শাপলা খন্দকার, বগুড়া
বগুড়া শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর ওপর ইট, বালু, খোয়া, নুড়িসহ সামগ্রী রেখে চলছে ভবন নির্মাণকাজ। এতে যেমন রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে তেমনি প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে যানজটও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের প্রত্যেকটি সড়কের বিভিন্ন স্থানে চলছে দোকানঘর বা ভবন নির্মাণের কাজ। ইট, বালু, খোয়া, নুড়ি পাথর স্তূপ করে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে। কোথাও রাস্তার অর্ধেক জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নির্মাণসামগ্রী। গতকাল শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে শহরের ৪৫টি স্থানে রাস্তার পাশে নির্মাণসামগ্রী দেখা গেছে।
শহরের হাকির মোড়, সুলতানগঞ্জ পাড়া আলী সোনার রোড, সুলতানগঞ্জ মাঠ, সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের পেছনে, ফুলকলি স্কুলের সামনে, ফুলবাড়ি উত্তর পাড়া ব্রিজ, বগুড়া নার্সিং হোম রোড, বেলতলা মসজিদ এলাকা, তালুকদার পাড়া রোড, কারমাইকেল রোড প্রাইমারি স্কুলের সামনে রয়েছে মাটি, বালু, খোয়ার বিশাল ঢিবি।
এ ছাড়া, মালগ্রাম প্রাথমিক স্কুলের সামনে, মালগ্রাম ভিআইপি রোডে, ইবনে সিনা-খান্দারের লিংক রোড, তেঁতুলতলা মোড়, রিয়াজ কাজী লেনে দেখা গেছে একই দৃশ্য। সেউজগাড়ি পানির ট্যাঙ্কি রোডে বালু, খোয়া, পাথর একাকার অবস্থায় দেখা যায়।
বউবাজার, কাজীবাড়ি মোড় কলোনি রোড, মধুবন রোড এবং পিটিআই মোড় থেকে বকশি বাজার পর্যন্ত ১৫টি স্থানেও সড়কে নির্মাণসামগ্রী দেখা গেছে।
মূল সড়কের মধ্যে গোহাইল রোড মোড়, স্টেশন রোডে প্রেসক্লাবের সামনে এবং সার্কিট হাউস রোডে নির্মিতব্য ভবনের সামনে রয়েছে বালুর স্তূপ।
মাটিডালি বাজার-বাইপাস লিংক রোডে রাস্তার ওপর মেশিন দিয়ে ভাঙা হচ্ছে ইট, রাখা হয়েছে ইট, বালু। সেখানকার ভবন নির্মাতা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘আমি শুধু আজই এখানে কাজ করছি। কিছুক্ষণ পরেই সরিয়ে নেব।’
এদিকে, মাটিডালি-পীরগাছা রোডের শাখারিয়া বাজার, ভেপসি ব্রিজ মোড়, চান্দের বাজারসহ ১২টি স্থানে এবং পল্লিমঙ্গল হামিদ আলী মোড় থেকে আনন্দ বাজার মোড় পর্যন্ত আটটি স্থানে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে।
গোপালবাড়ি মোড়ে নির্মাণসামগ্রী রেখেছেন সফিকুল ইসলাম। তাঁর ভাই শাহীন বলেন, ‘আমরা জানতাম না এটা আইনের লঙ্ঘন। সবাই রাখে তাই আমরাও রেখেছিলাম।’
সম্প্রতি গোহাইল রোডে দুর্ঘটনার শিকার হন রওশন আরা। তিনি বলেন, ‘শহরে সারাক্ষণ ভিড় থাকে। থেমে থেমে বাইক চালাতে হয়। ব্রেক কষলেই বালুতে পিছলে পড়ে যাই।’
অটোরিকশা চালক হোসেন মিয়া বলেন, ‘রাস্তার ওপরে এসব থাকার জন্য জ্যাম লেগে যায়।’ মাটিডালি-পীরগাছা সড়কের ভেপসির ব্রিজ এলাকায় নির্মাণসামগ্রী রেখে চলছে ব্রিজ নির্মাণকাজ। এখানে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া রায়হান খন্দকার বলেন, ‘রাস্তার অর্ধেক অংশে রাখা হয়েছে বালু, নুড়ি পাথর। সিএনজিকে সাইড দিতে গিয়ে নুড়ি পাথরের ওপর মোটরসাইকেল তুলে দিয়েছিলাম। পিছলে আমি রাস্তায় পড়ে যাই। এতে মোটরসাইকেল ভেঙে ব্রিজের নিচে পানিতে পড়ে।’
স্থানীয়রা জানান, এই একই স্থানে গত এক মাসে অন্তত ছয়বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। বগুড়া জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টু বলেন, ‘রাস্তার ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি একটি অপরাধমূলক কাজ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।’ তবে আইনে থাকলেও বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। শহরের যত্রতত্র রাস্তার ওপর রাখা হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানরা বাধা করতে পারেন কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই।’ পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি শহরের বাইরে একটা প্রোগ্রামে আছি, এখন কথা বলতে পারব না।’ পৌর কার্যালয়ে কখন ফিরবেন তাও নিশ্চিত করে জানাননি তিনি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আগে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শিগগিরই স্থানগুলোতে অভিযান চালানো হবে।’
বগুড়া শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর ওপর ইট, বালু, খোয়া, নুড়িসহ সামগ্রী রেখে চলছে ভবন নির্মাণকাজ। এতে যেমন রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে তেমনি প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে যানজটও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের প্রত্যেকটি সড়কের বিভিন্ন স্থানে চলছে দোকানঘর বা ভবন নির্মাণের কাজ। ইট, বালু, খোয়া, নুড়ি পাথর স্তূপ করে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে। কোথাও রাস্তার অর্ধেক জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নির্মাণসামগ্রী। গতকাল শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে শহরের ৪৫টি স্থানে রাস্তার পাশে নির্মাণসামগ্রী দেখা গেছে।
শহরের হাকির মোড়, সুলতানগঞ্জ পাড়া আলী সোনার রোড, সুলতানগঞ্জ মাঠ, সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের পেছনে, ফুলকলি স্কুলের সামনে, ফুলবাড়ি উত্তর পাড়া ব্রিজ, বগুড়া নার্সিং হোম রোড, বেলতলা মসজিদ এলাকা, তালুকদার পাড়া রোড, কারমাইকেল রোড প্রাইমারি স্কুলের সামনে রয়েছে মাটি, বালু, খোয়ার বিশাল ঢিবি।
এ ছাড়া, মালগ্রাম প্রাথমিক স্কুলের সামনে, মালগ্রাম ভিআইপি রোডে, ইবনে সিনা-খান্দারের লিংক রোড, তেঁতুলতলা মোড়, রিয়াজ কাজী লেনে দেখা গেছে একই দৃশ্য। সেউজগাড়ি পানির ট্যাঙ্কি রোডে বালু, খোয়া, পাথর একাকার অবস্থায় দেখা যায়।
বউবাজার, কাজীবাড়ি মোড় কলোনি রোড, মধুবন রোড এবং পিটিআই মোড় থেকে বকশি বাজার পর্যন্ত ১৫টি স্থানেও সড়কে নির্মাণসামগ্রী দেখা গেছে।
মূল সড়কের মধ্যে গোহাইল রোড মোড়, স্টেশন রোডে প্রেসক্লাবের সামনে এবং সার্কিট হাউস রোডে নির্মিতব্য ভবনের সামনে রয়েছে বালুর স্তূপ।
মাটিডালি বাজার-বাইপাস লিংক রোডে রাস্তার ওপর মেশিন দিয়ে ভাঙা হচ্ছে ইট, রাখা হয়েছে ইট, বালু। সেখানকার ভবন নির্মাতা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘আমি শুধু আজই এখানে কাজ করছি। কিছুক্ষণ পরেই সরিয়ে নেব।’
এদিকে, মাটিডালি-পীরগাছা রোডের শাখারিয়া বাজার, ভেপসি ব্রিজ মোড়, চান্দের বাজারসহ ১২টি স্থানে এবং পল্লিমঙ্গল হামিদ আলী মোড় থেকে আনন্দ বাজার মোড় পর্যন্ত আটটি স্থানে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে।
গোপালবাড়ি মোড়ে নির্মাণসামগ্রী রেখেছেন সফিকুল ইসলাম। তাঁর ভাই শাহীন বলেন, ‘আমরা জানতাম না এটা আইনের লঙ্ঘন। সবাই রাখে তাই আমরাও রেখেছিলাম।’
সম্প্রতি গোহাইল রোডে দুর্ঘটনার শিকার হন রওশন আরা। তিনি বলেন, ‘শহরে সারাক্ষণ ভিড় থাকে। থেমে থেমে বাইক চালাতে হয়। ব্রেক কষলেই বালুতে পিছলে পড়ে যাই।’
অটোরিকশা চালক হোসেন মিয়া বলেন, ‘রাস্তার ওপরে এসব থাকার জন্য জ্যাম লেগে যায়।’ মাটিডালি-পীরগাছা সড়কের ভেপসির ব্রিজ এলাকায় নির্মাণসামগ্রী রেখে চলছে ব্রিজ নির্মাণকাজ। এখানে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া রায়হান খন্দকার বলেন, ‘রাস্তার অর্ধেক অংশে রাখা হয়েছে বালু, নুড়ি পাথর। সিএনজিকে সাইড দিতে গিয়ে নুড়ি পাথরের ওপর মোটরসাইকেল তুলে দিয়েছিলাম। পিছলে আমি রাস্তায় পড়ে যাই। এতে মোটরসাইকেল ভেঙে ব্রিজের নিচে পানিতে পড়ে।’
স্থানীয়রা জানান, এই একই স্থানে গত এক মাসে অন্তত ছয়বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। বগুড়া জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টু বলেন, ‘রাস্তার ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি একটি অপরাধমূলক কাজ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।’ তবে আইনে থাকলেও বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। শহরের যত্রতত্র রাস্তার ওপর রাখা হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানরা বাধা করতে পারেন কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই।’ পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি শহরের বাইরে একটা প্রোগ্রামে আছি, এখন কথা বলতে পারব না।’ পৌর কার্যালয়ে কখন ফিরবেন তাও নিশ্চিত করে জানাননি তিনি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আগে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শিগগিরই স্থানগুলোতে অভিযান চালানো হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে