আজিজুর রহমান, চৌগাছা
যশোরের চৌগাছায় করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহ কমেছে সাধারণ মানুষের। নিববন্ধনের পর খুদেবার্তা (এসএমএস) দেওয়ার পরও তাঁরা টিকা নিতে আসছেন না। ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ফের এসএমএস দিতে বাধ্য হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা জানান, গত রোববার ২ হাজার ব্যক্তিকে টিকার এসএমএস পাঠানো হলেও সোমবার মাত্র ৫৪০ জন টিকা নিতে এসেছেন। এসএমএস দেওয়ার পরও দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই টিকা নিতে আসছেন না। অনেককে আমরা ফোন করে ডেকে এনে টিকা দিতে হচ্ছে। মসজিদে মাইকিং করে টিকা নিতে আসার আহ্বান করা হয়। তবুও সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার ব্যক্তি টিকা নিতে আসেননি। এ জন্য পুনরায় এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শর্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলার মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকে ২ ডোজ টিকার আওতায় আনতে হবে। সে হিসেবে উপজেলার প্রায় এক লাখ ৭ হাজার ব্যক্তিকে টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে হবে।
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত উপজেলায় করোনা টিকার নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ২৬ হাজার ১৫৬ জন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৫৪৮ জন ছাড়া সবাইকে এসএমএস দেওয়া হলেও প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে পাসপোর্টধারী অর্থাৎ বিদেশগামী রয়েছেন ৩৩১ জন। এ ছাড়া দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে ৫১ হাজার ৫২৩ জনের। যার মধ্যে ৩৩১ জন পাসপোর্টধারী।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে আরও জানা গেছে, উপজেলার ২০ হাজার ৬৫৭ জনকে দীর্ঘদিন ধরে এসএমএস দিয়ে রাখা হলেও সোমবার পর্যন্ত তাঁরা টিকা নিতে আসেননি। এ কারণে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে যারা টিকা নিতে আসেননি তাঁদের প্রায় ৫ হাজার ব্যক্তিকে সোমবার ফের এসএমএস দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও টিকাদানকারী এবং টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রতিদিন যে পরিমাণ ব্যক্তিকে এসএমএস দেওয়া হচ্ছে তাঁর অনেকেই টিকা নিতে আসছেন না। অথচ অনেকেই বলছেন, তাঁরা এসএমএস পাননি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এ ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে যারা টিকা নিবন্ধন করছেন তাঁদের অনেকেই বাজারের দোকান থেকে নিবন্ধন করেছেন। আর দোকানিরা নিবন্ধনে সময় কম লাগাতে নিবন্ধনকৃত ব্যক্তির মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার না করে নিজেদের মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করছেন। ফলে এসএসএম দেওয়া হলেও নিবন্ধন করা ব্যক্তি বুঝতে পারছেন না তিনি এসএমএস পেয়েছেন। আবার মোবাইল নেটওয়ার্কের কারণেও অনেকে ঠিকমতো এসএমএস পাচ্ছেন না।
ফলে নিজের ফোনে এসএমএস না পাওয়ায় তাঁরা টিকা নিতেও আসছেন না। হাসপাতালের টিকাদানকারী কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী জানান, এসএমএস দেওয়ার পরও দীর্ঘদিন টিকা নিতে না আসায় অনেককেই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজে মুঠোফোনে কল করে ডেকে এনে টিকা দিচ্ছেন। তবে সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যাওয়ায় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শর্ত পূরণের তাড়া থাকায় এটাও একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে যারা দীর্ঘদিন যারা টিকা নিতে আসেননি তাঁদের ফের এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. লুৎফুন্নাহার বলেন, ‘গত রোববার ২ হাজার ব্যক্তিকে টিকার এসএমএস পাঠানো হলেও সোমবার মাত্র ৫৪০ জন টিকা নিতে এসেছেন। এসএমএস দেওয়ার পরও দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই টিকা নিতে আসছেন না। অনেককে আমরা ফোন করে ডেকে এনে টিকা দিচ্ছি। মসজিদে মাইকিং করে টিকা নিতে আসার আহ্বান করছি। তবুও সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার ব্যক্তি টিকা নিতে আসেননি। এ জন্য আমরা ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যারা এসএমএস পেয়েও টিকা নিতে আসেননি তাঁদের রি-শিডিউল করে এসএমএস দিচ্ছি।’
যশোরের চৌগাছায় করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহ কমেছে সাধারণ মানুষের। নিববন্ধনের পর খুদেবার্তা (এসএমএস) দেওয়ার পরও তাঁরা টিকা নিতে আসছেন না। ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ফের এসএমএস দিতে বাধ্য হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা জানান, গত রোববার ২ হাজার ব্যক্তিকে টিকার এসএমএস পাঠানো হলেও সোমবার মাত্র ৫৪০ জন টিকা নিতে এসেছেন। এসএমএস দেওয়ার পরও দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই টিকা নিতে আসছেন না। অনেককে আমরা ফোন করে ডেকে এনে টিকা দিতে হচ্ছে। মসজিদে মাইকিং করে টিকা নিতে আসার আহ্বান করা হয়। তবুও সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার ব্যক্তি টিকা নিতে আসেননি। এ জন্য পুনরায় এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শর্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলার মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকে ২ ডোজ টিকার আওতায় আনতে হবে। সে হিসেবে উপজেলার প্রায় এক লাখ ৭ হাজার ব্যক্তিকে টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে হবে।
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত উপজেলায় করোনা টিকার নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ২৬ হাজার ১৫৬ জন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৫৪৮ জন ছাড়া সবাইকে এসএমএস দেওয়া হলেও প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে পাসপোর্টধারী অর্থাৎ বিদেশগামী রয়েছেন ৩৩১ জন। এ ছাড়া দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে ৫১ হাজার ৫২৩ জনের। যার মধ্যে ৩৩১ জন পাসপোর্টধারী।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে আরও জানা গেছে, উপজেলার ২০ হাজার ৬৫৭ জনকে দীর্ঘদিন ধরে এসএমএস দিয়ে রাখা হলেও সোমবার পর্যন্ত তাঁরা টিকা নিতে আসেননি। এ কারণে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে যারা টিকা নিতে আসেননি তাঁদের প্রায় ৫ হাজার ব্যক্তিকে সোমবার ফের এসএমএস দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও টিকাদানকারী এবং টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রতিদিন যে পরিমাণ ব্যক্তিকে এসএমএস দেওয়া হচ্ছে তাঁর অনেকেই টিকা নিতে আসছেন না। অথচ অনেকেই বলছেন, তাঁরা এসএমএস পাননি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এ ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে যারা টিকা নিবন্ধন করছেন তাঁদের অনেকেই বাজারের দোকান থেকে নিবন্ধন করেছেন। আর দোকানিরা নিবন্ধনে সময় কম লাগাতে নিবন্ধনকৃত ব্যক্তির মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার না করে নিজেদের মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করছেন। ফলে এসএসএম দেওয়া হলেও নিবন্ধন করা ব্যক্তি বুঝতে পারছেন না তিনি এসএমএস পেয়েছেন। আবার মোবাইল নেটওয়ার্কের কারণেও অনেকে ঠিকমতো এসএমএস পাচ্ছেন না।
ফলে নিজের ফোনে এসএমএস না পাওয়ায় তাঁরা টিকা নিতেও আসছেন না। হাসপাতালের টিকাদানকারী কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী জানান, এসএমএস দেওয়ার পরও দীর্ঘদিন টিকা নিতে না আসায় অনেককেই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজে মুঠোফোনে কল করে ডেকে এনে টিকা দিচ্ছেন। তবে সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যাওয়ায় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শর্ত পূরণের তাড়া থাকায় এটাও একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে যারা দীর্ঘদিন যারা টিকা নিতে আসেননি তাঁদের ফের এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. লুৎফুন্নাহার বলেন, ‘গত রোববার ২ হাজার ব্যক্তিকে টিকার এসএমএস পাঠানো হলেও সোমবার মাত্র ৫৪০ জন টিকা নিতে এসেছেন। এসএমএস দেওয়ার পরও দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই টিকা নিতে আসছেন না। অনেককে আমরা ফোন করে ডেকে এনে টিকা দিচ্ছি। মসজিদে মাইকিং করে টিকা নিতে আসার আহ্বান করছি। তবুও সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার ব্যক্তি টিকা নিতে আসেননি। এ জন্য আমরা ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যারা এসএমএস পেয়েও টিকা নিতে আসেননি তাঁদের রি-শিডিউল করে এসএমএস দিচ্ছি।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে