ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েক দফা ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই বাজার নজরদারির কোনো ব্যবস্থা।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে শিগগির বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কদিন আগে নতুন দেশি পেঁয়াজ ২৮ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা, সরু মিনিকেট চাল ৬৩-৬৪, নাজিরশাইল ৬৪-৬৫, আটাশ চাল ৫৬-৫৭, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০, ছাগলের (খাসির) মাংস ৮০০, মুরগি ১৫০-২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এলপিজি গ্যাস ১ হাজার ২০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা, জ্বালানি কাঠ ২৬০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া তরিতরকারি, মসলাসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও আকাশছোঁয়া।
পৌর বাজারে ফজলু মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘এক মাস আগেও বাজার থেকে সয়াবিন তেল কিনেছি ১১০-১২০ টাকা লিটার। এখন তেলের দাম শুনে রীতিমতো কপালে ঘাম ঝরছে, লিটারপ্রতি সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। অর্থাৎ বেড়েছে প্রায় ৬০ টাকা। শুধু তেল নয়, মসুর ডাল, চাল, চিনি, গ্যাসসহ সবকিছুর দাম এখন নাগালের বাইরে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের কঠিন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে।’
রয়েল নামে এক হোটেলকর্মী জানান, তিনি একটি হোটেলে চাকরি করেন, প্রতিদিন ৪০০ টাকা হাজিরা হিসেবে মাসে বেতন পান ১২ হাজার টাকা। বেতন তো বাড়েইনি বরং করোনার মধ্যে কয়েক মাস হোটেল বন্ধ ছিল। করোনায় বসে বসে সংসার চালাতে ঋণের বোঝা মাথায়। সংকট কাটতে না-কাটতেই নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে তিনি এখন দিশেহারা।
শিক্ষক মাহাবুর রহমান বলেন, শুধু নিত্যপণ্য নয়, এর বাইরেও ব্যয় বেড়েছে। বছর ঘুরলেই বাসাভাড়া বাড়ছে, বিদ্যুৎ-গ্যাসের দামে তো রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। একের পর এক খরচ বাড়ছে বই কমছে না।
উপজেলার সুজাপুর এলাকার নুরল ইসলাম জানান, যেভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, সে তুলনায় আয় বাড়েনি তাঁর। এতে পরিবারের চাহিদা পূরণে বাড়ছে ঋণের বোঝা। অধিক দামে পণ্যসামগ্রী কেনা ভুক্তভোগীদের বোবা কান্না দেখার যেন কেউ নেই। অস্থির এই বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর তদারকি না থাকলে সাধারণ মানুষ আরও বেকায়দায় পড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েক দফা ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই বাজার নজরদারির কোনো ব্যবস্থা।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে শিগগির বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কদিন আগে নতুন দেশি পেঁয়াজ ২৮ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা, সরু মিনিকেট চাল ৬৩-৬৪, নাজিরশাইল ৬৪-৬৫, আটাশ চাল ৫৬-৫৭, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০, ছাগলের (খাসির) মাংস ৮০০, মুরগি ১৫০-২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এলপিজি গ্যাস ১ হাজার ২০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা, জ্বালানি কাঠ ২৬০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া তরিতরকারি, মসলাসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও আকাশছোঁয়া।
পৌর বাজারে ফজলু মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘এক মাস আগেও বাজার থেকে সয়াবিন তেল কিনেছি ১১০-১২০ টাকা লিটার। এখন তেলের দাম শুনে রীতিমতো কপালে ঘাম ঝরছে, লিটারপ্রতি সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। অর্থাৎ বেড়েছে প্রায় ৬০ টাকা। শুধু তেল নয়, মসুর ডাল, চাল, চিনি, গ্যাসসহ সবকিছুর দাম এখন নাগালের বাইরে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের কঠিন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে।’
রয়েল নামে এক হোটেলকর্মী জানান, তিনি একটি হোটেলে চাকরি করেন, প্রতিদিন ৪০০ টাকা হাজিরা হিসেবে মাসে বেতন পান ১২ হাজার টাকা। বেতন তো বাড়েইনি বরং করোনার মধ্যে কয়েক মাস হোটেল বন্ধ ছিল। করোনায় বসে বসে সংসার চালাতে ঋণের বোঝা মাথায়। সংকট কাটতে না-কাটতেই নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে তিনি এখন দিশেহারা।
শিক্ষক মাহাবুর রহমান বলেন, শুধু নিত্যপণ্য নয়, এর বাইরেও ব্যয় বেড়েছে। বছর ঘুরলেই বাসাভাড়া বাড়ছে, বিদ্যুৎ-গ্যাসের দামে তো রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। একের পর এক খরচ বাড়ছে বই কমছে না।
উপজেলার সুজাপুর এলাকার নুরল ইসলাম জানান, যেভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, সে তুলনায় আয় বাড়েনি তাঁর। এতে পরিবারের চাহিদা পূরণে বাড়ছে ঋণের বোঝা। অধিক দামে পণ্যসামগ্রী কেনা ভুক্তভোগীদের বোবা কান্না দেখার যেন কেউ নেই। অস্থির এই বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর তদারকি না থাকলে সাধারণ মানুষ আরও বেকায়দায় পড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে