দেবিদ্বারের ধামতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারের সভামঞ্চে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ধামতি ইউনিয়নের ধামতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধামতি গ্রামে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন মিঠু মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগ মুহূর্তে নৌকার প্রার্থী জসিম উদ্দিনের ভাই শাহপরানের নেতৃত্বে হামলা হয়। হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল, সোহাগ, কামাল, মাহফুজ, মারুফ, দুলাল, নয়ন, মোবারক, মনির, রুবেল, রুহুল আমিন, সেলিম ও হালিমসহ ৩০-৪০ জন অংশ নেন। তাঁদের হাতে ধারাল অস্ত্র ছিল।

এ সময় হামলা চালিয়ে সভামঞ্চ ও নির্বাচনী অফিস ভেঙে ফেলা হয়। আহত হন আইয়ুব আলী, শরীফ, সফিকুল ইসলাম, শান্ত, জিল্লুর রহমান, বিল্লাল, ইমরান, মেহেদী, রুমান, তফাজ্জল, রাকিব মুন্সী, খোকনসহ অন্তত ১২ জন। এঁদের মধ্যে গুরুতর আহত আইয়ুব আলী নামের একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মিঠু বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থকদের ৩টি মোটরসাইকেল ও সভামঞ্চ ভাঙচুর এবং ছয়টি মোবাইল লুট করে নিয়ে গেছে। নৌকার প্রার্থী জসিম উদ্দিনের ভাই শাহপরানের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা হয়েছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই নৌকার প্রার্থীর লোকজন নানাভাবে প্রচারে বাধা দিয়ে আসছেন। নৌকা প্রতীক ছাড়া ভোট দিলে লাশ ফেলে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

নৌকার প্রার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার কোনো লোকজন এ হামলায় জড়িত নন। কারা হামলা চালিয়েছে তাও আমি জানি না।’

গতকাল সন্ধ্যায় দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘হামলার বিষয়টি মৌখিকভাবে থানায় জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’