বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর পৈতৃক ভিটা। আশপাশের লোকজন বাড়ির অধিকাংশ জায়গা দখল করেছেন। ভবনগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত রয়েছে। বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে শিল্পীর স্মৃতি ধরে রাখতে বাড়িটিতে পাঠাগার কিংবা জাদুঘর করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িটিতে রয়েছে বিশাল পুকুর, ভূমি অফিস ও কোর্ট বিল্ডিং। পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে প্রাচীন এ বাড়িটি। দীর্ঘদিন বাড়িটি অযত্ন ও অবহেলায় থাকার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, এই জমিদারবাড়িটিতে রাত হলেই চলে বখাটেদের আড্ডা। রাতের আঁধারে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। একজন জনপ্রিয় শিল্পীর বাড়িতে অনৈতিক কাজ করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। শিল্পীর স্মৃতি ধরে রাখতে বাড়িটি উদ্ধার করে পাঠাগার অথবা জাদুঘর তৈরির দাবি তাঁদের।
শিল্পকলায় একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এই শিল্পী ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস বানিয়াচং উপজেলা সদরের অন্তর্ভুক্ত নন্দীপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবা সুধাংশু নন্দীও ছিলেন একজন সংগীতপ্রেমী। ছোটবেলা থেকেই তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিতে শুরু করেন ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে।
সুবীর নন্দীর সংগীতে হাতেখড়ি মা পুতুল রানীর কাছে। বাবার চাকরির সূত্রে তাঁর শৈশবকাল চা-বাগানেই কেটেছে। পাঁচ-ছয় বছর বয়স পর্যন্ত বাগানেই ছিলেন। চা বাগানে খ্রিষ্টান মিশনারিদের একটি বিদ্যালয় ছিল, সেখানেই পড়াশোনা করেন। তবে পড়াশোনার অধিকাংশ সময়ই তাঁর কেটেছে হবিগঞ্জ শহরে। হবিগঞ্জ শহরে তাঁদের একটি বাড়ি ছিল, সেখানে ছিলেন। পড়েছেন হবিগঞ্জ হাইস্কুলে। তারপর হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজে।
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২০১৯ সালের ৭ মে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
এই সংগীতশিল্পীর বাড়িটি সংরক্ষণ করার ব্যাপারে স্থানীয় পুরোহিত বিপুল ভট্টাচার্য বলেন, বানিয়াচংয়ের কৃতী সন্তান ও প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীর বাড়িটি বেদখল হওয়া থেকে উদ্ধার করা হোক। বাড়িটি সংস্কৃতিচর্চার জন্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
এ নিয়ে বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক মোশাহেদ মিয়া বলেন, ‘সুবীর নন্দীর স্মৃতি ধরে রাখতে প্রশাসনের উদ্যোগে পৈতৃক ভিটা উদ্ধার করে গণপাঠাগার তৈরি করা প্রয়োজন। সেখানে সংস্কৃতিচর্চার দাবি জানাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, ‘আমি এখানে যোগদান করার পর থেকেই দেখছি বাড়িটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। বেদখল এই জমিদারবাড়িটি রক্ষা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর পৈতৃক ভিটা। আশপাশের লোকজন বাড়ির অধিকাংশ জায়গা দখল করেছেন। ভবনগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত রয়েছে। বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে শিল্পীর স্মৃতি ধরে রাখতে বাড়িটিতে পাঠাগার কিংবা জাদুঘর করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িটিতে রয়েছে বিশাল পুকুর, ভূমি অফিস ও কোর্ট বিল্ডিং। পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে প্রাচীন এ বাড়িটি। দীর্ঘদিন বাড়িটি অযত্ন ও অবহেলায় থাকার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, এই জমিদারবাড়িটিতে রাত হলেই চলে বখাটেদের আড্ডা। রাতের আঁধারে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। একজন জনপ্রিয় শিল্পীর বাড়িতে অনৈতিক কাজ করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। শিল্পীর স্মৃতি ধরে রাখতে বাড়িটি উদ্ধার করে পাঠাগার অথবা জাদুঘর তৈরির দাবি তাঁদের।
শিল্পকলায় একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এই শিল্পী ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস বানিয়াচং উপজেলা সদরের অন্তর্ভুক্ত নন্দীপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবা সুধাংশু নন্দীও ছিলেন একজন সংগীতপ্রেমী। ছোটবেলা থেকেই তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিতে শুরু করেন ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে।
সুবীর নন্দীর সংগীতে হাতেখড়ি মা পুতুল রানীর কাছে। বাবার চাকরির সূত্রে তাঁর শৈশবকাল চা-বাগানেই কেটেছে। পাঁচ-ছয় বছর বয়স পর্যন্ত বাগানেই ছিলেন। চা বাগানে খ্রিষ্টান মিশনারিদের একটি বিদ্যালয় ছিল, সেখানেই পড়াশোনা করেন। তবে পড়াশোনার অধিকাংশ সময়ই তাঁর কেটেছে হবিগঞ্জ শহরে। হবিগঞ্জ শহরে তাঁদের একটি বাড়ি ছিল, সেখানে ছিলেন। পড়েছেন হবিগঞ্জ হাইস্কুলে। তারপর হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজে।
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২০১৯ সালের ৭ মে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
এই সংগীতশিল্পীর বাড়িটি সংরক্ষণ করার ব্যাপারে স্থানীয় পুরোহিত বিপুল ভট্টাচার্য বলেন, বানিয়াচংয়ের কৃতী সন্তান ও প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীর বাড়িটি বেদখল হওয়া থেকে উদ্ধার করা হোক। বাড়িটি সংস্কৃতিচর্চার জন্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
এ নিয়ে বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক মোশাহেদ মিয়া বলেন, ‘সুবীর নন্দীর স্মৃতি ধরে রাখতে প্রশাসনের উদ্যোগে পৈতৃক ভিটা উদ্ধার করে গণপাঠাগার তৈরি করা প্রয়োজন। সেখানে সংস্কৃতিচর্চার দাবি জানাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, ‘আমি এখানে যোগদান করার পর থেকেই দেখছি বাড়িটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। বেদখল এই জমিদারবাড়িটি রক্ষা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে