সিনেমায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম শুটিং ছিল ১৯৫৮ সালের ৯ আগস্ট ‘অপুর সংসার’ ছবিতে। এর আগে তাঁর স্ক্রিন টেস্ট নেওয়া হয়েছে। শুটিংয়ের প্রথম ড্রাফট সৌমিত্রকে অনেক আগেই দিয়ে রেখেছেন সত্যজিৎ রায়। ফলে একটু একটু করে সিনেমার ভেতর ঢোকার পথটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। চিত্রনাট্য ছাড়াও অপু-চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নিয়ে দুই পৃষ্ঠার একটা নোট দিয়েছিলেন সত্যজিৎ।
অপু কেমন, সেটা শিখতে শিখতে সৌমিত্র নিজেও তাঁর সাব টেক্সট ঢোকাতে শুরু করেছেন নিজের মনে। অপুর যে দৃশ্যগুলো তোলা হচ্ছে, তার বাইরে অপু আর কী কী করতে পারে! সৌমিত্রের আবেগ ও অপু চরিত্রের প্রতি ভালোবাসাটা সত্যজিৎ রায় ভালোভাবেই বুঝতেন। তাই সৌমিত্রের বলা কথাগুলোকে তিনি ফেলে দিতেন না। সত্যজিতের ছবিতে সারা জীবন সৌমিত্র প্রাণ খুলে অভিনয় করতে পেরেছেন এই কারণে যে, সত্যজিৎ সব সময়ই যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছেন তাঁকে। অনেকেই মনে করে থাকেন, বড় পরিচালক বলে সত্যজিৎ অভিনেতাদের ওপর কর্তৃত্ব চালান। কিন্তু সৌমিত্র দেখেছেন, স্বাধীনতা গ্রহণ করার আত্মবিশ্বাস তিনি পেয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকেই।
প্রথম দিনের শুটিং হচ্ছিল কলকাতার বেলেঘাটায়। প্রথম শট হলো অপু ছাতা হাতে নিয়ে একটা অন্ধকার জায়গা দিয়ে এগিয়ে যাবে। তারপর দেখবে কীভাবে একেবারে অটোমেশন যন্ত্রের মতো শিশি-বোতলে লেবেল লাগানোর কাজ চলছে। এই দৃশ্য দেখে অপুর মুখ শুকিয়ে যাবে।
আগে থেকে তৈরি করা চিত্রনাট্য অনুযায়ী শট দিচ্ছিলেন সৌমিত্র। লেবেল আঁটার কাজ দেখে অপু বুঝতে পারছিল, আর যা-ই হোক, এ কম্মটি তার দ্বারা আর হবে
না। তাই এ দৃশ্যটি ফুটিয়ে তুলতে নিজের মতো করেই একবার ছোট একটা ঢোক গিললেন সৌমিত্র। শট নেওয়া হয়ে গেলে ক্যামেরার পেছন থেকে সত্যজিৎ বলে উঠলেন, ‘এক্সিলেন্ট! ওকে!’
সেই শব্দ দুটো যেন সৌমিত্রের মনে ঝরনার জলধারা হয়ে নেমে এল। সেই ঝরনার উপস্থিতি সত্যজিতের ছবি করতে গেলে প্রতিবারই মূর্ত হয়েছে।
সূত্র: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মানিকদার সঙ্গে, পৃষ্ঠা ১৮-১৯
সিনেমায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম শুটিং ছিল ১৯৫৮ সালের ৯ আগস্ট ‘অপুর সংসার’ ছবিতে। এর আগে তাঁর স্ক্রিন টেস্ট নেওয়া হয়েছে। শুটিংয়ের প্রথম ড্রাফট সৌমিত্রকে অনেক আগেই দিয়ে রেখেছেন সত্যজিৎ রায়। ফলে একটু একটু করে সিনেমার ভেতর ঢোকার পথটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। চিত্রনাট্য ছাড়াও অপু-চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নিয়ে দুই পৃষ্ঠার একটা নোট দিয়েছিলেন সত্যজিৎ।
অপু কেমন, সেটা শিখতে শিখতে সৌমিত্র নিজেও তাঁর সাব টেক্সট ঢোকাতে শুরু করেছেন নিজের মনে। অপুর যে দৃশ্যগুলো তোলা হচ্ছে, তার বাইরে অপু আর কী কী করতে পারে! সৌমিত্রের আবেগ ও অপু চরিত্রের প্রতি ভালোবাসাটা সত্যজিৎ রায় ভালোভাবেই বুঝতেন। তাই সৌমিত্রের বলা কথাগুলোকে তিনি ফেলে দিতেন না। সত্যজিতের ছবিতে সারা জীবন সৌমিত্র প্রাণ খুলে অভিনয় করতে পেরেছেন এই কারণে যে, সত্যজিৎ সব সময়ই যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছেন তাঁকে। অনেকেই মনে করে থাকেন, বড় পরিচালক বলে সত্যজিৎ অভিনেতাদের ওপর কর্তৃত্ব চালান। কিন্তু সৌমিত্র দেখেছেন, স্বাধীনতা গ্রহণ করার আত্মবিশ্বাস তিনি পেয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকেই।
প্রথম দিনের শুটিং হচ্ছিল কলকাতার বেলেঘাটায়। প্রথম শট হলো অপু ছাতা হাতে নিয়ে একটা অন্ধকার জায়গা দিয়ে এগিয়ে যাবে। তারপর দেখবে কীভাবে একেবারে অটোমেশন যন্ত্রের মতো শিশি-বোতলে লেবেল লাগানোর কাজ চলছে। এই দৃশ্য দেখে অপুর মুখ শুকিয়ে যাবে।
আগে থেকে তৈরি করা চিত্রনাট্য অনুযায়ী শট দিচ্ছিলেন সৌমিত্র। লেবেল আঁটার কাজ দেখে অপু বুঝতে পারছিল, আর যা-ই হোক, এ কম্মটি তার দ্বারা আর হবে
না। তাই এ দৃশ্যটি ফুটিয়ে তুলতে নিজের মতো করেই একবার ছোট একটা ঢোক গিললেন সৌমিত্র। শট নেওয়া হয়ে গেলে ক্যামেরার পেছন থেকে সত্যজিৎ বলে উঠলেন, ‘এক্সিলেন্ট! ওকে!’
সেই শব্দ দুটো যেন সৌমিত্রের মনে ঝরনার জলধারা হয়ে নেমে এল। সেই ঝরনার উপস্থিতি সত্যজিতের ছবি করতে গেলে প্রতিবারই মূর্ত হয়েছে।
সূত্র: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মানিকদার সঙ্গে, পৃষ্ঠা ১৮-১৯
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে