বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ ‘প্রাণ’ হিসেবে পরিচিত ভাড়ানী খাল। উপকূলীয় জেলা শহর বরগুনা সদরের জন্য নির্ভরযোগ্য নৌরুট এটি। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতা এবং দখলে সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া খালটি পুনরায় দখলমুক্ত ও খননে উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। দুদিকের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর খননকাজও এখন শেষের পথে।
২০১৭ সালে দখলদারদের হাত থেকে খালটি দখলমুক্ত করে পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে পরিবেশবাদী ও সচেতন মহল।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খাল উদ্ধারে আইনি সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খালটির দখল উচ্ছেদ ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে বেলা উচ্চ আদালতে জনস্বার্থে মামলা করে। আদালত প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৯-এর ৭ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিব আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বরগুনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরগুনা জেলা প্রশাসন ভূমি অফিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ৮ ও ৯ এপ্রিলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে এবং ডিসেম্বরে কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড খালটি পুনর্খননের প্রকল্প গ্রহণ করে।
পাউবো কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে খালটি খননের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। চট্টগ্রাম জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গরীবে নেওয়াজ ও পটুয়াখালী জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল মামুন এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ খাল খননের প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। বরাদ্দকৃত এই কাজের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার ও প্রস্থ স্থানভেদে ২৬-৩০ মিটার বা ৮৫ থেকে ১০০ ফুট ও নিম্নস্তরের প্রস্থ ১২ মিটার বা ৩৯ দশমিক ৩৬ ফুট, গভীরতা ১ দশমিক ৫ মিটার থেকে ২ মিটার পর্যন্ত বা ৫ ফুট থেকে ৬ দশমিক ৫০ ফুট। গত বছরের আগস্ট মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খননকাজ শুরু করে। বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় কাজ বন্ধ থাকলেও শীত মৌসুমের শুরু থেকে আবার শুরু হয়। বর্তমানে খালটির খনন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
বরগুনা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি, খাল দখলমুক্ত হয়েছে এবং খননকাজও প্রায় শেষ।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘খালটি দখলমুক্ত করতে আমরা আন্তরিক চেষ্টা করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও খননকাজ শেষ হলে এটি ঘিরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা যায় কি না, সে বিষয়ে পৌর মেয়রকে নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’
বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ ‘প্রাণ’ হিসেবে পরিচিত ভাড়ানী খাল। উপকূলীয় জেলা শহর বরগুনা সদরের জন্য নির্ভরযোগ্য নৌরুট এটি। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতা এবং দখলে সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া খালটি পুনরায় দখলমুক্ত ও খননে উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। দুদিকের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর খননকাজও এখন শেষের পথে।
২০১৭ সালে দখলদারদের হাত থেকে খালটি দখলমুক্ত করে পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে পরিবেশবাদী ও সচেতন মহল।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খাল উদ্ধারে আইনি সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খালটির দখল উচ্ছেদ ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে বেলা উচ্চ আদালতে জনস্বার্থে মামলা করে। আদালত প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৯-এর ৭ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিব আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বরগুনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরগুনা জেলা প্রশাসন ভূমি অফিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ৮ ও ৯ এপ্রিলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে এবং ডিসেম্বরে কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড খালটি পুনর্খননের প্রকল্প গ্রহণ করে।
পাউবো কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে খালটি খননের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। চট্টগ্রাম জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গরীবে নেওয়াজ ও পটুয়াখালী জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল মামুন এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ খাল খননের প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। বরাদ্দকৃত এই কাজের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার ও প্রস্থ স্থানভেদে ২৬-৩০ মিটার বা ৮৫ থেকে ১০০ ফুট ও নিম্নস্তরের প্রস্থ ১২ মিটার বা ৩৯ দশমিক ৩৬ ফুট, গভীরতা ১ দশমিক ৫ মিটার থেকে ২ মিটার পর্যন্ত বা ৫ ফুট থেকে ৬ দশমিক ৫০ ফুট। গত বছরের আগস্ট মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খননকাজ শুরু করে। বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় কাজ বন্ধ থাকলেও শীত মৌসুমের শুরু থেকে আবার শুরু হয়। বর্তমানে খালটির খনন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
বরগুনা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি, খাল দখলমুক্ত হয়েছে এবং খননকাজও প্রায় শেষ।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘খালটি দখলমুক্ত করতে আমরা আন্তরিক চেষ্টা করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও খননকাজ শেষ হলে এটি ঘিরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা যায় কি না, সে বিষয়ে পৌর মেয়রকে নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে