লাগে, সেই হিসাব দিতে বলা হয়েছে। পরে ভোটে কী পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং কত দিনের জন্য মোতায়েন করা হবে, সে হিসাবে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসির এক সভায় সংসদ নির্বাচনের বাজেট নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। ইসি সূত্রে জানা যায়, সেখানে সম্ভাব্য বাজেট ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। তবে এটি বেড়ে ১ হাজার ৬০০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ব্যয় হবে ৫০০ কোটির মতো। আর বাকিটা ব্যয় হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়।
নির্বাচন পরিচালনায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্মানী ভাতায়। সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার, প্রতি কক্ষে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও দুজন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। এবার ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, ৪২ হাজারের ওপরে ভোটকেন্দ্র এবং ২ লাখ ৬১ হাজারের ওপরে ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটে ৯ লাখের বেশি ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া ১৩ ধরনের কেনাকাটা করতে হয়। স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া বাকি সব নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। ব্যালট পেপার ছাপানোর ব্যয়ও রয়েছে এর মধ্যে। এই বিষয়ে সব দায়িত্ব বিজি প্রেসকে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ভোটের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ব্যয়। আগে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের একদিনের ভাতা দেওয়া হতো, এবার সেটা দেওয়া হবে দুই দিনের।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে আনসার বাহিনীর পেছনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়। কারণ প্রতি কেন্দ্রে ১২ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হলে কমবেশি ৫ লাখ ১০ হাজার আনসার সদস্য ভোটের দায়িত্বে থাকবেন। এরপর আছে পুলিশের ব্যয়। দেশে ২ লাখ ১২ হাজারের মতো পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে ইসিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সব বাহিনী থেকে চাহিদা পাওয়ার পর বাজেট চূড়ান্ত হতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ তারা হয়তো একটি সম্ভাব্য বাজেট দিতে পারে।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হওয়া ৭শ কোটি টাকার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৩০০ কোটি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে