মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
শিশু খাদ্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মিঠাপুকুরের বাজারগুলো সয়লাব হয়ে পড়েছে নিম্নমানের শিশুখাদ্যে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে চকলেট, চিপস, আচার, জুস ও পাঁপড়সহ নানা মুখরোচক খাবার।
বাজারে গেলেই দেখা যায়, আকর্ষণীয় মোড়কে এবং খেলনা ও স্টিকার উপহার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই খাদ্য সামগ্রী। এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট বাজারেও সহজে পাওয়া যায় এই পণ্যগুলো।
শিশু খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী, এসব নিম্নমানের খাবার বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। অভিভাবকদের অধিকাংশ শখ করেই হোক বা শিশু সন্তানের জেদেই হোক, ঠিকই কিনে নিয়ে শিশুদের হাতে তুলে দেন এসব খাদ্য।
উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আলপনা সরকার জানান, তাঁর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বিপদে আছেন। পাঁচ বছর বয়সী শিশুটি ভাত ও সবজি খেতে চায় না। চকলেট, আইসক্রিম ও জুস খেতে পছন্দ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা সদর বাজারের বাসিন্দা এক মা বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স তিন বছর। এখনো ভাত খাওয়ানোর সময় হলে যুদ্ধ করতে হয়। সারা দিন চকলেট ও চিপস খেতে পছন্দ করে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল হালিম লাবলু জানান, এসব খাবার শিশুদের খাওয়ানো অনুচিত। কারণ এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, শিশুদের বাড়তি খাবারের প্রয়োজন আছে। কিন্তু বাজারের খাবার না দিয়ে বাড়িতে তৈরি খাদ্য শিশুদের খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি মায়েদের যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।
উপজেলা সামাজিক সুরক্ষা ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম মনে করেন, সরকারের দায়িত্বশীল দপ্তরগুলোর নিয়মিত মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নিম্নমানের খাবার বেচাকেনা বন্ধ করতে না পারলে শিশুরা পুষ্টিহীন হয়ে বেড়ে উঠবে। এতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেছিলেন, দুই থেকে থেকে মাস পর একটি মিটিং করে চা চক্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এ জন্য পরিকল্পনা ও কর্মসূচি থাকা আবশ্যক।
ভেজাল খাদ্য সামগ্রী বিক্রি বন্ধে বেশি বেশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার।
শিশু খাদ্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মিঠাপুকুরের বাজারগুলো সয়লাব হয়ে পড়েছে নিম্নমানের শিশুখাদ্যে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে চকলেট, চিপস, আচার, জুস ও পাঁপড়সহ নানা মুখরোচক খাবার।
বাজারে গেলেই দেখা যায়, আকর্ষণীয় মোড়কে এবং খেলনা ও স্টিকার উপহার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই খাদ্য সামগ্রী। এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট বাজারেও সহজে পাওয়া যায় এই পণ্যগুলো।
শিশু খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী, এসব নিম্নমানের খাবার বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। অভিভাবকদের অধিকাংশ শখ করেই হোক বা শিশু সন্তানের জেদেই হোক, ঠিকই কিনে নিয়ে শিশুদের হাতে তুলে দেন এসব খাদ্য।
উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আলপনা সরকার জানান, তাঁর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বিপদে আছেন। পাঁচ বছর বয়সী শিশুটি ভাত ও সবজি খেতে চায় না। চকলেট, আইসক্রিম ও জুস খেতে পছন্দ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা সদর বাজারের বাসিন্দা এক মা বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স তিন বছর। এখনো ভাত খাওয়ানোর সময় হলে যুদ্ধ করতে হয়। সারা দিন চকলেট ও চিপস খেতে পছন্দ করে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল হালিম লাবলু জানান, এসব খাবার শিশুদের খাওয়ানো অনুচিত। কারণ এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, শিশুদের বাড়তি খাবারের প্রয়োজন আছে। কিন্তু বাজারের খাবার না দিয়ে বাড়িতে তৈরি খাদ্য শিশুদের খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি মায়েদের যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।
উপজেলা সামাজিক সুরক্ষা ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম মনে করেন, সরকারের দায়িত্বশীল দপ্তরগুলোর নিয়মিত মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নিম্নমানের খাবার বেচাকেনা বন্ধ করতে না পারলে শিশুরা পুষ্টিহীন হয়ে বেড়ে উঠবে। এতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেছিলেন, দুই থেকে থেকে মাস পর একটি মিটিং করে চা চক্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এ জন্য পরিকল্পনা ও কর্মসূচি থাকা আবশ্যক।
ভেজাল খাদ্য সামগ্রী বিক্রি বন্ধে বেশি বেশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে