রাজশাহী প্রতিনিধি
এখন থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে রাজশাহীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল ঢোপকলের মাধ্যমে। সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল শহরের ৯৯টি ঢোপকল। এ কালে এসে শহরের রাস্তা সম্প্রসারণের কারণে ঢোপকলগুলোর উচ্ছেদ চলছে।
সবশেষ গত সোমবার নগরীর ফুদকিপাড়া এলাকার সুরেশ স্মৃতি সড়কের পাশের ঢোপকলটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই ঢোপকলটি এখনো সচল ছিল। পাইপলাইনের মাধ্যমে রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) পানি আসত। এভাবে একের পর এক ঢোপকল ভেঙে ফেলায় শহরে ঢোপকলের সংখ্যা কমে প্রায় ১৫টিতে নেমেছে।
ফুদকিপাড়া এলাকার ঢোপকলটি ভেঙে ফেলার পর সেখানে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের মহামারিতে জীবন রক্ষাকারী ঢোপকলটির ওপরের অংশটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। নিচের অংশ এখনো রয়েছে। নিচের অংশ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি বললেন, ঢোপকলটি এখনো সচল ছিল। মানুষ এখান থেকে পানি নিত। সেটা ভেঙে ফেলা হলো।
জানা গেছে, রায় ডিএন দাশগুপ্ত ১৯৩৪ সালে রাজশাহী পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। তখন ডায়রিয়া ও কলেরায় রাজশাহীতে অনেকের মৃত্যু হচ্ছিল। এই সংকট সমাধানে চেয়ারম্যান শহরে পাইপলাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার কাজে হাত দেন। এতে সহায়তা করে ‘রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন’ নামের একটি জনকল্যাণমূলক সংগঠন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংগঠনটি রাজশাহীর দানশীল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানায়। সে সময় রাজশাহীর পুঠিয়ার মহারানি ছিলেন হেমন্ত কুমারী। উদ্যোগের কথা শুনে মহারানি একাই দান করেন ৬৫ হাজার টাকা।
স্থাপন করা হয় একটি পানি শোধনাগার। এখান থেকে তখনকার ছোট্ট শহরটির মোড়ে মোড়ে পানি পৌঁছে দিতে পশ্চিমে কোর্ট, পূর্বে রামচন্দ্রপুর, পদ্মার পাড় এবং গৌরহাঙ্গা পর্যন্ত এলাকায় স্থাপন করা হয় ৯৯টি ঢোপকল।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রাজশাহী শাখার সভাপতি আহমদ সফি উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঐতিহ্যের ঢোপকলগুলো ভেঙে ফেলা সাংস্কৃতিক অপরাধ। পৃথিবীর অন্যান্য শহরে এ ধরনের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য অর্থ খরচ করা হয়। রক্ষা করা হয়। আর আমরা ভাঙছি।’ তবে রাজশাহী ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী পারভেজ মামুদ বলেন, ‘একটা সময় এটার প্রয়োজন ছিল। এখন নেই। এখনকার যুগের সঙ্গে ঢোপকলগুলো আর চলে না।’
এখন থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে রাজশাহীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল ঢোপকলের মাধ্যমে। সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল শহরের ৯৯টি ঢোপকল। এ কালে এসে শহরের রাস্তা সম্প্রসারণের কারণে ঢোপকলগুলোর উচ্ছেদ চলছে।
সবশেষ গত সোমবার নগরীর ফুদকিপাড়া এলাকার সুরেশ স্মৃতি সড়কের পাশের ঢোপকলটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই ঢোপকলটি এখনো সচল ছিল। পাইপলাইনের মাধ্যমে রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) পানি আসত। এভাবে একের পর এক ঢোপকল ভেঙে ফেলায় শহরে ঢোপকলের সংখ্যা কমে প্রায় ১৫টিতে নেমেছে।
ফুদকিপাড়া এলাকার ঢোপকলটি ভেঙে ফেলার পর সেখানে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের মহামারিতে জীবন রক্ষাকারী ঢোপকলটির ওপরের অংশটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। নিচের অংশ এখনো রয়েছে। নিচের অংশ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি বললেন, ঢোপকলটি এখনো সচল ছিল। মানুষ এখান থেকে পানি নিত। সেটা ভেঙে ফেলা হলো।
জানা গেছে, রায় ডিএন দাশগুপ্ত ১৯৩৪ সালে রাজশাহী পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। তখন ডায়রিয়া ও কলেরায় রাজশাহীতে অনেকের মৃত্যু হচ্ছিল। এই সংকট সমাধানে চেয়ারম্যান শহরে পাইপলাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার কাজে হাত দেন। এতে সহায়তা করে ‘রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন’ নামের একটি জনকল্যাণমূলক সংগঠন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংগঠনটি রাজশাহীর দানশীল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানায়। সে সময় রাজশাহীর পুঠিয়ার মহারানি ছিলেন হেমন্ত কুমারী। উদ্যোগের কথা শুনে মহারানি একাই দান করেন ৬৫ হাজার টাকা।
স্থাপন করা হয় একটি পানি শোধনাগার। এখান থেকে তখনকার ছোট্ট শহরটির মোড়ে মোড়ে পানি পৌঁছে দিতে পশ্চিমে কোর্ট, পূর্বে রামচন্দ্রপুর, পদ্মার পাড় এবং গৌরহাঙ্গা পর্যন্ত এলাকায় স্থাপন করা হয় ৯৯টি ঢোপকল।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রাজশাহী শাখার সভাপতি আহমদ সফি উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঐতিহ্যের ঢোপকলগুলো ভেঙে ফেলা সাংস্কৃতিক অপরাধ। পৃথিবীর অন্যান্য শহরে এ ধরনের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য অর্থ খরচ করা হয়। রক্ষা করা হয়। আর আমরা ভাঙছি।’ তবে রাজশাহী ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী পারভেজ মামুদ বলেন, ‘একটা সময় এটার প্রয়োজন ছিল। এখন নেই। এখনকার যুগের সঙ্গে ঢোপকলগুলো আর চলে না।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৮ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে